২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশ আবারো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল গণভবনে গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন : বাসস -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের কবল থেকে দেশবাসীর মুক্তি লাভের দৃঢ় আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, তার সরকারের নেতৃত্বে দেশ আবারো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যদিও আমাদের সব অগ্রযাত্রা সাময়িকভাবে থামিয়ে দিয়েছে। তবে আমি আশা করি, জনগণ এর থেকে মুক্তি পাবে এবং আবার আমরা এগিয়ে যাবো।’
দেশ, জাতির জন্য কাজ ও কল্যাণ করা, যেকোনো প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা এবং সৎপথে থাকার বিষয়টি তাকে জাতির পিতাই শিখিয়ে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। কাজেই, তার আদর্শেই দেশকে গড়তে চাই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে। ইনশা আল্লাহ এই বাংলাদেশ এক দিন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত হবে।’ ‘করোনাভাইরাস সমস্যাটি কেবল বাংলাদেশের একার নয়, সমগ্র বিশ্বেরই সমস্যা,’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ সময় দেশবাসীসহ সমগ্র বিশ্বের জনগণ যেন এর কবল থেকে মুক্ত হতে পারে সেজন্য ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারা দেশে এক কোটি চারা বিতরণ, রোপণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। তিনি তেঁতুল, ছাতিয়ান এবং চালতা গাছের তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং একইসাথে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২০-এরও উদ্বোধন করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন, পিএমও সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পরিবেশ ও বন সচিব জিয়াউল হাসান এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে দিনটি ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ হওয়ায় তিনি দেশবাসীকে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তাকে সে সময় কারাগারের নাগপাশ থেকে মুক্ত করে আনার জন্য সমগ্র দেশবাসীসহ বিশ্ব নেতারা এবং তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজ বাসভবন রাজধানীর ধানমন্ডি সুধা সদন থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করায় দিনটিকে সেই থেকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনটি একটি বিশেষ দিন, কারণ, ২০০৭ সালে তদানিন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে গ্রেফতার করেছিল। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি, প্রবাসী এবং বিশ্বনেতাদের প্রতি। সেই সাথে আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের সংগঠন বিশেষ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের প্রতি, কারণ তারা প্রতিবাদ করেছিলেন।’ প্রধানমন্ত্রী দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করায় তার সরকারের লক্ষ্য পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার ’৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশে বনভূমির পরিমাণ ছিল মাত্র ৭ শতাংশ যা আজকে আমরা ১৭ শতাংশে উন্নীত করতে সমর্থ হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য সারা দেশে ২৫ শতাংশ বনায়ন করব। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান করবো, আপনারা যে যেখানে আছেন, আপনার যতটুকু জায়গা আছে, সেখান আপনি যা পারেন গাছ লাগান। যারা শহরে থাকেন তারা ব্যালকনিতে টবে হলেও গাছ লাগান।’ গাছ লাগালে মনটাও যেমনি ভালো লাগবে তেমনি সেটি আপনার অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও আনবে এবং নিজের গাছের একটি ফল বা কাঁচা মরিচ খেলেও কিন্তু ভালো লাগে কাজেই আমি সেভাবেই সবাইকে আহ্বান করবোÑ আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই, বলেন তিনি।
‘আমি শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত দিয়েছি প্রত্যেককে একটি ফলদ, একটি বনজ এবং একটি ভেষজ এই তিনটি করে গাছ লাগাতে হবে। কাজেই আজকে আমি লাগিয়েছি একটি তেঁতুল গাছ, একটি চালতা গাছ এবং একটি ছাতিয়ান গাছ,’ যোগ করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement