২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নেত্রকোনার হাওরে ট্রলার ডুবি : ১৭ লাশ উদ্ধার

মানিকগঞ্জ বানিয়াচং ও হাতিয়ায় নৌকাডুবিতে ৯ জনের মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনের হাওরে নৌকাডুবিতে নিহতদের লাশ তুলছেন উদ্ধারকর্মীরা : নয়া দিগন্ত -

নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওরে বেড়াতে গিয়ে ট্রলারডুবে ময়মনসিংহের এক মাদরাসার ১৭ জন ছাত্র-শিক্ষক মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্য ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দু’টি কন্যাশিশু ও বাকিরা পুরুষ। কন্যাশিশু দু’টির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭)। এরা সহোদরা এবং চরশিতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বুধবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার রাজালিকান্দা হাওরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জোরদার উদ্ধার তৎপরতায় ৩০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা য়ায়, বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের একটি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ ৪৮ জনের একটি দল মদনের উচিতপুর হাওরে বেড়াতে যান। উচিতপুর হাওরে ভ্রমণ শেষে বেলা ১টার দিকে ট্রলারযোগে তারা পাশের গোবিন্দ্রশ্রীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে রাজালিকান্দা হাওরে পৌঁছলে এ সময় হাওরে প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়। ভয় ও আতঙ্কে ট্রলারে অবস্থানরত সবাই অস্থির হয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। আবার অনেকে দোয়া-দরূদ পড়তে থাকেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি হাওরের পানিতে ডুবে যায়। এ সময় হাওরের চার দিকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজে অংশ নেন। কিন্তু হাওরের অথৈ পানির ঢেউয়ের তাল সামলাতে তারা হিমশিম খেতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যগণ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। স্থানীয় লোকজনও তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। উদ্ধারকারীরা হাওরে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও পানি থেকে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করেন। এ ছাড়া উদ্ধারকারীরা ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। বিকেল ৬টায় এই রিপোর্ট লেখাকালীন সময় পর্যন্ত এক যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। এই ভ্রমণযাত্রীদের মাঝে দুইজন বিশিষ্ট আলেম ছিলেন বলে জানা যায়। নিহতদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পরিচয় পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, মাহফুজুর রহমান (৪৫), শফিকুর রহমান (৪০), ইসা মিয়া (৪০), আজহারুল ইসলাম (৩৮), মাহমুদ মিয়া (১২), আসিফ (১৫), সামাআন (২০), রেজাউল করিম (১৬), মুজাহিদ মিয়া ( ১৭), হামিদুল (৩৫), সাইফুল ইসলাম রতন (৩০), জুবায়ের (২২), জহিরুল ইসলাম ( ৩৫), জাহিদ (২০), রাকিব ( ২২), লুবনা আক্তার (১০), জুলফা আক্তার (৭), ও স্বাধ (২৬), নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এই দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নিহতদের স্বজনরা হাওরপাড়ে লাশ খুঁজতে থাকেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ লাশ নিয়ে গেছেন। লাশের সন্ধানে স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের বুকভাটা কান্নায় হাওরপাড়ের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহত শিক্ষক রাকিবের (২২) বড় ভাই আর্তনাদ করে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। অনেক নিষেধ করেছিলাম হাওরে না আসার জন্য, কিন্তু সে কিছুতেই কথা শুনল না। মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারে মোট ৪৮ জন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ছিলেন। ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করো নাম ঠিকানা জানা যায়নি। তাদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের সাতজন
ময়মনসিংহ অফিসের সাইফুল মাহমুদ জানিয়েছেন, নেত্রকোনা জেলার মদনের উচিতপুরে নৌকাডুবিতে নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি ময়মনসিংহে। সদর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের একই পরিবারের সাতজন ও সাতজন মাদরাসাশিক্ষকসহ নিহতদের বাড়িতে এখন শোকের মাতম। বুধবার বিকেলে নিহতদের পরিবারের মাঝে মর্মান্তিক দুঃসংবাদটি পৌঁছার পরপরই আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে এসে তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষা করছেন কখন লাশ এবং বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো বাড়ি ফিরে আসবে।
এলাকাবাসীরা জানান, সদর উপজেলার চরখরিচা কোনাপাড়া বাজারে ‘মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহ’র মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে কোনাপাড়া গ্রামের মাদরাসাশিক্ষকদের একটি সমিতির মাধ্যমে ১৯ জন শিক্ষক ও দু’জন শিক্ষার্থীসহ ৪৮ জনকে নিয়ে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার পর্যটনখ্যাত ‘মিনি কক্সবাজার’ উচিতপুরে জামিয়া আজিজিয়া মঈনউল ইসলাম মাদরাসার আমন্ত্রণে বেড়াতে যান। সন্ধ্যায় সদরের ওই কোনাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। কেউ কেউ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ওই গ্রামের ঘরে ঘরে যেন কান্নার রোল। কেউ কেউ লাশের অপেক্ষায় রাস্তায় পথ চেয়ে আছেন।
নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়িদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। চরসিরতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়িদ জানান, খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি লাশগুলো গ্রহণ করেন এবং রাতেই লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান। নিহতরা হলেন, ‘মাদরাসায়ে মারকাজুস সুন্নাহ’র মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান (৪৫), তার ছেলে হাফেজ মাহবুবুর রহমান আসিফ (১৫) ও মাহমুদুর রহমান (১২), ভাতিজা কোনাপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জোবায়ের (২২) ও মুজাহিদ মিয়া (১৭), ভাগিনা একই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (১৬) ও মোবাইল ব্যবসায়ী জাহিদ (২০), চরখরিচা গ্রামের কৃষক ইসা মিয়া (৪০) ও তার ছেলে শামীম (১০), কোনাপাড়া গ্রামের বাছির উদ্দিনের ছেলে মাদরাসাশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম (৩৮), ইদ্রিস আলীর ছেলে মাদরাসাশিক্ষক হামিদুল (৩৫), আব্দুর রশিদের ছেলে মাদরাসাশিক্ষক সাইফুল ইসলাম রতন (৩০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাদরাসাশিক্ষক জহিরুল ইসলাম (৩৫), কোনাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মাদরাসাশিক্ষক রাকিব (২০) ও চরগোবিন্দপুরের তালেব মেম্বারের ছেলে শহিদুল (৪০) এবং গৌরীপুর উপজেলার ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শফিকুর রহমান (৪০) ও তার ছেলে সামাআন (১০)।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান জানান, করোনা মহামারীতে শিক্ষকদের ভ্রমণ করার প্রোগ্রাম করা উচিত হয়নি। খামখেয়ালিপনার কারণেই এতগুলো মানুষের প্রাণ ঝরে গেল।
মানিকগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চরমাস্তল গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে ঝড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশু মিথিলা ও শান্তর লাশ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। স্বজনরা জানান, গতকাল সকাল ৮টার দিকে চরমাস্তল এলাকায় নৌকাডুবির স্থল থেকে ৬ শ’ গজ দূরে দুই ভাইবোনের লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় স্বজনদের খবর দিলে স্বজনরা এসে মিথিলা ও শান্তর লাশ শনাক্ত করেন।
গতকালের নৌকাডুবির ঘটনায় আপন তিন ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন হনুফা (৩৭) তার বোন রোকসানা (২৮) ও ভাই রিয়াজুল (১৩)। ওই ঘটনায় এই দুই শিশু নিখোঁজ ছিল। নিহত মিথিলা (১২) গতকালের নিহত হনুফার মেয়ে ও নিহত শান্ত (১১) নিহত রোকসানার ছেলে। নিহতদের বাড়ি উপজেলার জিয়নপুর গ্রামের আবুডাঙ্গা গ্রামে। তারা চরমাস্তল চরপাড়া গ্রামে তাদের বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। মাঝপথে ঝড়ে তাদের নৌকা ডুবে যায়। নৌকার মাঝি মনির হনুফার বোনের ছেলে। তারা মনিরদের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। ১২ বছর বয়সী শান্তর আবু ডাঙ্গা গ্রামের মোজ্জামেল হক ছেলে ও ১১ বছরের মিথিলা একই গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে। এরা সম্পর্কে খালাত ভাইবোন।
নিহত শান্তর বাবা মোজ্জামেল হক জানান, আজ সকালে ছেলের লাশ পেলাম, গতকাল রাতে একই ঘটনায় স্ত্রী হোনফার লাশ কবর দিয়েছি। এমন ঘটনা আর কারো যেন না ঘটে। আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি ভাই। বন্যা আর ঝড় আমার সব কেড়ে নিয়েছে।
আবুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল রেজাউল বলেন, আমাদের গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমরা নিহতের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। চকমিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এমন নিঃস্ব পরিবারের প্রতি আমার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সবসময় নজর থাকবে।
বানিয়াচংয়ে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হাওরে নৌকাডুবির ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা হুকুরা গ্রাম থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে পাঁচকিরি হাওরে নৌকাটি ডুবে যায়। দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে শিবপাশা গ্রামের মৃত আবদুল আওয়াল মিয়ার মেয়ে দুলেনা বেগমের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হলেও তার ভাই আলী নূর (৩৮) ও আলী নূরের ছেলে খোকন মিয়া (৭) নিখোঁজ রয়ে যায়। এ অবস্থায় রাতের জন্য প্রশাসন উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করে। গতকাল বুধবার ভোরে নিখোঁজ বাবা ছেলের লাশ ভেসে ওঠে। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নৌকাডুবির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজ তদারকি করেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন।
হাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে এক জেলের মৃত্যু
হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় উল্টে গিয়ে একটি মাছধরা ট্রলার ডুবে যায়। এতে ১৮ মাঝিমাল্লা জীবিত উদ্ধার হলেও মাইন উদ্দিন (৩৮) নামে একজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরদোনা ঘাটের সন্নিকটে মেঘনার মোহনায়।
জানা যায়, এমভি মাহফুজ আলম নামের ট্রলারটি ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে যায়। বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় ট্রলারটি ঘাটের উদ্দেশে আসতে থাকে। কিন্তু ঘাটে পৌঁছার আগেই হঠাৎ ট্রলারটি উল্টে যায়। সব মাঝিমাল্লা সাঁতরিয়ে তীরে উঠে যায়। পরে অন্য ট্রলারে স্থানীয় লোকজন গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করলে ইঞ্জিন রুমের মধ্যে নিহত জেলে মাইন উদ্দিনের লাশ পাওয়ায় যায়। মাইন উদ্দিন হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মো: নুরুর ছেলে।
এ ব্যাপারে জাহাজমারা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাছুম বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যেহেতু এটি একটি দুর্ঘটনা, প্রশাসনের সাথে আলাপ করে লাশ দাফনের প্রক্রিয়া করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement