রাখাইনে অভিযান বন্ধের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ক্রমবর্ধমান প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে রাখাইনে সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার টমাস এন্ডুস গত মঙ্গলবার জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাখাইনের মাইবন শহরে আর্টিলারি সমরাস্ত্রের আঘাতে দু’টি পাঁচ বছর বয়সী শিশু এবং অপর একজন আহত হয়েছে। এসব শিশু ও নর-নারীরা কি যুদ্ধের ক্রসফায়ারে পড়ে নিহত হচ্ছে, না তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হচ্ছে তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরনের অভিযান বন্ধ করে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের আহ্বান অনুযায়ী অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি পালন করতে হবে। কেননা দায়মুক্তি ও মানবাধিকার একসাথে চলতে পারে না।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দু’জন সদস্যের ভিডিও’র কথা উল্লেখ করে টমাস এন্ডুস বলেন, গণহত্যাসংক্রান্ত জাতিসঙ্ঘ সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রাখাইন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ও স্বাধীন তদন্ত কমিশনগুলোর সাথে মিয়ানমারের সহযোগিতা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মিয়ানমারের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার বলেন, জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মের ওপর ভিত্তি করে কোনো মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে নির্বাচনে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না।
টমাস এন্ডুস বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কান্দিপাড়া গ্রাম মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেই গ্রামে এখন সামরিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলোর স্যাটেলাইট ইমেজ ও ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমার জানিয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি পূরণ তাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে; কিন্তু কান্দিপাড়া গ্রামে ঘরবাড়ি ছিলÑ এমন রোহিঙ্গাদের কাছে প্রত্যাবাসন কতটা অর্থবহ হবে? তাদের আদি নিবাস তো এখন গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি।
নির্বাচনী বছরে মিয়ানমার করোনা মহামারীর কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা