২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা শনাক্ত ও সুস্থতা প্রায় সমান

এক দিনে মৃত্যু ৪৮, শনাক্ত ২,৬৯৫; ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২,৬৬৮
-

করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৮৩ জনে। এক দিনে আরও দুই হাজার ৬৯৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন হয়েছে। এ সময়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ৬৬৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট এক লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে নিয়মিত বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৬৭টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৭টি। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন দুই হাজার ৪২৪ জন, যা ৭৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী মারা গেছেন ৬৫৯ জন, যা ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন সাতজন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন, যা শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, যা শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৫ জন, যা দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০২ জন, যা ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৩৫ জন, যা ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৯০ জন, যা ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ষাটের অধিক এক হাজার ৪২৩ জন, যা ৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগভিত্তিক মৃতের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা এবং সিলেট বিভাগে পাঁচজন করে, রাজশাহীতে তিনজন এবং বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে রয়েছেন।
এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃতের সংখ্যা এবং শতকরা হারে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৪৭৫ জন, যা ৪৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৫১ জন, যা ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ; রাজশাহীতে ১৮২ জন, যা পাঁচ দশমিক ৯০ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ২১৯ জন, যা সাত দশমিক ১০ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ১০২ জন, যা তিন দশমিক ৯২ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১৫১ জন, যা চার দশমিক ৯০ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ১৭৭ জন, যা তিন দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭ জন, যা দুই দশমিক ১৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৬৩৫ জন, আর ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৩৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন মোট ৪৯ হাজার ৯৫১ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৫৬৮ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, আগামী ৩১ জুলাই থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর হটলাইন নম্বর ১০৬৫৫-এ কল গ্রহণ করা হবে। অন্য নম্বর বন্ধ থাকবে।
চট্টগ্রামে নতুন একজনসহ ২৩০ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭১ জনের নমুনায় আরো ১১২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৭ জন নগরের ও ২৫ জন বিভিন্ন উপজেলার। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ২১৩ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৩০ জন। একই সময়ে ৭৫ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১৮৭ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিভিল সার্জন অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে দেখা যায়, বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাতজন নগরের ও ১৩ জন উপজেলার। বিআইটিআইডিতে ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৬ জন নগরের ও একজন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের করোনা মিলেছে। এর মধ্যে ২৩ জন নগরের ও পাঁচজন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারো দেহে করোনার জীবাণু মিলেনি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারো দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন নগরের ও চারজন উপজেলার। শেভরণ ল্যাবে ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন নগরের ও দুইজন উপজেলার।
রাজশাহী বিভাগে আরো ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে আরো ২৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বুধবার নমুনা পরীক্ষায় তারা শনাক্ত হন। এ দিন ১৫৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার বিভাগের রাজশাহীতে ৮০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৮ জন, নওগাঁয় ১৩ জন, নাটোরে ৩৮ জন, বগুড়ায় ৫০ জন, সিরাজগঞ্জে ২৩ জন এবং পাবনায় ২১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজশাহী বিভাগে এখন মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৫৮৮ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ চার হাজার ৭৩৭ জন শনাক্ত হয়েছেন বগুড়ায়। এ ছাড়া রাজশাহীতে তিন হাজার ৫৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৮৮ জন, নওগাঁয় ৯৩৬ জন, নাটোরে ৪৭৭ জন, জয়পুরহাটে ৭০৮ জন, সিরাজগঞ্জে এক হাজার ৩৮৪ জন এবং পাবনায় ৮৪৩ জন শনাক্ত হয়েছেন।
বুধবার বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে এখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬৯ জন। বুধবার সুস্থ হওয়া ১৫৫ জনের মধ্যে ৮৭ জনের বাড়ি বগুড়া। এ ছাড়া রাজশাহীর ৩৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২ জন, নওগাঁর সাতজন, নাটোরের আটজন, বগুড়ার ৩৮ জন এবং সিরাজগঞ্জের চারজন সুস্থ হয়েছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর এক হাজার ২৫৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০৬ জন, নওগাঁর ৭১১ জন, নাটোরের ২২০ জন, জয়পুরহাটের ২০৬ জন, বগুড়ার তিন হাজার ১৯১ জন, সিরাজগঞ্জের ৪৪৪ জন এবং পাবনার ৪০৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। বিভাগে এখন হাসপাতালে আছেন এক হাজার ২০১ জন।
জামালপুরে আরো দুই ব্যক্তির মৃত্যু
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামালপুরের আরো দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জামালপুর শহরের মিয়াপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার এস এম সিরাজুল ইসলাম (৮০) গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। অন্যদিকে জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবলুর রহমান (৫৫) গত বুধবার সকালে মারা যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৪ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জন এবং মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে চারজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রণয় কান্তি দাস। এ দিকে সর্বশেষ প্রতিবেদনে জামালপুরে নতুন করে আরো তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় দুইজন ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় একজন। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছে ৯ জন।
নোয়াখালীতে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৩ জন
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কবিরহাট উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৪৭ জন। এ নিয়ে নোয়াখালী জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৮৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী সদর উপজেলায় আটজন, সুবর্ণচরে চারজন, বেগমগঞ্জে দুইজন, সোনাইমুড়ীতে দুইজন, কোম্পানীগঞ্জে ১২ জন ও কবিরহাটে পাঁচজন রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাসুম ইফতেখার।
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫৯ জনের। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১৪৬ জন। জেলায় এ দিন সুস্থ হয়েছে ১৯৪ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৯৪৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানায়। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার শনাক্তদের মধ্যে রয়েছেন সিটি করপোরেশন এলাকার ২৩ জন, লাকসাম, আদর্শ সদর ও তিতাসের একজন করে, দাউদকান্দির দুইজন, বরুড়া, বুড়িচং ও দেবিদ্বারের চারজন করে, চান্দিনার ও নাঙ্গলকোটের ছয়জন করে।
সাতক্ষীরায় উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ৩০ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৮৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন মোট ৩৫৮ জন। মারা গেছেন ২২ জন। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল খালেক (৬০)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ফকির আহম্মেদের ছেলে।
বগুড়া অফিস জানায়, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় নতুন করে আরো ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং করোনা মুক্ত হয়েছেন ৮৭ জন। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বিফিংয়ে এই তথ্য জানান বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ডা: ফারজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত ৫০ জনের মধ্যে তিনজন শিবগঞ্জ উপজেলার, চারজন আদমদীঘি, ১১ জন দুপচাঁচিয়া, তিনজন কাহালু, একজন শেরপুর, একজন গাবতলী ও বগুড়া সদর উপজেলার ২৭ জন। এই ৫০ জনসহ বগুড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন চার হাজার ৭৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় ৩৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট ২৭ হাজার ২৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৮৭ জন। এ নিয়ে মোট করোনা মুক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন হাজার ১৯১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যু না থাকায় এই সংখ্যা ১০২ জন।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই নেই মুন্সীগঞ্জে। একদিকে এগিয়ে চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে সাধারণ নারী-পুরুষের মধ্যে নেই কোনো করোনার ছাপ। এগিয়ে চলছে সমান তালে। তাই বৃহস্পতিবার নতুন আরো ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট দুই হাজার ৭৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। বৃহস্পতিবার নতুন ৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮১৮।
কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দুইজন। এ নিয়ে জেলায় মোট মারা গেছেন ৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৪৫ জন। গত বুধবার রাতে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নয়া দিগন্তকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা: মুজিবুর রহমান।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে নতুুন আরো ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে আসা ৮৩ ফলাফলের মধ্যে ৩৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭ জন, শৈলকুপায় একজন, কোটচাঁদপুরে তিনজন ও হরিনাকুণ্ডুতে চারজন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮০ জনে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরে এক দিনে সর্বোচ্চ ৯১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৪৬ জন, মতলব দক্ষিণে ছয়জন, হাইমচরে দুইজন, মতলব উত্তরে সাতজন, ফরিদগঞ্জে ১৪ জন, হাজীগঞ্জে আটজন ও শাহরাস্তিতে আটজন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে করোনার উপসর্গে মৃত চাঁদপুর শহরের বকুলতলা এলাকার আইনুল (৬৫) ও শাহরাস্তির ফখরুল ইসলামও (৫৬) রয়েছেন। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা: সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, ২৯ জুলাই বুধবার দুই দফায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৪২টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৯১টি রিপোর্ট করোনা পজিটিভ। বাকি ১৫১টি রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত এক হাজার ৭৮৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৫ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৬১৭ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৪ জন।
চুয়াডাঙ্গায় উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃতু্যু
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসারসহ নতুন করে আরো ২৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭৯ জনে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে বুধবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে চুয়াডাঙ্গা থেকে গত ২৪ জুলাই, ২৫ জুলাই ও ২৬ জুলাই তারিখের সংগৃহীত তিন দিনের ৭১টি নমুনার ফলাফল এসেছে। এতে ২৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ ও বাকি ৪৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল করোনা শনাক্ত ২৪ জনের বয়স সাত বছর থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত। এ দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে করোনা উপসর্গ নিয়ে নবিছউদ্দীন (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত নবিছউদ্দীন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের উকত গ্রামের বাসিন্দা।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নতুন করে আরো দুইজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন দুইজন। গতকাল দুপুরে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তানভীর হাসান নয়া দিগন্তকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চিকিৎসকসহ আরো চারজন করোনা মুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। গত বুধবার রাতে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ডা: তাহলিল হোসেন শাওন নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল