ট্রায়ালের জন্য সিনোভ্যাকের টিকা এখনো আসেনি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ট্রায়ালের জন্য চীনের সিনোভ্যাকের টিকা বাংলাদেশে এখনো আসেনি। ফলে বাংলাদেশে কখন সিনোভ্যাকের টিকার ট্রায়াল হবে এই তথ্য সঠিকভাবে এখনো কেউ দিতে পারছে না। সিনোভ্যাকের টিকার ট্রায়াল করবে মহাখালীর আন্তর্জাতিক কলেরা গবেষণা কেন্দ্র- আইসিডিডিআর,বি।
সিনোভ্যাকের সাথে আইসিডিডিআর,বির প্রথম চুক্তি হয়। এরপর তারা বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) কাছে সিনোভ্যাকের টিকা ট্রায়ালের অনুমতি চায়। বিএমআরসি সিনোভ্যাকের টিকার গবেষণাপত্র দেখে খুবই দ্রুততার সাথে আইসিডিডিআর,বিকে বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়। পরে টিকা ট্রায়ালের অনুমতির প্রয়োজন হয় বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের। সংস্থাটি সরকারের উচ্চ মহলের অনুমতি ছাড়া সিনোভ্যাকের টিকা ট্রায়ালের অনুমতি দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত গত ২৭ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চীনা টিকা বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়। এর আগে আইসিডিডিআর,বির উচ্চপর্যায় থেকে দুই সপ্তাহ আগে বলা হয়েছিল, এর মধ্যেই চীনা টিকা ট্রায়ালের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও কাঁচামাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে; কিন্তু গতকাল পর্যন্ত টিকার কোনো কিছুই আসেনি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আইসিডিডিআর,বির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে এখন কোনো কিছুই বলতে রাজি হননি।
আইসিডিডিআর,বির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তারা এখন টিকা ট্রায়ালের বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে চাচ্ছেন না। কিছু দিন পর আইসিডিডিআর,বির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংবাদমাধ্যমকে পুরো বিষয়টি জানানো হবে। এ ছাড়া নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে আইসিডিডিআর,বিকে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তারা জানিয়েছেন, ‘আইসিডিডিআর,বি আপাতত কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না’। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু দিন সময় দেয়া হলে আইসিডিডিআর,বির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই এ বিষয়ে জানানো হবে।’ তবে জানা গেছে, চীনা টিকার ট্রায়াল খুব শিগগিরই বাংলাদেশে শুরু হবে। এটা করা হবে দেশের স্বার্থেই। কারণ টিকাটি এখানে ট্রায়াল দেয়া হলে যদি এটা সফল হয় তাহলে টিকাটি পেতে সহায়ক হবে এবং কিছু টিকা বাংলাদেশ বিনামূল্যেই পাবে। ইতোমধ্যে চীন সরকার ঘোষণা করেছে যে, চীনা টিকার ট্রায়াল দেয়া হলে তারা বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ টিকা বিনামূল্যে দেবে।
এ দিকে আগামী শীতে বাংলাদেশে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ পর্যায় থেকে অনেক আগে থেকেই এটা বলা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় সবার মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় দফা শুরু হলে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। তবে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণ ঘটলে তা মোকাবেলায় আমাদের পূর্ণ অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতি কাজে লাগানো যাবে; কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ঘটলে যে খুব খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনার কারণে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হিসাবে। আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা