২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মন্ত্রিসভার বৈঠক

শ্রমবাজারের তথ্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন : পিআইডি -

বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের কী অবস্থা, সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশী শ্রমিকরা বিদেশে কোথায় কোথায় কাজ করেন, কোথায় কোথায় নতুন শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে, কোথায় কোথায় কাজে সমস্যা হচ্ছে, কোন কোন জায়গা থেকে শ্রমিকরা ফেরত আসতে চান, কোথায় দক্ষ শ্রমিক তৈরি হয়েছে ইত্যাদিসহ জনশক্তি রফতানি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনে জানাতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এ সভায় যোগ দেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
সচিব জানান, বৈঠকে বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ আইন ২০২০-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি অষ্টম পর্বে সম্প্রসারণের প্রস্তাব (গ্রামে গ্রামে চাকরি) অনুমোদন করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছি কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা বলে দিয়েছি, যেকোনো সেক্টরে রেসপেক্টিভ মিনিস্ট্রিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যারা কর্তৃপক্ষ তারা নিজ বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবেন।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রণালয় বলছে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত না এলে তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করার পর আমরা কনভে করে দিয়েছি, এরপরও তারা যদি মনে করে সাজেশন দরকার বা কোনো রুলিং দরকার কেবিনেটের বা প্রধানমন্ত্রীর, আমাদেরকে যদি রেফার করে তাহলে সেটা ওভাবেই বিবেচনা করা হবে। কিন্তু এখন অথরিটি তাদের কাছেই দিয়ে দেয়া আছে।’
‘সম্মানের সঙ্গে যেন বাঁচতে পারি’ : এ দিকে শীর্ষ নিউজ জানায়, নিজের ৭৪তম জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যত দিন বেঁচে আছি সম্মানের সঙ্গে যেন বাঁচতে পারি। আমার কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষের যেন উপকারই হয়, মানুষ যেন ভালো থাকে, সেই কাজটুকু যেন করতে পারি। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে তার সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতি। কারণ প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও মেধা আমাদের দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি অত্যন্ত ধীরস্থির ও ঠাণ্ডামাথায় সবকিছু বিবেচনা করতেন। অনেক জটিল মামলা ভালোভাবে সমাধান করেছিলেন তিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি যে, এই কয়েকটা বছর আমরা দেখেছি বাংলাদেশে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা এই জায়গাটায় এসেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement