২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ঘণ্টায় ২৪৭ জনের মৃত্যু

করোনার আড়ালে প্রকোপ বাড়ছে যক্ষ্মার; ফিলিপাইনে ফের লকডাউনে কোটি মানুষ; এক দিনে শনাক্ত আড়াই লাখের বেশি; যুক্তরাষ্ট্রে ফের দ্বিগুণের বেশি মৃত্যু
-

আক্রান্ত : ১,৮৭,৬৫,৩৫৭ মৃত্যু : ৭,০৫,৫৮৩
দেশ আক্রান্ত মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্র ৪৯,২০,৯১৭ ১,৬০,৩৭২
ব্রাজিল ২৮,০৮,০৭৬ ৯৬,০৯৬
ভারত ১৯,২৬,৬৪২ ৪০,০৮১
রাশিয়া ৮,৬৬,৬২৭ ১৪,৪৯০
দ. আফ্রিকা ৫,২১,৩১৮ ৮,৮৮৪
মেক্সিকো ৪,৪৯,৯৬১ ৪৮,৮৬৯
পেরু ৪,৩৯,৮৯০ ২০,০০৭
চিলি ৩,৬২,৯৬২ ৯,৭৪৫
স্পেন ৩,৪৯,৮৯৪ ২৮,৪৯৮
কলম্বিয়া ৩,৩৪,৯৭৯ ১১,৩১৫
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক দিন গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ জন করে মারা গেছেন। এতে করে বিশ্বে প্রতি ঘণ্টায় ২৪৭ জন তথা প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু সাত লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা সাত লাখ চার হাজার ৭৮৪। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকোতে করোনায় প্রাণহানি ক্রমেই বাড়ছে।
বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়লেও এই ভাইরাসের নতুন কেন্দ্র হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং লাতিন আমেরিকা। বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যুতে ইউরোপকে ছাড়িয়ে গেছে লাতিন আমেরিকা। করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যুর প্রায় ৩০ শতাংশ মৃত্যু এই অঞ্চলে হয়েছে। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিল। এই অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড মেক্সিকোর।
এ ছাড়াও লাতিন আমেরিকার কলম্বিয়া, পেরু, আর্জেন্টিনা এবং বলিভিয়ায় করোনা মহামারীর বিস্তার দ্রুতগতিতে ঘটছে। করোনায় মৃত্যুতে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। চীনের প্রতিবেশী ভারতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ৫০ হাজরের বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং, বলিভিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, বেলজিয়াম, ইসরাইলে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। খবর আল আরাবিয়া, আরব নিউজ, ইউএন নিউজ, ইউএনবি, এএফপি, তাস, বিবিসি, এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, ওয়ার্ল্ডোমিটারস, নিউ ইয়র্ক টাইমস, বাসস ও এএফপির।
করোনার আড়ালে প্রকোপ বাড়ছে যক্ষ্মার : করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব যখন লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন খুব নীরবে যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও এইডসের প্রকোপ বাড়ছে। করোনাভাইরাস আতঙ্ক এবং ক্লিনিকগুলোতে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়ার বহু রোগীই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তার ওপর বিমান এবং সমুদ্রপথে পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ওষুধ সরবরাহও অনেকটাই কমে এসেছে। যক্ষ্মার বিস্তার নিয়ন্ত্রণেও করোনাভাইরাস ঠেকানোর মতো করেই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন এবং অসুস্থদের জন্য কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসব্যাপী চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বকে যেভাবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে, তাতে যক্ষ্মা নির্ণয়, চিকিৎসা এবং এ রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা কম গুরুত্ব পাচ্ছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেয়া লকডাউনে মানুষের চলাফেরা, ভ্রমণসহ ওষুধ সরবরাহব্যবস্থা বিঘিœত হওয়ার ফলেও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। এবার বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা, এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়া কর্মসূচির প্রায় ৮০ শতাংশ সেবাই বিঘিœত হয়েছে।
রাশিয়ার ভ্যাকসিনে আস্থা নেই ডব্লিউএইচওর : রাশিয়া অক্টোবর থেকে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন গণহারে মানুষের দেহে প্রয়োগ শুরুর ঘোষণা দেয়ার পর ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা ও বিধি অনুসরণ করার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেইয়ার বলেন, ‘মাঝে মধ্যে বিশেষ কোনো গবেষক দল দাবি করেন যে তারা কিছু খুঁজে পেয়েছেন। অবশ্যই সেটা সুসংবাদ। কিন্তু ভ্যাকসিন কাজ করছে বলে কিছু খুঁজে পাওয়া এবং সব ধাপ পার করার মাধ্যমে তার কার্যকারিতা নিশ্চিতের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে।’ তবে রাশিয়ার শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মানটুরভ বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরে বড় আকারের উৎপাদন শুরুর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। প্রতি মাসে আমরা কয়েক লাখ ডোজ উৎপাদন করতে পারব। ২০২১ সালে উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা তা কোটি ডোজে নিয়ে যাবো। একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান মধ্য রাশিয়ার তিনটি স্থানে উৎপাদন প্রযুক্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে।’ রাশিয়াতে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি এগিয়ে রয়েছে। ভ্যাকসিনটি রাষ্ট্রীয় নিবন্ধন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
ফিলিপাইনে ফের লকডাউনে কোটি মানুষ : নতুন করে করোনাভাইরাসের যে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তাতে করে দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ধসে পড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করে দেয়ার পর এক কোটিরও বেশি মানুষকে ফের লকডাউন করে রেখেছে ফিলিপাইনের সরকার। এক দিনের নোটিশে মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহের এই লকডাউন শুরু হয়েছে দেশটি লুজান দ্বীপে অবস্থিত রাজধানী ম্যানিলা ছাড়াও আশপাশের আরো চারটি প্রদেশে। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন লক্ষাধিক। সোমবারও দেশটিতে এক দিনে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ১১৫ জন ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। সামনে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরো বাড়বে বলেই শঙ্কা।
সীমান্ত খুলছে সৌদি আরব : করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাইরাইনের সাথে থাকা স্থলসীমান্ত খুলে দিচ্ছে সৌদি আরব। চার মাস ধরে বন্ধ থাকার পর অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক করতে এসব সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে। সৌদি কাস্টমসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মালবাহী বাণিজ্যিক ট্রাকগুলো সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের তল্লাশির জন্য বিশেষ ধরনের কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সৌদি শুল্ক বিভাগ। আন্তÍর্জাতিক বিমান চালু হলে সংক্রমণ ঠেকাতে আরো নানা ধরনের ব্যবস্থাও নিচ্ছে দেশটি। এ দিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই সীমিত পরিসরে সফলভাবে হজ সম্পন্ন হওয়ার পর এবার ওমরাহ চালুর কথা ভাবছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
এক দিনে শনাক্ত আড়াই লাখের বেশি : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ফের আড়াই লাখ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৫৪ হাজার মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া মারা গেছেন ছয় হাজার ২৯৮ জন। বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ১৬৭ জন। এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ১৫ হাজার ২৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৯৪ জনের মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিল। দেশটিতে মোট প্রাণহানি ৯৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন ৫৬ হাজার সংক্রমণে মোট আক্রান্ত সাড়ে ২৮ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতে গত এক দিনে মৃত্যু ৮৪৯ ও শনাক্ত ৫১ হাজার ২৮২ জন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন।
৩০ সেকেন্ডের গার্গলে ধ্বংস করোনা : কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিটাডিনই যথেষ্ট। সামান্য পরিমাণ বিটাডিন পানিতে মিশিয়ে গার্গল করতে পারলে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডে করোনাভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার মিলতে পারে। কোভিড নিরাময় নিয়ে নয়া এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনএসএস মেডিক্যাল স্কুলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়, বিটাডিন অ্যান্টিসেপটিক কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর। এ বিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড থেরাপি’ জার্নালে। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, বিটাডিনের মতো অ্যান্টিসেপটিক পণ্যগুলো ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৯৯.৯ শতাংশ করোনভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। বিটাডিনের এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সলিউশন (১০ শতাংশ পিভিপি-আই), স্কিন ক্লিনজার (৭.৫ শতাংশ পিভিপি-আই), গার্গল এবং মাউথওয়াশ (১.০ শতাংশ পিভিপি-আই) এবং গলার স্প্রে (০.৪৫ শতাংশ পিভিপি-আই)। যুক্তরাষ্ট্রে ফের দ্বিগুণের বেশি মৃত্যু : করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১ হাজার ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত দিনের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া গত এক দিনে দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যাও বেড়েছে। নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৮৪৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ১৮ হাজারের বেশি। মোট মৃত্যু ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এর আগের দিন এক দিনে দেশটিতে শনাক্ত হয় ৪৬ হাজার ৩২১ জন। মৃত্যু হয় ৫৩২ জনের। এ ছাড়া বিগত পাঁচ দিন ধরে প্রতিনিয়ত দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি ছিল। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন ও ভারতের চেয়ে করোনা-যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রই ভালো করছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমি নির্বাহী আদেশ জারি করব। এ আদেশে বর্ধিত বেকার ভাতার মেয়াদ বাড়াব, ভাড়াটেদের উচ্ছেদ না করার মেয়াদ বাড়িয়ে দেবো এবং কর্মজীবীদের মজুরি থেকে কর কেটে রাখা স্থগিত করব।’
করোনা আক্রান্ত হলে পাবেন কোটি টাকা : আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন্স তাদের বিমানে যাত্রার সময় কোনো যাত্রী করোনায় আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার খরচ দেবে। যাত্রীরা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই বিশেষ সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে সংস্থা। এমিরেটস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তাদের বিমানে যাওয়ার সময় কোনো যাত্রী করোনায় আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার খরচ বাবদ এক লাখ ৭৬ হাজার ডলার পর্যন্ত দেবে তারা, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্ত যাত্রীদের ক্ষেত্রে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচ বাবদ প্রতিদিন ১১৮ ডলার করে দেবে সংস্থাটি।


আরো সংবাদ



premium cement