২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সৌদি ইকামা নবায়নে কিছু করার নেই বাংলাদেশের

চাকরি খোঁজার পরামর্শ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
-

আটকে পড়া সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাকরির চুক্তি (ইকামা) নিয়োগদাতারা (কফিল) নবায়ন না করলে বাংলাদেশ সরকারের কিছু করার নেই বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, মালিক যদি চাকরি না দেয় তবে কী করার আছে। সরকার তো কারো চাকরি দিতে পারে না। তাদের নতুন চাকরি খুঁজতে হবে। যেহেতু তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাদের বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
গতকাল সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, ওমান, ইরাক ও মালেশিয়ার মিশন প্রধানরা এতে অংশ নেন। আমিরের মৃত্যুর কারণে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করতে হলে চাকরিদাতাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র লাগবে। অন্যথায় কেউ কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন না। তিনি বলেন, প্রবাসীদের রাস্তায় নামার কোনো কারণ নেই। যাদের পুরনো কফিল নিচ্ছে না, তারা নতুন কফিল খুঁজতে পারেন। এখন পর্যন্ত ছয় হাজার প্রবাসী সৌদি আরব গেছেন। তারা কফিলের অনুমতি নিয়েই গেছেন।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান, মার্চ পর্যন্ত ২৫ হাজার বাংলাদেশীকে নতুন ভিসা ইস্যু করেছিল সৌদি আরব। ব্যবহার না করার কারণে ভিসাগুলো বাতিল হয়ে গেছে। এদের সবাইকে নতুন করে ভিসা দেয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ১ অক্টোবর থেকে সপ্তাহে মোট ২০টি ফ্লাইট চালু হবে। এর মধ্যে সাউদিয়া ১০টি এবং বিমান ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ইমরান আহমেদ বলেন, ইকামা ও ভিসা নিয়ে সমস্যার কথা কূটনীতিকদের জানিয়েছি। এই কথাগুলো তাদের সরকারের কাছে যাবে। এরপর ফলাফল কী হবে জানা যাবে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
চলমান সঙ্কট সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, সবসময় বিকল্প চিন্তা করতে হয়। আমি আশা করলাম, কিন্তু হলো না, তখন বিকল্প কী সেটি ভাবতে হবে। বিকল্প পরিকল্পনা করে রাখতে হয়। আমরা যদি একটি নিয়ে বসে থাকি এবং সেটি যদি না হয়, তবে আমরা কোনো দিন শান্তিতে থাকতে পারব না।
মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করতে ভারতকে অনুরোধ : এর আগে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুজিবনগরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় দুই কিলোমিটার স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করার জন্য ভারতের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করা হলে ভারতের পর্যটকরা সহজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শন করতে পারবে।
ড. মোমেন ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাংলাদেশে হাতে নেয়া প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধ থাকা স্থলবন্দর খুলে দেয়ার অনুরোধ করেন।
ড. মোমেন ষষ্ঠ যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক সফলভাবে শেষ করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানান।


আরো সংবাদ



premium cement