১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

বরগুনার রিফাত হত্যা মামলা
-

বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এ মামলায় চারজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আছাদুজ্জামান। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র হালদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় মিন্নিসহ ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ নম্বর আসামি মুছা পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলোÑ ১. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), ২. আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), ৩. মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), ৪. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), ৫. মো: হাসান (১৯), ৬. আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। খালাসপ্রাপ্তরা হলোÑ মো: মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো: সাগর (১৯) ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)। পলাতক মুসা ছাড়া বাকিরা রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বুধবার বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য গতকাল দিন ধার্য করেন।
মামলার রায় শুনতে আদালতে রিফাতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও মামলার আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও আসামিদের স্বজনরা হাজির হন। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও উৎসুক মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
রিফাত হত্যাকাণ্ড সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কিশোর গ্যাং বাহিনী শাহনেওয়াজ রিফাতকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলেই বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রিফাত। মামলার পর পুলিশ গ্রেফতার করে এজাহারভুক্ত আসামিদের। রিফাতের ওপর হামলার ছয়দিন পর ২ জুলাই ভোর রাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এ মামলার আলোচিত প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড।
মামলা তদন্তের একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো: হুমায়ুন কবির মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সাথে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সম্পর্ক ও হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পান। এরপর মিন্নিকে এই মামলায় সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়। রিফাত হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রধান সাক্ষী থেকে মিন্নি আসামি হয়ে যাওয়ায় মামলাটি মোড় নেয় অন্য দিকে।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রে ১নং আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী বরগুনা পৌর শহরের ধানসিঁড়ি সড়কে আহসান হাবিব দুলাল ওরফে দুলাল ফরাজীর ছেলে। তাকে গত ৩ জুলাই ২০১৯ গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে। রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী এই রিফাত ফরাজী। নয়ন বন্ডের ঘনিষ্ঠ সহচর রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগÑ সে এলাকায় ছিঁচকে চুরি থেকে শুরু করে বরগুনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ম্যাচে হানা দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে অর্থ আদায় করত। ২০১৯ সালে মার্চ মাসে বন্ড ০০৭ নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সদস্য যুক্ত করতে থাকে। রিফাত শরীফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার আগের রাতে এই ফেসবুক গ্রুপেই হত্যার সর্বশেষ নির্দেশনা দেয় রিফাত ফরাজী। সেখানে গ্রুপের সবাইকে ঘটনার দিন সকাল ৯টার মধ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়। মোহাম্মদ নামে এক জনকে সকাল ৯টায় আসার সময় রামদা নিয়েও আসতে বলে সে। রিফাত শরীফ কলেজ থেকে বের হওয়ার পর পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে প্রথম কলার ধরে রিফাত ফরাজী। এরপর নয়ন বন্ডের হাতে দিয়ে সে দৌড়ে দুই হাতে দু’টি রামদা নিয়ে এসে প্রথম কোপাতে শুরু করে। পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলেকে কুপিয়ে জখমসহ তার বিরুদ্ধে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আগেও ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং মাদক কারবারিসহ নানা অপরাধে ৮টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এসব মামলায় বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয় সে। তবে প্রতিবারই আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ধানসিঁড়ি রোড, কেজি স্কুল রোড এবং ডিকেপি রোডের বাসিন্দারা তার কর্মকাণ্ডে ভীত এবং অতিষ্ঠ ছিল। রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৪ ও ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
২নং আসামি রাব্বি আকন বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম কেওড়াবুনিয়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। বন্ড গ্রুপের অন্যতম সদস্য রাব্বি আকন বন্ড গ্রুপের প্রধান নিহত নয়ন বন্ডের সেকেন্ড ইন কমান্ড রিফাত ফরাজীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা এবং ঘটনাস্থলে সক্রিয় ভূমিকায় ছিল রাব্বি আকন। ঘটনার আগের দিন রিফাত শরীফকে হত্যার বিষয়টি রিফাত ফরাজী মোবাইলে রাব্বি আকনকে জানায়। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টায় রিফাত শরীফ কলেজে রওনা করলে রাব্বি আকন মোবাইলে খবরটি রিফাত ফরাজীকে জানায়। সকাল সোয়া ৯টায় সে কলেজে প্রবেশ করে এবং সাইন্স বিল্ডিংয়ের পাশে রিফাত ফরাজী, রিফাত হাওলাদারসহ অন্যদের সাথে হত্যার পরিকল্পনায় অংশ নেয়। পরবর্তীতে রিফাত শরীফ কলেজ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে করতে নয়ন বন্ডের হাতে তুলে দেয়। হত্যার সময় যাতে পালাতে না পারে অন্য আসামিদের সাথে রাব্বি আকনও রিফাত শরীফকে ঘিরে রাখে। এ ছাড়াও হত্যা পরবর্তী সময়ে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সাথে একাধিকবার তার মোবাইলে কথোপকথনের প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৪ ও ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। চার্জ গঠনের পর রাব্বি আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
৩নং আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত বন্ড গ্রুপের অন্যতম সদস্য। ঘটনার আগের দিন বিকেলে সিফাত বরগুনা কলেজে রিফাত শরীফ হত্যা পরিকল্পনার মিটিংয়ে উপস্থিত ছিল। পরিকল্পনা মোতাবেক রিফাত শরীফ কলেজ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে অন্যদের সাথে সিফাতও তাকে ঘিরে ধরে এবং রিফাত ফরাজীর সাথে রামদা আনার জন্য দৌড়ে যায়। পরে ফিরে এসে রিফাত ফরাজী ও নয়ন বন্ড রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় নিহত রিফাতকে ঘিরে রাখে। সিফাত বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে আর্মি দেলোয়ারের ছেলে। বরগুনা পৌরসভার কলেজিয়েট স্কুল এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে সে বসবাস করত। তার বিরুদ্ধেও এর আগে বরগুনা থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে ৩৪ ও ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
৪নং আসামি রেজোয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয় বরগুনা সদরের বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী চালিতাতলা এলাকার বাসিন্দা রফিক আলী খান ওরফে রকীবের ছেলে। হত্যকাণ্ডের সময় টিকটক হৃদয় আসামি রিফাত ফরাজীর সাথে ঘটনাস্থল রেকি করতে থাকে। রিফাত শরীফ কলেজ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে অন্যরা ঘিরে ধরে টানতে টানতে সামনে নিয়ে যাওয়ার সময় টিকটক হৃদয় দৌড়ে রিফাত ফরাজীর সাথে কলেজের পূর্ব দিকে রাখা দা আনতে যায় এবং ফিরে এসে রিফাত শরীফকে ঘিরে রাখে। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা ও সরাসরি অংশ নেয়ার অভিযোগে ৩৪ ও ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
৫নং আসামি হাসান বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরীচন্না এলাকার বাসিন্দা আয়নাল হকের ছেলে। বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কলেজ সড়কে তালুকদারের বাড়িতে পরিবারের সাথে ভাড়া থাকত হাসান। রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সময় হাসান ঘটনাস্থল রেকি করা এবং রিফাত শরীফ বের হওয়ার পরপরই অন্যদের সাথে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে কোপানোর সময় ঘিরে রাখার অভিযোগ হাসানের বিরুদ্ধে। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা এবং সরাসরি অংশ নেয়ার অভিযোগে ৩৪ ও ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং হত্যার কারণ হিসেবে ৭ নং আসামি ও রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। বরগুনা পৌরশহরের কড়ইতলা মাইঠা এলাকার মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বড় মেয়ে মিন্নি। পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে মিন্নির বিরুদ্ধে। রিফাত শরীফকে হত্যার মূল কারণ হিসেবে, রিফাত শরীফের সাথে বিয়ে পরবর্তী সময়ে নয়ন বন্ডের সাথে মিন্নির সম্পর্কে সৃষ্ট বিরোধের জেরেই রিফাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে মিন্নি ও নয়ন বন্ড এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। বিবরণীতে বলা হয়, প্রথমে মিন্নি নয়নকে বিয়ে করে। বিষয়টি গোপন রেখে ফের রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি এবং নয়ন বন্ডের সাথে গোপনে যোগাযোগ ও বাসায় যাতায়াত অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে রিফাত শরীফের সাথে মিন্নির দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সবশেষে হেলাল নামে এক যুবকের কাছ থেকে রিফাত শরীফের মোবাইল কেড়ে নেয়া থেকে নয়নের সাথে রিফাতের দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং সব মিলিয়ে মিন্নি, নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীসহ অন্যরা আগের দিন বিকেলে সরকারি কলেজের শহীদ মিনারের কাছে গোপন বৈঠক করে রিফাত শরীফকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এ ছাড়াও অভিযোগপত্রে রিফাতকে নয়ন বন্ডরা কুপিয়ে জখম করার পরও মোবাইলে যোগাযোগ ও নয়ন বন্ডের সাথে মোবাইলে খুদেবার্তা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে মিন্নির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিপরীতে নয়ন বন্ডের মায়ের নামে নিবন্ধিত একটি সিম গোপনে মিন্নি ব্যবহার করত এমন অভিযোগ এনে ওই নম্বরের সাথে নয়ন বন্ডের বিভিন্ন সময়ে কল লিস্ট ও কল ডিটেইলস জমা দিয়েছেন। এ ছাড়াও আলামত হিসেবে নিহত নয়ন বন্ডের বাসা থেকে জব্দ সেলোয়ার কামিজ, আই ভ্রু, মিন্নির ছবি, চিরুনি, চিরুনিতে পেঁচানো নারীর চুল জমা দেয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রের বিবরণীতে অধিকাংশ জায়গায় মিন্নির বিরুদ্ধে রিফাত হত্যায় ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে।
এ মামলায় গত বছরের ১৬ জুলাই মিন্নি গ্রেফতার হয়, ২৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মিন্নির জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত এবং ৪৯ দিন পর কারাগার থেকে মুক্ত হন মিন্নি। মামলার একমাত্র জামিনে থাকা আসামি মিন্নির বিরুদ্ধেও হত্যার পরিকল্পনা ও সরাসরি অংশ নেয়ার অভিযোগে ৩৪ ও ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার রায়ের পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতে সঠিক রায় পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
অপর দিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। খালাসপ্রাপ্তদের নিয়ে তিনি বলেন, আদালত যাদের খালাস দিয়েছেন, রিফাত হত্যায় তাদের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই হয়তো খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement