২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনায় প্রতি ২ দিনে এক ডাক্তারের মৃত্যু

-

করোনাকালীন গত ১৬৯ দিনে দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৯৩ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাবে গড়ে প্রতি দুই দিনে প্রায় একজন ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও ডা: মুহাম্মদ হোসেন নামে এক ইউরোলজিস্টের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। ডা; মুহাম্মদ হোসেন নগরীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ১১ আগস্ট থেকে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল মারা যাওয়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ডা: মঈন উদ্দীন আহমদ ছিলেন দেশে করোনায় মৃত্যুবরণকারী প্রথম চিকিৎসক।
এটা ঠিক, করোনায় প্রথম দিকের চেয়ে বর্তমানে সাধারণ মানুষের মৃত্যু যেমন আগের চেয়ে কমেছে তেমনি চিকিৎসকদের মৃত্যুর হারও কমেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৯ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। সবচেয়ে বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে জুন মাসে। জুনের ৩০ দিনে ৪৪ জন চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন অর্থাৎ এক দিনে গড়ে ১.৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে একজন চিকিৎসকেরই মৃত্যু হয় এবং তিনি ডা: মঈন উদ্দিন আহমদ। মে মাসের ৩১ দিনে মৃত্যুবরণ করেন ১৩ জন চিকিৎসক। এ ছাড়া জুলাই মাসে মৃত্যুর সংখ্যা কমে যায়। জুলাইয়ের ৩১ দিনে মৃত্যুবরণ করেন ১২ জন চিকিৎসক। আগস্টেও ১২ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয় এবং গত সেপ্টেম্বরের ৩০ দিনে চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল আটজন। দেখা যাচ্ছে এপ্রিল ও চলতি অক্টোবর মাসের এক দিন বাদ দিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে কম আটজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে সেপ্টেম্বরে।
দেশে করোনায় মৃত্যু শুরু হয় গত ১৮ মার্চ। এর পর থেকে গতকাল ১ অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করে পাঁচ হাজার ২৭২ জন। গতকাল ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে ১০৮টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে আরটি পিসিআর মেশিন রয়েছে। করোনার প্রথম দিকে পুরো দেশের করোনা টেস্ট করানো হতো মহাখালীর আইইডিসিআর সেন্টারে। ধীরে ধীরে সরকারি পর্যায়ে মেশিন বসানো হয় বিদেশ থেকে এনে। এরপর সরকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর মেশিনগুলো করোনা পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করলে দেশে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র ও পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে যায়।
এ দিকে করোনায় মৃত সহযোগী অধ্যাপক ডা: মুহাম্মদ হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা: কনক কান্তি বড়–য়া, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা: ইহতেশামুল হক চৌধুরী। তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে মরহুমের সহকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, ডা: মুহাম্মদ হোসেনকে নোয়াখালী চৌমুহনীর জরিতলী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement