২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মায়াজালে আবদ্ধ করছে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত

সীতাকুণ্ডের নয়নাভিরাম গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত: নয়া দিগন্ত -

পর্যটকদের মায়ার জালে আবদ্ধ করে প্রতিনিয়ত কাছে টানছে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। এ প্রকৃতি আপন রূপে নিজকে সাজিয়ে রীতিমতো আলিঙ্গন করে পর্যটকদের বিমোহিত করছে প্রতিনিয়ত। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রসারিত হয়ে প্রতিনিয়ত সাড়া ফেলছে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মাঝে। এ সৈকতে লোনা-বালুর বাতাসে শরীর ও মনের শিহরণ জাগিয়ে পর্যটকদের আলিঙ্গনে কাছে টানছে সবসময়। সীতাকুণ্ড সদর থেকে তিন কিলোমিটার পথ ধরে নামার বাজার রোড দিয়ে পশ্চিমে সমুদ্র তীরে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁসে গুলিয়াখালী সৈকতের অবস্থান। কেওড়া বাগানের পাশ ঘেঁসে এক কিলোমিটার পথে পা ছোঁয়া মোড়ানো মাটির চেয়ার, মাটিও ঘাস বেষ্টিত চেয়ারগুলোতে বসলে মনে হয় যেন ফোমে জড়ানো ঘরে সাজানো প্রাকৃতিক সোফা। আবার ঘাস বেষ্টিত মাটিগুলো দূরদৃষ্টিতে তাকালে চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড়ের ছোট ছোট টিলার মতো মনোরম দৃশ্য।
নানাবিধ সৌন্দর্যে আর মাধুর্যে সাজানো মনোমুগ্ধকর গুলিয়াখালী সি-বিচ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের মায়ার জালে কাছে টানছে প্রতিনিয়ত। গুলিয়াখালীর বাসিন্দা মো: ইফতেখারুল আলম জানান, আমার বাড়ির সামনে গুলিয়াখালী সৈকত। করোনার মধ্যেও মুখে মাস্কও নিরাপদ দূরত্বে হাটতে থাকা অসংখ্যপর্যটকের আগমনে মুখরিত গুলিয়াখালী সি-বিচ যেন করোনায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে। পন্থিছিলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক ভূঁইয়া জানান, সীতাকুণ্ডে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে গুলিয়াখালী সি-বিচের উন্নয়ন ও সমস্যাবলি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নজরে আনতে হবে। কারণ গুলিয়াখালী সি-বিচ কারো ব্যক্তিগত নয় বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যবস্থাপনা, সুরক্ষা কিংবা উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ একান্ত অপরিহার্য। সীতাকুণ্ড পৌরসদর ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সম্পাদক মো: বেলাল হোসেন জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গণ-মাধ্যমের প্রচারণায় গুলিয়াখালী সী-বিচে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, পরিবেশ কিংবা আবাসিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকারি সহযোগিাতা একান্ত অপরিহার্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত সরকার ঘোষিত কোনো পর্যটন স্পট না হলেও এর প্রকৃত সৌন্দর্য সত্যিই মানুষকে দারুণ আকর্ষণ করে। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement