২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জলবায়ু পরিবর্তন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

-

জলবায়ু পরিবর্তনকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, তরুণরাই আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এই সঙ্কট মোকাবেলায় তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ নেতৃত্বের ওপর গত বুধবার আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এটি যৌথভাবে আয়োজন করে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব, বিন্দু, বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল।
ড. মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তিকে সহায়তা করতে সম্প্রতি স্পেশাল ডেল্টা ফান্ড গঠন করা হয়েছে। আগামী মাসে বাংলাদেশে রিজিওনাল অ্যাডাপ্টেশন সেন্টার স্থাপন হতে যাচ্ছে। তিনি জানান, এ বছর ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আওতায় নেয়া ক্লাইমেট রিজিলেন্স প্রোগ্রামে ৭৫টি দেশের এক হাজার ২০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে। ওয়েবিনারে কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব নামে একটি প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা সবাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত। কিন্তু যেটা বুঝি না সেটি হচ্ছে, আমাদেরকেই এই সমস্যা নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারকে সরকার থেকে উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। ইকো সিস্টেম রক্ষার্থে তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যন ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, উপকূলের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এই বিপর্যয় মোকাবেলায় আমাদের সম্পদ ও জনবল সঙ্কট রয়েছে। উপকূলে পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি। যার ফলে কৃষি কাজেও অনেক সমস্যা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নতুন গাইডলাইন তৈরি ও তরুণদের নীতি নির্ধারণে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি এই খাতে আরো বেশি পরিমাণ তহবিল সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীর কাছে অনুকরণীয়। ‘বোতল বাতি’ স্থাপনের মতো বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তরুণ প্রজন্ম, যা প্রশংসনীয়।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক (ইনক্লুসিভ কমিউনিটিস) ড. শাহনাজ করিম জানান, গত ১০ বছর ধরে যুব নেতৃত্ব তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও টেকসই উন্নয়নে সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ তরুণদের সৃষ্টিশীল কাজে সহযোগিতা করছে।
ওয়েবিনারে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফোকার্ট ডি জাগের, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের কোঅর্ডিনেটর শাকিলা ইসলাম, বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্টের চিফ এক্সিকিউটিভ সোহানুর রহমানসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement