২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আরো ৩,৫৩৩ জনের দেহে করোনা, মৃত্যু ৩৩

মোট মৃত্যু ২,৪৫৭, শনাক্ত ১,৯৩,৫৯০; এক দিনে নমুনা পরীক্ষা ১৪,০০২; মোট নমুনা পরীক্ষা ৯,৮০,৪০২
-

দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৫৩৩ জন। গতকাল বুধবার অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ হাজার দু’টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ নিয়ে মোট ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা হলো। এই সময়ে শনাক্ত তিন হাজার ৩৫৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জন হলো। আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৭৯৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ২৩ জন হলো। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩ জনকে নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৪৫৭ জনে পৌঁছল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন চার হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
ডা: নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুইজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের এবং তিনজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এ ছাড়া একজনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, মৃত্যু হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯৪৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৮৬৪ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৫ জন এবং এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২১৬ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে মোট চার লাখ ৮৩০ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৯৩১ জন এবং এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৩ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬১ হাজার ২৩৭ জন।
চট্টগ্রামে সাবেক কাস্টমস অফিসার ও ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৬৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৭) এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) খাতুনগঞ্জ শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রিদোয়ানুল হক (৩৭)। গত মঙ্গলবার রাতে ও গতকাল বুধবার তারা মারা যান। এ ছাড়া চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা নতুন করে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ১৬৭ জনের দেহে।
গতকাল বুধবার ভোরে নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করোনায় মারা যান কাস্টমস অফিসার আবুল কালাম। বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, আবুল কালাম চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (৭৯-৮০ সাল) ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী এবং চবি ছাত্রদলের প্রথম কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এ দিকে বাবার মৃত্যুর ২১ দিন পর ছেলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) খাতুনগঞ্জ শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার রিদোয়ানুল হক করোনায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি নগরীর হামজারবাগ হিলভিউ এলাকায় থাকতেন।
এ দিকে গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত এক দিনে ৯৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে নগরীর ১০৯ জন এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৫৮ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৯৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।
চিরিরবন্দরে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃতু্যু
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান, ইছামতি মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুর রহমান দুলাল (৫৩) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল ভোরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকা, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আহসানুল হক মুকুল, থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার প্রমুখ শোক প্রকাশ করেছেন।
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, জামালপুরে মেরিন প্রকৌশলী, আইনজীবী, র্যাব সদস্য, ব্যাংক কর্মচারী, পুলিশ সদস্য, ভূমি অফিসের কর্মচারী, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক, ছয় বছর বয়সের শিশুসহ নতুন করে আরও ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সাতজন, মেলান্দহ উপজেলায় তিনজন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় দুইজন, সরিষাবাড়ী উপজেলায় একজন ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫৪ জন। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছে ৫৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ২৩ জন ও হোম আইসোলেশনে ১৮১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে নতুন আরও ৩৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২২ জনে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম এ তথ্য জানিয়েছেন। এ দিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝিনাইদহ শহরের আদর্শ পাড়ার তিনটি এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আদর্শপাড়ার ওই তিন এলাকা আগামী সাত দিন লকডাউন থাকবে।
যশোর অফিস জানায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে গতকাল বুধবার ৯৭টি নমুনাকে পজিটিভ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। আর নেগেটিভ হয়েছে ১৭৫টি। মঙ্গলবার যশোর ও মাগুরা জেলার মোট ২৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে বুধবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। যবিপ্রবি এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, এ দিন তাদের ল্যাবে যশোরের ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৭৪টি নমুনা পজিটিভ রেজাল্ট দেয়। আর মাগুরার ৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায় ২৩টির। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী যশোর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ছিল এক হাজার ৮৫। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৬৬ জন।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ পিসিআর ল্যাব থেকে নতুন ৫০টি নমুনার ফলাফল আসে। ওই ফলাফলে ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ ও বাকি ৩৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আক্রান্তদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পৌর এলাকার ফার্মপাড়ায় একজন, থানা কাউন্সিল পাড়ায় তিনজন, গুলশানপাড়ায় একজন, দৌলাতদিয়াড়ের একজন ও ডিঙ্গেদহ আনসার ক্যাম্পের দুইজন। জেলায় এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৩ জনে। গতকাল নতুন একজন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ২০২ জন।
রাজশাহী বিভাগে নতুন শনাক্ত ২৬১ জন, সুস্থ ৪৪
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে নতুন আরও ২৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষায় তারা শনাক্ত হন। এ দিন সুস্থ হয়েছেন ৪৪ জন। আর মারা গেছেন একজন। গতকাল বুধবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মারা যাওয়া এক কোভিড-১৯ রোগীর বাড়ি বগুড়া। এ নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ১১৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়ায়। এ ছাড়া রাজশাহীতে ১৫, নওগাঁয় ১১, নাটোরে এক এবং সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় ৯ জন করে মারা গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে এখনো কারো মৃত্যু হয়নি।
মঙ্গলবার নতুন শনাক্ত ২৬১ জনের মধ্যে সাতজন রাজশাহীর বাসিন্দা। এর বাইরে বগুড়ায় ৭০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুইজন, নওগাঁয় ১৭ জন, জয়পুরহাটে ৪৭ জন, পাবনায় ১৫ জন এবং সিরাজগঞ্জে ৩৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। বিভাগের আটটি জেলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৭ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়ায় তিন হাজার ৮৮৮ জন, রাজশাহীতে এক হাজার ৮৬১, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২৭, নওগাঁয় ৬৯৬, নাটোরে ৩০৫, জয়পুরহাটে ৫৯৭, সিরাজগঞ্জে ৯১৯ এবং পাবনায় ৬১৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সুস্থ হওয়া ৪৪ জনের প্রত্যেকের বাড়ি বগুড়ায়। পুরো বিভাগে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫৪৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৫৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৩ জন, নওগাঁর ৫১৩ জন, নাটোরের ১০১ জন, জয়পুরহাটের ১৮২ জন, বগুড়ার এক হাজার ৯০৩ জন, সিরাজগঞ্জের ১৫৬ জন এবং পাবনার ২৪৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। বিভাগে এখন হাসপাতালে আছেন ৯৫৯ জন।
বগুড়ায় করোনায় সাত দিনের শিশু ও উপসর্গে বৃদ্ধের মৃত্যু
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সাত দিন বয়সী এক শিশু ও উপসর্গে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন এবং ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন। মৃত শিশুর পরিচয় প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্য মৃত ব্যক্তি সরকারের হিসাব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ (৬৫) বগুড়া শহরের মালগ্রামের বাসিন্দা ও সোনাতলা উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের অধিবাসী। বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি মারা গেছেন। গত ১০ জুলাই তিনি জ¦র, শ^াসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গত ১০ জুলাই ভর্তি হন এবং ১১ জুলাই তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত তার ফলাফল মেলেনি। ওই হাসপতালের আরএমও ডাক্তার খায়রুল বাশার মোমিন জানান, লাশ জীবাণুমুক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ দিকে বুধবার বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নতুন আক্রান্ত ৭০ জনের মধ্যে বগুড়া সদরে ৫০ জন, শাজাহানপুরে সাতজন, শেরপুরে তিনজন, গাবতলীতে তিনজন, শিবগঞ্জ, আদমদীঘি, কাহালু, দুপচাঁচিয়া, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটে একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে বগুড়ায় করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৭৮ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৪৪ জন, মারা গেছেন ৭৩ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজার ৮৬১ জন।


আরো সংবাদ



premium cement