২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গমাতা ইতিহাস বদলে দিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

শেখ ফজিলাতুন্নেছার মুজিবের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : বাসস -

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির যেকোনো কঠিন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার (বঙ্গমাতা) বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারা বদলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমার মায়ের অবদান সম্পর্কে সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত বিষয়টি হলো আমার মা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে আমি দুঃখের সাথে বলছি, অনেক বড় নেতাই তা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানে গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেয়ার জন্য প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হলে জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তা প্রত্যাখ্যান করে তিনি (বঙ্গমাতা) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সঠিক ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত আইয়ুব খানকে (আগরতলা ষড়যন্ত্র) মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পথও বদলে দিয়েছিল।’ ‘তিনি দলকে যোগ্যতার সাথে পরিচালনা করতেন (বিশেষত বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন) এবং সঠিক সিদ্ধান্ত দিতেন।’ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গণভবন থেকে যোগদান করেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গোপালগঞ্জ থেকে অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়েছিলেন।
পুনরায় বিজয়ী হওয়ায় রাজাপাকসেকে অভিনন্দন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এসএলপিপির বিজয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এক লিখিত অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে এই বিজয়ের মাধ্যমে বর্তমান নেতৃত্বের ওপর শ্রীলঙ্কার জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ অগ্রসরে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাসও এই চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃষ্টান্ত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি শ্রীলঙ্কার সরকারে থাকার সময় আমাদের সরকার দুই দেশের সম্পর্ককে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।’
পরিশেষে, শেখ হাসিনা মাহিন্দ রাজাপাকসের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করে তাকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement