শেখ হাসিনার শেকড় অনেক গভীরে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটি অশুভ চক্র নানান ইস্যুতে গুজব রটনা ও অপপ্রচারে লিপ্ত। সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর রাশেদ সিনহার মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে কেউ কেউ দুই বাহিনীর মধ্যে উসকানি দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ এসব বিষয়ে সচেতন রয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে ইস্যু করে কেউ কেউ সরকার হটানোর মতো দিবা স্বপ্ন দেখছে। শেখ হাসিনার সরকারের শেকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে, অপপ্রচার চালিয়ে কোনো লাভ হবে না।
গতকাল শুক্রবার সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের খুলনা সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। নিয়মিত আলোচনার অংশ হিসেবে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় সভায় তিনি যুক্ত হন। মেজর রাশেদ সিনহা হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা দেখেছেন, এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। ইতোমধ্যে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ নতুন করে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন সংক্রমণের দিক থেকে ইতালিকে ছাড়িয়ে ১৫তম অবস্থানে। দেশে কয়েক সপ্তাহ একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করলেও এ সপ্তাহের নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সাথে সাথেই সংক্রমণের হার বেশি দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষার প্রতি অবহেলা, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা আমাদের চলমান পরিস্থিতিকে যেকোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এ সময় তিনি মানুষের মাঝে মাস্ক পরিধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতা আরো বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
আদালত খুলে দেয়া প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জনস্বার্থ এবং বিচারপ্রার্থীদের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিম্ন আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। বিচারালয় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এবারের ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে ওবায়দুর কাদের বলেন, ঈদযাত্রায় ফেরিঘাটের সমস্যা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য মহাসড়কে ভ্রমণ স্বস্তিদায়ক ছিল। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জেলা প্রশাসন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সড়ক প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ জানান। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিরতি যাত্রায় ট্রাফিক আইন মেনে সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোর জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অনুরোধ জানিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান তিনি।