২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগামী সপ্তাহে বন্যা হবে ২৩ জেলায়

চারদিকে থই থই পানি, কিন্তু নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি। তাই বুক সমান বন্যার পানি ভেঙে আনতে হয় বিশুদ্ধ পানি। মুন্সীগঞ্জ এলাকা থেকে তোলা ছবি : নয়া দিগন্ত -

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে নতুন করে ২৩ জেলায় বন্যা দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: এনামুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জনান। দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। গত ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ছিল এই বন্যা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১১ জুলাই থেকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়বে। এ পানিতে ২৩ জেলার মানুষ বন্যাকবলিত হবে। বন্যা দীর্ঘায়িত হবে। তাই ইতোমধ্যে প্রত্যেক জেলায় ২০০ টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা, দুই লাখ টাকা শিশুখাদ্যের জন্য, দুই লাখ টাকা গবাদিপশুর জন্য এবং দুই হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট গতকালই পাঠিয়ে দিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ জেলায় বন্যা দেখা দেবে। এই ২৩ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করতে হবে, বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করতে হবে। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।
তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করে সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। কতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলো এবং সেখানে কতজন আশ্রয় নিয়েছেন সে তালিকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার জনগণকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, তিনি সব সময় আপনাদের খবর রাখেন এবং আমাদের নির্দেশ দেন। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। কাজেই কোনো অবস্থায়ই খাবারের কোনো সঙ্কট হবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement