২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জুনেই ৬০ শতাংশের বেশি মৃত্যু

করোনায় দুই সহস্রাধিক মৃত্যু; এক দিনে মৃতু্যু ৫৫, শনাক্ত ২,৭৩৮; মার্চ মাসে পাঁচজনের মৃত্যু, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে মাসে ৪৮২ জন, জুনে ১,১৯৭ জন; জুলাইয়ের প্রথম পাঁচ দিনে ২০৫ জনের মৃত্যু
-

এক দিনে আরও অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেল। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৫২ জন। গত এক দিনে আরও দুই হাজার ৭৩৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন হলো।
বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৯০৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৭২ হাজার ৬২৫ জনে।
গতকাল রোববার অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রায় এক মাস পর মৃতের সংখ্যা ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। গত ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন। প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল।
এই হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে সময় লেগেছিল দুই মাস সাত দিন। পরের ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ১৬ দিনের মধ্যে। তার পরের ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ১২ দিনে। মৃতের তালিকায় আরও ৫০০ জন যোগ হতে সময় লাগল ১৪ দিন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মার্চ মাসে মোট মৃত্যু ছিল পাঁচজনের, এপ্রিলে ১৬৩ জন, মে মাসে ৪৮২ জন এবং জুনে এক হাজার ১৯৭ জন। আর জুলাইয়ের প্রথম পাঁচ দিনে মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৫ জন। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দেশে মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশের বেশি শুধু জুন মাসে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪১ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগের, দুইজন সিলেট বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, আটজন রংপুর বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৫৫ জনের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৭০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এ ছাড়া ৯ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে এ পর্যন্ত যে দুই হাজার ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে এক হাজার ৬২৪ পুরুষ, ৪২৮ জন নারী। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬০ জন ঢাকা বিভাগে, ৬৩৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১০২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৮৬ জন সিলেট বিভাগের, ৬১ জন রংপুর বিভাগের, ৮৮ জন খুলনা বিভাগের, ৭২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ৪৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের।
বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৭৩টি পরীক্ষাগার চালু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা সংগ্রহের তথ্য এসেছে। নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি ও ঢাকার সিআরএল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ৬৮টি পরীক্ষাগারে গত এক দিনে ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে; এ পর্যন্ত দেশে পরীক্ষা হয়েছে আট লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি নমুনা।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, মৃত্যু হার এক দশমিক ২৬ শতাংশ।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন সাত হাজার ১১৩ জন কোভিড-১৯ রোগী, আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৩৫৫ জন। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১৭ জন। এই সময়ে ৪৪৯ জন রোগীকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬ হাজার ৭১৫ জন রোগী। হাসপাতালে ভর্তির জন্য ০১৩১৩৭৯১১৩৮-৪০ অথবা ০১৩১৩৭৯১১৩০ নাম্বার ফোন করলে তথ্য পাওয়া যাবে বলে নাসিমা সুলতানা জানান।
রাজশাহী বিভাগে ছয় হাজার ৮৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বগুড়ার চেয়েও বেশি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছেন রাজশাহীতে। এ জেলা এখন সংক্রমণে বিভাগে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। রাজশাহীতে যে হারে প্রতিদিন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন তাতে উদ্বিগ্ন সবাই।
গতকাল রোববার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য সাংবাদিকদের জানান, বিভাগে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৮৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন হাজার ৩০৭ জনই বগুড়ায়। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৫ জন শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহীতে। গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান বলছে, বগুড়ার চেয়েও এখন রাজশাহীতে বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগী।
শনিবার রাজশাহীতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৬ জন। এ দিন বগুড়ায় শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। তার আগের দিন শুক্রবার রাজশাহীতে শনাক্ত হয়েছিলেন ৭৯ জন। আর বগুড়ায় শনাক্ত হন ৪৭ জন। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ১২৫ এবং বগুড়ায় ১৪৭ জন শনাক্ত হন। বুধবার রাজশাহীতে ১০৬ এবং বগুড়ায় ৭৩ জন শনাক্ত হন। তারও আগের দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে ৬৯ এবং বগুড়ায় ৬১ জন শনাক্ত হন। গত পাঁচ দিনে রাজশাহীতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪৭৫ জন। আর বগুড়ায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৯ জন।
রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর এক হাজার ৮৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৭৯৯ জনই শনাক্ত হয়েছেন মহানগরীতে। এর বাইরে জেলার বাঘা উপজেলায় ২৩, চারঘাটে ৩১, পুঠিয়ায় ১৪, দুর্গাপুরে ১৬, বাগমারায় ৩২, মোহনপুরে ৪৩, তানোরে ৪৩, পবায় ৭৪ এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৬ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৫৫৯ জন, নাটোরে ২৪৪ জন, জয়পুরহাটে ৪৫৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৬২৭ জন এবং পাবনায় ৪৭৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬১ জন মারা গেছেন বগুড়ায়। এ ছাড়া নওগাঁয় সাত, নাটোরে এক এবং সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় আটজন করে মারা গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে এখনো কারো মৃত্যু হয়নি করোনায়।
বিভাগের আটটি জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ এক হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১, নওগাঁয় ৩৪৩, নাটোরে ৭৬, জয়পুরহাটে ১৫১, বগুড়ায় ৯৩৭, সিরাজগঞ্জে ৬৭ এবং পাবনায় ১৪৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। পুরো বিভাগে এখনো হাসপাতালে আছেন ৬০৮ জন। আর বাকি রোগীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাজশাহীতে এক দিনেই আক্রান্ত ৮৪ জন : রাজশাহীর দু’টি ল্যাবে এক দিনেই আরও ৮৪ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবে রাজশাহীর ২১ জন এবং রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগের ল্যাবে ৬৩ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে। রাতে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা: সাইফুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, শনিবার তাদের ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শনাক্তদের মধ্যে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ১৬ জন, রোগী ২২ জন, নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ২১ জন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মী একজন, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী পাঁচজন এবং চারঘাট উপজেলার একজন চিকিৎসক রয়েছেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানেও ১৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এর মধ্যে রাজশাহীর ২১ জন এবং নাটোরের ১৬ জন। রাজশাহীর আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরীর ১২ জন, তানোরের ছয়জন ও দুর্গাপুর উপজেলার তিনজনের করোনা শনাক্ত করা হয়। রামেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা: বুলবুল হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুমেক হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনায় ও উপসর্গে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীসহ পাঁচজন মারা যান। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: সাজেদা খাতুন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। মারা যাওয়াদের মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৃত কবির মাহমুদের ছেলে আবদুল হালিম (৬৮) এবং চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার আবদুর রশিদের ছেলে টিপু সুলতান (৪৬), বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকার মৃত আবুল হাসেমের মেয়ে নূরজাহান বেগম (৮০), কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপালনগর এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে মোশাররফ হোসাইন (৫৩) এবং করোনা ওয়ার্ডে মারা যান কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মৃত হাজী বাক্স আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৮৮)। কুমিল্লা মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে এখন পর্যন্ত পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১২১ জন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৬২ জন ও করোনা উপসর্গ ৫৯ জন।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল কালিগঞ্জের নিশ্চিন্তপুরে একই পরিবারের পাঁচজনসহ নতুন করে ১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে আসা ৩৪ জনের গতকালের ফলাফলের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৭ জনে। নতুন আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে সদরে তিনজন, কালিগঞ্জে নিশ্চিন্তপুর একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১০ জন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নীলফামারীতে পৌরমেয়রসহ ৪১ জনের করোনা শনাক্ত
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারসহ নতুন করে আরো ৪১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪০৭ জনে। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব হতে পাঠানো নমুনার রিপোর্টে পাওয়া তথ্যে নতুন ৪১ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, জলঢাকা উপজেলায় সাতজন, সৈয়দপুর উপজেলায় ১২ জন, ডোমার উপজেলায় দুইজন, ডিমলা উপজেলায় একজন এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচজন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৩ জন।
চান্দিনায় আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু
চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার চান্দিনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চারু মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চান্দিনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এ ছাড়া এ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬ জন। গতকাল রোববার সকালে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত চারু মিয়া চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের জামিরাপাড়া গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
শৈলকুপায় একজনের মৃত্যু
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের রফিউদ্দিনের ছেলে সরোয়ার মোর্শেদ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সরোয়ার সিলেটে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে কিছু দিন আগে গ্রামের বাড়ি আসেন। এরপর ঝিনাইদহে করোনা পরীক্ষার পর ফলাফল পজিটিভ আসে। চিকিৎসা চলাকালে অবস্থা খারাপ হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে গত শনিবার বেলা ৩টায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গার দুইজনের ঢাকায় মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদায় করোনা নিয়ে দুইজনের ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার তাদের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা শহরের মালোপাড়ার আরা হালদার ওরফে তারা (৪৫) এবং দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলি মালিতার স্ত্রী (৬৫)।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক এবং তার পরিবারের আটজন সদস্যসহ সর্বমোট ৪৭ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে কটিয়াদী উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তানভীর হাসান নয়া দিগন্তকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নতুন করে ২৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্টে উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন পাঁচজন।
দামুড়হুদায় বৃদ্ধার মৃত্যু
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা জানায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার পুডাপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলি মালিতার স্ত্রী। শুক্রবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামে ২২০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মহানগরে ১৬২ জন এবং উপজেলায় ৫৮ জন। গত ৪ জুলাই এক হাজার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া যায়। একই সময়ে দুইজন মৃত্যুবরণ করে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৯ জনে। রোববার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি নয়া দিগন্তকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২২০ জনের কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৮৮৮ জন। এ ছাড়া শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন দুইজন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে মোট এক হাজার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের, বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৪৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৩ জনের, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২০৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে চট্টগ্রামের তিনটি নমুনা পরীক্ষা করে একটিও কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়নি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৮৮ জন। তার মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৮২৫ এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৯ জন।
সাতক্ষীরা মেডিক্যালে উপসর্গ নিয়ে চার ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে দুইজনসহ ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনজন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে তারা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা শহরের এক বৃদ্ধ (৯৫), কলারোয়া উপজেলার এক গৃহবধূ (৪০) ও দেবহাটা উপজেলার এক নারী (৬০)।
সাভারে শিক্ষকের মৃত্যু
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, সাভারে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার রাতে মারা গেছেন এক শিক্ষক। তার নাম নয়ন গিলবার্ট রোজারিও (৪৯)। তিনি ধরেন্ডা সেন্ট যোসেফস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি স্থানীয় ধরেডডা ধর্মপল্লীর রাজাসন গ্রামের সুশীল রোজারিওর ছেলে। গত ৬ জুন তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে শ্বাসকষ্ট হলে ৮ জুন তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে দুই দফায় প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি গত শনিবার রাতে মারা যান।
আগৈলঝাড়ায় উপসর্গ নিয়ে নারী প্রভাষকের মৃত্যু
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারী প্রভাষকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: বখতিয়ার আল মামুন জানান, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামের ভক্তরঞ্জন হালদারের মেয়ে ও মোহনকাঠী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সুরুচি হালদার (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে গত বুধবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। গত শনিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৩২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।
নোয়াখালীতে তিনজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু ও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ২৬৪ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নোয়াখালী সদর উপজেলায় ১০ জন, কোম্পানীগঞ্জে ছয়জন ও কবিরহাটে ৯ জন রয়েছেন। গতকাল রোববার জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁয় সকালে স্বাভাবিক দাফন, বিকেলে প্রতিবেদন করোনা পজিটিভ
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে নতুন করে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে লাশ দাফনের পর। দাফনও হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে। শনিবার নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট আটজনের মৃত্যু হলো। মৃত ব্যক্তির নাম হারুন দফাদার (৫৫)। তিনি নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা। করোনার উপসর্গ নিয়ে হারুন প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তখন তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।
টাঙ্গাইলে আরো একজনের মৃত্যু, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড লকডাউন
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি বাসাইলে। বাসাইল উপজেলায় করোনায় এটিই প্রথম মৃত্যু। এ নিয়ে জেলায় মারা গেলেন ১৪ জন। নতুন করে আরো ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৭ জনে। এ দিন আরো ১২৮ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩২৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৪০৪ জন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১৯ মাস বয়সী এক শিশু করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শিশু ওয়ার্ডটি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, রোববার সকালে আরো ১৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ১০ জন, মির্জাপুরে ছয়জন এবং বাসাইলে একজন। এর মধ্যে বাসাইলের করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ফকিরহাটে উপসর্গ নিয়ে নারীর মৃত্যু
ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কামটা গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন জাহানারা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহপরিচালিকা। তিনি গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান। ঢাকার একটি বাসায় তিনি গৃহপরিচালিকার কাজ করতেন। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে গত ২৭ জুন জাহানারা বেগম বাড়িতে আসেন।
গোলাপগঞ্জে এক ব্যক্তির মৃত্যু
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) সংবাদদাতা জানান, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাহাব উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে তিনি সিলেট শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত সাহাব উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউপির দত্তরাইল গ্রামে। তিনি ইছরাব আলীর ছেলে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: শাহিনূর ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, জামালপুরে গত দুই দিনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন একসাথে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই প্রতিবেদনে নতুন করে আরো ৩৩ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় ২৩ জন, জেলার ইসলামপুর উপজেলায় পাঁচজন, সরিষাবাড়ী উপজেলায় চারজন এবং মাদারগঞ্জ উপজেলায় রয়েছেন একজন। তাদের মধ্যে ইসলামপুরে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক, সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি যমুনা সারকারখানা এলাকার দুইজন চাকরিজীবী এবং জামালপুর সদরে একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন র্যাব সদস্য, পোস্ট অফিসের চারজন কর্মচারী ও একজন ব্যাংক কর্মচারী রয়েছেন। এ পর্যন্ত জামালপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩১ জন। অন্য দিকে সর্বশেষ ১৯১ জনসহ মোট সুস্থ ৪২৯ জন এবং এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ৯ জন। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুড়িগ্রামে আক্রান্ত ৪৯, নমুনা পরীক্ষায় ধীরগতি
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় শনিবার এক দিনে ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে কমপক্ষে ১০ জন। এ দিকে সময়মতো নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে না আসায় জটিলতা বাড়ছে। গত ১৫ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সংগৃহীত ৩৯৬টি নমুনার ফলাফল শনিবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় ৩৪৩ জন নেগেটিভ। এর মধ্যে চারজন ফলোআপ রোগীরও পজিটিভ ফলাফল আসে। ফলাফল পাওয়ার তিন দিন আগে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে বিলম্বিত এ ফলাফলের কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ ভাগ এবং আক্রান্তের হার সাত দশমিক ৩৪ ভাগ। আর সুস্থ হওয়ার হার ৪৬ দশমিক ৬০ ভাগ।
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারীসহ চারজন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল রোরবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা।
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের এক কনস্টেবলসহ আরো পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২১ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চারজনসহ সর্বমোট ৭৯ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন- বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী রুবেল মিয়া, উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের আবদুল কাদির, দীঘিরপাড়ের পাটলী গ্রামের আবুল কালাম ও মধ্য ভাগলপুর গ্রামের জাকারিয়া ইসলাম।

 


আরো সংবাদ



premium cement