২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সাত মেগা প্রকল্পে ২৭ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান

এক্সচেঞ্জ অব নোট সই
-

যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণসহ সাতটি মেগা প্রকল্পে জাপান তিন দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে দেয়া এটি জাপানের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) প্যাকেজ। দশমিক ৬৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডের পর ২০ বছরে শোধ করতে হবে।
উন্নয়ন সহায়তার আওতার নেয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প-২, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প-৪, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন-৫), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প এবং শহর উন্নয়ন ও সিটি গভার্নেন্স প্রকল্প।
গতকাল বুধবার জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওমি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বাংলাদেশকে দেয়া জাপানের ৪১তম ওডিএ’র এক্সচেঞ্জ অব নোট সই করেন। এই নোটের আওতায় জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ও ইআরডি সচিব সংশ্লিষ্ট ঋণ চুক্তি সই করেন। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং করোনা মহামারী মোকাবেলায় সহায়তা করতে সহজ শর্তে এই ঋণ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাপান। প্রকল্পগুলোর পরামর্শকদের জন্য ঋণের দশমিক শূন্য এক শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প-২ : সাত হাজার ৭০ কোটি টাকা ঋণের এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর (যমুনা বহুমুখী সেতু) সমান্তরালে শুধু রেল চলাচলের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এর বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০২৪ সালের মার্চে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প-২ : ছয় হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে থাকবে আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল, কার্গো টার্মিনাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া কথা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প : ১৫১ কোটি টাকা ঋণের এ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় জাপানের সহায়তায় নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন করা হবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প-৪-এ পাঁচ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্পে (লাইন-৫) চার হাজার ৪২২ কোটি টাকা, ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮৯০ কোটি টাকা এবং শহর উন্নয়ন ও সিটি গভার্নেন্স প্রকল্পে দুই হাজার ২৪০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহ উন্নয়ন সহযোগী জাপান।


আরো সংবাদ



premium cement