২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গৃহবধূ ও দুই ছাত্রী ধর্ষিত

ফেনীতে ধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী
-

ঝালকাঠির নলছিটি ও বাগেরহাটের ফকিরহাটে দুই গৃহবধূ এবং বরগুনা ও ফেনীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সৎ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক বখাটে। সব ক’টি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে ফেনী শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বান্ধবীর কাছে বেড়াতে এসে দুই বখাটের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উপজাতি তরুণী। ধর্ষিতার বাড়ি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায়। এ ঘটনায় সেলুন দোকান কর্মচারী ও রিকশাচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, ফকিরহাটে চাচীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আল আমিন বিশ্বাস (৩০) নামে এক বখাটে। মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া কাহারডাঙ্গা এলাকায় গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে জাড়িয়া কাহারডাঙ্গা এলাকার সেলিম বিশ্বাসের ছেলে আল আমিন বিশ্বাস। ১২ বছর আগে জাড়িয়া কাহারডাঙ্গা এলাকায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর, স্বামীর সংসার চলাকালীন সময়ে আল আমিন বিশ্বাসের সাথে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ওই গৃহবধূ। তিন মাস আগে তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে আল আমিন বিশ্বাসকে বিয়ে করার কথা বললে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে। আল আমিন বিশ্বাস শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও গোপনে ধারণ করেছে বলে তাকে প্রায় ভয়ভীতি দিয়ে শারীরিক সর্ম্পক করতে বাধ্য করে আসছে। গত রোববার ২টার দিকে আল আমিনের নিজ ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে বিয়ে করবে বলে জানায় এবং তার সাথে দেখা করার জন্য উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাটাখালী পৌঁছালে আল আমিন বিশ্বাস তাকে নিয়ে নিজ বাড়ির পেছনের পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়, সেখানে কিছুক্ষণ কথা বলার পর পুকুরপাড়ে তাকে ধর্ষণ করে। ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আল আমিন বিশ্বাসকে আটক করে।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবু সাঈদ মো: খায়রুল আনামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত রোববার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফেনী অফিস জানায়, ফেনীর সোনাগাজীতে কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে আরিফুল ইসলাম সাকিব নামের এক বখাটে ফেঁসে গেছে। সাকিব এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর সাকিবকে দুই দিনের রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর এলাকার বাসিন্দা আল-হেলাল একাডেমির নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে প্রতিবেশী আরিফুল ইসলাম সাকিবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত ২৮ আগস্ট ওই ছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সাকিব প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কয়েকজনের নাম উল্লেøখ করে প্রেমিকাকে দিয়ে একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে। ওই ভিডিওচিত্র নিয়ে উল্লেখিত প্রতিপক্ষদের নামে থানায় মামলা করতে বলেন। কিশোরী অস্বীকৃতি জানালে ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তাতেও সাকিব সায় না পেয়ে ভিডিও চিত্রটি নিয়ে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর দ্বারস্থ হয়। ঘটনাটি পুলিশ জেনে ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ বখাটে সাকিবকে গ্রেফতার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে নির্যাতিতা কিশোরীকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। একই সাথে বখাটে সাকিবকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ দিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিন জানিয়েছে, সাকিব ছাত্রলীগের কোনো পদপদবিতে নেই। তবে গ্রেফতারের পর থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলাপর্যায়ের সরকারদলীয় নেতারা থানায় তদবির করেছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে শহিদুল হাসান হিরণ (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার রাতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূ। এ দিকে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে অভিযুক্ত যুবকের সাথে বসিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূকে মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
পুলিশ ও নির্যাতিতর পরিবার জানায়, গত শনিবার রাতে কাঠিপাড়া গ্রামে ওই গৃহবধূর বাড়ির পেছনের গাছ বেয়ে ছাদ থেকে ঘরে ঢোকে হিরণ। সে গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে পরিবার ও আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষণকারী যুবককে আটক করে। তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে স্থানীয়রা। এ সময় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে নানা অপবাদ নিয়ে মারধর করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি ধর্ষণকারী ও গৃহবধূকে পাশাপাশি বসিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই গৃহবধূকে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গৃহবধূর অভিযোগ, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। শাশুড়িও ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ধর্ষণের ঘটনা শুনে তারা আমার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার ঘোষণা দিয়েছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি নির্যাতিত হলাম আবার তাদের মারও খেলাম, এখন আমাকে বাড়িতেও রাখবে না। আমি কোথায় যাবো। আমার স্বামী বলেছে, ‘তুই ধর্ষণের শিকার হইছ, তোকে আর রাখা যাবে না; তালাক দিয়ে দেবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, ওই গৃহবধূর দু’টি সন্তান রয়েছে। রাতে ধর্ষণকারীকে আটক করার পরে গৃহবধূকেও মারধর করা হয়। তাদের দু’জনকে একসাথে বসিয়ে গলায় হাত দিয়ে ভিডিও ও ছবি তোলা হয়। এগুলো যারা ফেসবুকে ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
গৃহবধূকে নির্যাতনকারী প্রতিবেশী মো: বাবুল বলেন, অপরাধ করেছে উভয় তাই মারধর করা হয়েছে। মারধর করব না তো ছেড়ে দেবো?
নলছিটি থানার ওসি আবদুল হালিম তালুকদার জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছে ওই গৃহবধূ। আসামি গ্রেফতার হয়েছে। ওই গৃহবধূকে মারধর, ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া ও তাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার কথা শুনেছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা সংবাদদাতা জানান, বরগুনায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ধর্ষিত কলেজছাত্রীর মা। গত রোববার আদালত ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো: হাফিজুর রহমান এ মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
এ ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলেন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাতলী গ্রামের রাজিকুল ইসলাম রাজু, কবির মিয়া ও আউয়াল।
মামলার বাদি জানান, আমার মেয়ে বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে খাজুরতলা গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। পরে ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে বাড়িতে ফিরে আসার সময় রাজিকুল ইসলাম রাজু ও তার ভগ্নিপতি কবির মিয়া তার মেয়েকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে তুলে আউয়াল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে তিন দিন ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। আমি মামলা করতে চাইলে আসামি রাজু আমার মেয়েকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। পরে রাজু জানায় আমার মেয়েকে সে বিয়ে করবে না। রাজু আমাকে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার মেয়ের খারাপ কিছু ভিডিও করে রেখেছি, সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবো। আমি ১০ অক্টোবর বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে বরগুনা ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ধর্ষণের ঘটনায় বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। একজন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে,আমার কাছে এলেই মামলা নেয়া হতো। এখন এলেও আমি মামলা নেবো। তা ছাড়া আদালত যে আদেশ দেবেন তা পালন করব।
ফুলবাড়ীতে সৎমাকে ধর্ষণের চেষ্টা
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক সন্তানের জননী সৎমাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান (২২) নামের এক মাদকসেবী যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষককে আটক করে। গত শনিবার ১৭ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই নারী বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নির্যাতিতা নারী জানান, ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করেন মিজানুরের বাবা ছোবেদ আলী। তাদের ঘরে ছয় বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। এর মধ্যে সতীনের মাদকাসক্ত ছেলে মিজানুরের কুনজর পড়ে তার ওপর। এর আগেও কয়েকবার সে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্তানসহ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এ সময় স্বামী ছোবেদ আলী বাড়ি থেকে একটু দূরে টঙের পাড়ে হাওয়া খেতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে লম্পট মিজানুর ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশুকন্যাও জেগে ওঠে। পরে মা-মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে মিজানুরকে হাতেনাতে আটক করে। সতীনের ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হওয়ায় ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে ধর্ষণের চেষ্টাকারী যুবক একই বাড়িতে বসবাস করায় আবারো ধর্ষণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন ওই নারী।
স্থানীয় মকবুল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন ও মনিরুজ্জামান জানান, মিজানুর নিয়মিত গাঁজা সেবন করে। নেশাগ্রস্ত হয়ে সে বারবার সৎমার ওপর নির্যাতন চালায়।
নাওডাঙ্গা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাজামাল মিয়া সন্তোষ জানান, এর আগেও একবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে মিজানুর। তাই ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ফুলবাড়ী থানার এসআই হাবিবুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে।
ফেনীতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী
ফেনী অফিস জানায়, ফেনী শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বান্ধবীর কাছে বেড়াতে এসে দুই বখাটের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উপজাতি তরুণী। ধর্ষিতার বাড়ি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায়। এ ঘটনায় সেলুন দোকান কর্মচারী ও রিকশাচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে বোনের বাসা থেকে গত রোববার রাতে ফেনী শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকা নন্দিনি নামের এক বান্ধবীর কাছে বেড়াতে আসেন ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। রাত ১১টার দিকে মহিপালে বাস থেকে নেমে রিকশায় ওঠেন। রিকশাচালক মো: রিয়াদ তাকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে রাত ২টার দিকে শহরের দেওয়ানগঞ্জ মুক্তার বাড়িসংলগ্ন ডেকোরেশন দোকানের সামনে একটি গাছের সাথে বেঁধে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে সালাহউদ্দিন মোড়সংলগ্ন কাঠবেল্লা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে রিকশাচালক চলে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে আসা সেলুন দোকান কর্মচারী ছোটন শীল তার বান্ধবীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে হেঁটে দেওয়ানগঞ্জের অদূরে ফতেহপুর যাওয়ার সড়কের কালভার্টের একটি দোকান ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ শেষে বিসিক সড়কের দিকে চলে যায়। গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত এএসআই ফিরোজ আহমেদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নির্যাতিতা তাকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে ছোটন শীলকে আটক করে পুলিশ। কিশোরীর দেয়া তথ্যমতে, রিকশাচালককেও আটক করা হয়। ছোটন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ধর্মপুর এলাকার সমীর শীলের ছেলে ও শহরের হাজারী রোডের একটি সেলুন দোকানে চাকরি করে। রিকশাচালক রিয়াদ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার মো: সাদেকের ছেলে।
ফেনী মডেল থানার এএসআই ফিরোজ জানান, নির্যাতিতা তরুণীর দেয়া তথ্যমতে আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন নন্দিনি নামের এমন কোনো বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ফেনী মডেল থানার ওসি (অপারেশন) আদিল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন তরুণী ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে?

সকল