১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাস্ক কেলেঙ্কারিতে জেএমআই চেয়ারম্যান গ্রেফতার

-

করোনার শুরুতে চিকিৎসক-নার্সদের নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার পর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টচার্য্য জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর উপপরিচালক মো: নূরুল হুদা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অন্যান্য আসামি হলেন, সিএমএসডি’র উপপরিচালক ডা: জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা: শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোরকিপার ইউসুফ ফকির।
মামলা দায়ের করার পর পরই জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্যের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সাথে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ওই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মাধ্যমে এন-৯৫ ব্র্যান্ডের মোড়কে সাধারণ ও নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ করেছিল জেএমআই গ্রুপ। কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক জরুরি বৈঠকে করোনাকালে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি-প্রতারণা বা জাল-জালিয়াতির অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। মাস্ক কেলেঙ্কারিতে আরো একাধিক মামলা হতে পারে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement