২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা সংক্রমণে শীর্ষ ২০ নম্বরে বাংলাদেশ

মোট মৃত্যু ৮১১, শনাক্ত ৬০,৩৯১
-

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো দুই হাজার ৮২৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং আরো ৩০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ হাজার ৩৯১ জন। আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৮১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা যায় বলে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।
এ দিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ২০ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যে চীন থেকে এই ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে সেই চীন এখন ১৮ নম্বরে। দেশটিতে সংক্রমণের সংখ্যা ৮৩ হাজার। আর ১৯ নম্বরে থাকা কাতারের সংক্রমণ হয়েছে ৬৩ হাজার মানুষের দেহে। ২১ নম্বরে আছে বেলজিয়াম। দেশটিতে সংক্রমণ হয়েছে ৫৮ হাজার মানুষের দেহে। সর্বাধিক ১৯ লাখ সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ব্রাজিল ও রাশিয়া। দেশ দু’টিতে যথাক্রমে সংক্রমণ ছয় লাখ ১৫ হাজার ও সাড়ে চার লাখ।
জুন মাস শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে একদিনেও শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি। একটানা চার দিন ধরে মৃতের সংখ্যা ৩০ কিংবা তার চেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ২০ শূন্য সাত শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন করে মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে ২৩ জনই পুরুষ এবং সাতজন নারী। সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরো ৬৪৩ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৮০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য বুলেটিনে নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। এর মধ্যে ১৭ জন হাসপাতালে, ১৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগের, একজন রংপুর বিভাগের এবং দুইজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৩০ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এ ছাড়া দুইজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২০ শতাংশ, মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৪ শতাংশ।
নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ। তবে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে কারিগরি ত্রুটির কারণে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
অধ্যাপক নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৩৬৫ জনকে, আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ছয় হাজার ৯৪৬ জন রোগী এবং ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ২৪৫ জন, ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৪৯৫ জন।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম মৃত্যুর সংবাদ আসে।
রাজশাহী বিভাগে আরো ৭২ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত, দুইজনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো জানান, রাজশাহী বিভাগে আরো ৭২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো দুইজনের। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আটটি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলাতেই করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ২০৮ জন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন করে বিভাগের পাঁচ জেলায় ৭২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বগুড়ায়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে ২২ জন, রাজশাহীতে ছয়জন, নাটোর ও পাবনায় একজন করে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন বগুড়া জেলায় দুইজন। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। এই সময়ের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন।
ডা: গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য জানান, বিভাগে যে এক হাজার ২০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ৫১৭ জনই বগুড়া জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া জয়পুরহাটে ২০৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৯৪ জন, রাজশাহীতে ৭২ জন, নাটোরে ৬১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৬ জন এবং পাবনায় ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভাগে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এর মধ্যে রাজশাহী ও বগুড়ায় তিনজন করে, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে দুইজন করে এবং নাটোরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিভাগজুড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৩০৯ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে জয়পুরহাটে ১৮০ জন, বগুড়ায় ৮৮ জন, রাজশাহীতে ২২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আটজন, নওগাঁয় সাতজন, সিরাজগঞ্জে তিনজন এবং পাবনায় একজন।
এ পর্যন্ত বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৭৭ জন। এর মধ্যে ৯১ জন নওগাঁর, ৮০ জন জয়পুরহাটের, বগুড়ার ৪৭ জন, সিরাজগঞ্জের ১৪ জন, রাজশাহীর ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৩ জন, নাটোরের ১১ জন এবং পাবনার আটজন রয়েছেন।
রাজশাহী নগরীর ছয়জনের করোনা শনাক্ত : এক দিনে রাজশাহী নগরীর ছয়জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাদের মধ্যে দুইজন রাজশাহীর খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুইজন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) কর্মী। আর অন্য দুইজন গত মঙ্গলবার করোনায় মারা যাওয়া বন কর্মকর্তার ছেলে এবং মেয়ে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
বগুড়ায় বিএনপির সাবেক নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু
বগুড়া অফিস জানান, টিএমএসএস’র উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সাবেক বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন (৭২) করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি জ¦র, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৩ জুন ভর্তি হন বগুড়া টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাপসাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে তার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টিএমএসএস’র উপনির্বাহী পরিচালক ডাক্তার মতিউর রহমান। তিনি আরো জানান, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাকে দাফন করবে প্রশাসন। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে বগুড়ায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জন শনাক্ত
খুলনা ব্যুরো জানান, খুলনায় বিশেষ করে নগর এলাকায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। তাদের ৩০ জনই খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা। এটা এখনো পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল। খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা: মেহেদী নেওয়াজ বলেন, পিসিআর ল্যাবে বৃহস্পতিবার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১৪১টি। নমুনা পরীক্ষার পর ৩৫টি পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে খুলনা মহানগরী এলাকার ৩০টি, যশোরের চারটি ও ঢাকার একটি।
মির্জাগঞ্জে উপসর্গ নিয়ে এক ড্রাইভারের মৃত্যু
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মজিবর রহমান আকন (৪৬) নামে এক ড্রাইভারের মৃতু্যু হয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির নমুনাসহ একই পরিবারের চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত মজিবরের ছেলে আশিক আকন জানান, তার বাবা পেশায় একজন গাড়ি চালক। ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত এবং ৭০ বছরের একজন বয়স্ক মহিলা সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের ২৩ বছরের একজন নার্স ও ৫০ বছর বয়সের একজন পুরুষ রয়েছেন।
নলছিটিতে একজনের মৃত্যু
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে তার মৃত্যু হয়। দেলোয়ার হোসেন নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দেলোয়ার হোসেন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। শ^াসকষ্ট ও বুকে ব্যথা নিয়ে তাকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হলে শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুরে উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু
চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মাহবুবুল হক পাটওয়ারী (৬০), আবদুল আউয়াল সরদার (৪৮) ও আব্দুল কুদ্দুছ (৫৫)। এ দিকে গতকাল শুক্রবার আরো তিনজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫৮ জন। চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের বড় সুন্দর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির মাহবুবুল হক বৃহস্পতিবার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল সরদার করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ সরদার বাড়ির বাসিন্দা। আগের দিন বৃহস্পতিবার তার করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নে করোনার উপসর্গ নিয়ে আব্দুল কুদ্দুছ নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। স্থানীয়রা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।
শরীয়তপুরে দুই চিকিৎসক ও এক সাংবাদিকসহ ১৬ জন আক্রান্ত
শরীয়তপুর সংবাদদাতা জানান, শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও শরীয়তপুর দীপ্ত টেলিভিশনের সাংবাদিকসহ নতুন ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৫ জন। আক্রান্তদের মধ্য থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনসহ মোট ৬৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা: এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ জানান, এ পর্যন্ত জেলা থেকে তিন হাজার ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত দুই হাজার ৮৭৭টি ফলাফলের মধ্যে দুই হাজার ৭২২টি নেগেটিভ ও ১৫৫টি পজিটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৫ জন, জাজিরা উপজেলায় ২৭ জন, নড়িয়া উপজেলায় ২১ জন, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ২১ জন, গোসাইরহাট উপজেলায় ১৪ জন ও ডামুড্যা উপজেলায় ২৭ জন।
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, জামালপুরে নতুন করে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের এমপির ব্যক্তিগত সচিব, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, পোশাককর্মীসহ আরো ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জামালপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২২ জনে। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন রোগী। জামালপুরে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩৬ জন এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়জন, ইসলামপুর উপজেলায় ছয়জন, সরিষাবাড়ী উপজেলায় দুইজন, মাদারগঞ্জ উপজেলায় দুইজন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় দুইজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। এ দিকে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জেলার মাদারগঞ্জের করোনা পজিটিভ শনাক্ত এক যুবকের সন্ধান পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলালের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় নতুন করে আরো তিন পোশাকশ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। তাদের মধ্যে আবু হানিফ নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মমেক) ল্যাবে কোভিট-১৯ নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ওই তিন পোশাকশ্রমিকের রক্তে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। আক্রান্তরা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন কারখানায় পোশাকশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
শেরপুর সংবাদদাতা জানান, শেরপুরে আরো ছয়জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলায় দুইজন ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় চারজন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন ১১৪ জন। আক্রান্তের বাড়ি ও সংস্পর্শে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৫৮ জন।
কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জন ডা: মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানান। এ সময়ে জেলায় যারা আইসোলেশনে আছেন তাদের মধ্য থেকে ছয়জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২১৬ জন। এ দিকে জেলায় ২৪ ঘণ্টায় যে ৪৭ জন শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ৩৩ জনই ভৈরব উপজেলার। মোট শনাক্তের ১৮৩ জন এই উপজেলার। জেলায় মোট মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে তিনজন ভৈরবের।
কোম্পানীগঞ্জের সবাই করোনামুক্ত
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আরো এক করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এর ফলে কোম্পানীগঞ্জে শনাক্তকৃত আটজনের সবাই করোনামুক্ত হলেন। শুক্রবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ সেলিম এ তথ্য জানান।
রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। মৃত ব্যক্তিদের একজন পৌর শহরে ভা-ারা কলেজ পাড়ার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে আবুল কাশেম (৬০)। অন্যজন পৌরশহরের ভা-ারা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত কালু মোহাম্মদের স্ত্রী আমেনা বেগম (৮০)।
টাঙ্গাইলে করোনা রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়াল
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে করোনা রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার ডাক্তার-নার্স ও মা-মেয়েসহ নতুন করে আরো ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। এ নিয়ে টাঙ্গাইলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৯ জনে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৫৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। আক্রান্তদের মধ্যে মির্জাপুরে পাঁচজন, নাগরপুরে চারজন, সখীপুরে দুইজন, গোপালপুরে একজন, দেলদুয়ারে একজন, কালিহাতীতে সাতজন এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ছয়জন রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নারী চিকিৎসক রয়েছেন।
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামে করোনার নমুনা দিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া নারীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। ওই নারীর নাম ফিরোজা বেগম (৩৬)। তিনি একই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মারা যাওয়ার তার শ্বাসকষ্ট ছিল।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জে শুক্রবার নতুন করে আরো ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ৯০৯ জন আক্রান্ত হলেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় আটজন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১৫ জন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ৯ জন, গজারিয়া উপজেলায় ৯ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১১ জন এবং লৌহজং উপজেলায় চারজন রয়েছেন।
সুস্থ হলেন মুন্সীগঞ্জের ডিসি : মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মনিরুজ্জামান তালুকদার সুস্থ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার তার সর্বশেষ ফলোআপ রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ এসেছে। পরপর দু’টি পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসায় জেলা প্রশাসনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ফরিদপুরে পুলিশ-র্যাব সদস্যসহ ৪৭ জন আক্রান্ত
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে নতুন করে আরো ৪৭ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২৬ জন। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা: ছিদ্দিকুর রহমান জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ১৯, সদরপুরে ১০, চরভদ্রাসনে পাঁচ, নগরকান্দায় তিনজন এবং ভাঙ্গা, সালথা ও মধুখালীতে একজন করে। তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন পুলিশ ও একজন র্যাব-৮ এর সদস্য রয়েছেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: সাইফুর রহমান জানান, ফমেকের পিসিআর ল্যাবে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ৩৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৭০ জনের। এর মধ্যে ফরিদপুরে ছয়টি পুরাতনসহ মোট ৪৭ জন ও গোপালগঞ্জে ২৩ জন রয়েছেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান বলেন, ভাঙ্গা, ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী, নগরকান্দা, চরভদ্রাসন ও সদরপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুুন করে যে ৪৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ছাতকে আরো একজনের মৃত্যু
ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের ছাতকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পিয়ারা মিয়া (৭০) নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পৌরসভার বাগবাড়ী আবাসিক এলাকার মৃত হরমুজ আলীর ছেলে। শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট প্রকাশের মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় তিনি সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে উপজেলায় দুই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
চট্টগ্রামে সপরিবারে এমপি, এডিসি-ম্যাজিস্ট্রেটসহ করোনার কবলে ১৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, তার স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনী ও এক মেয়ের জামাইসহ পরিবারের সাতজন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আবু হাসান সিদ্দিক এবং সহকারী কমিশনার (পতেঙ্গা সার্কেল) এহসান মুরাদসহ ১৩২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক এবং পুলিশও। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বী এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস এবং বাসার তিনজন কাজের মেয়েরও করোনা ধরা পড়েছে। এমপি পরিবারের আক্রান্ত সবাই নগরের বাসায় আইসোলেশনে আছেন। এর আগে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত ১ জুন এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের নগরের বাসা থেকে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদের ১১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জে দুই নার্স ও এক পরিসংখ্যানবিদসহ ২০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৪২ জনে। গতকাল শুক্রবার সকালে সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে কাশিয়ানী উপজেলায় আটজন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সাতজন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় তিনজন এবং মুকসুদপুর উপজেলায় দুইজন রয়েছেন। গোপালগঞ্জ থেকে এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪২ জনের দেহে করোনা পজিটিভ হয়। আক্রান্তদের মধ্যে থেকে একজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১২০ জন আর বাকি ১২১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে জেলায় ২২২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চার চিকিৎসকসহ ২৯ জন, মুকসুদপুরে ১৮ পুলিশ সদস্য ও এক ডাক্তারসহ ৫৬ জন, কাশিয়ানীতে ৫৬ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৫ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় এক চিকিৎসক ও এক নার্সসহ ৪৬ জন রয়েছেন।
কক্সবাজারে করোনায় পর্যটন ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কক্সবাজার সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায়ী আবু সায়েম ডালিম (৪৩) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া উপজেলায় ইউএনএইচসিআর পরিচালিত বিশেষ আইসোলেশন সেন্টারে মারা যান। গত এক সপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি রামু উপজেলায় আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উখিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বিকেলে দিকে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার আইসিইউ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু কক্সবাজারে এর ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ঢাকায় নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ঢাকা পাঠানো আগেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নতুন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্টসহ চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামের একজন, সহবতপুর ইউনিয়নের দারা কুমুল্লী গ্রামের একজন এবং নাগরপুর সদর ইউনিয়নের আন্দিবাড়ি গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ জন।
নবীনগরে তিন পরিবারে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিন পরিবারে নতুন করে আরো ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে তাদের মধ্যে ২০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। নতুন আক্রান্তরা হলেন- নবীনগর কলেজ পাড়ার মৃত সামসুল হক মিয়ার পরিবারে ৯ জন, নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের বাবলী দাসের পরিবারে চারজন, উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের মজনু সরকারের পরিবারে ছয়জন।
নোয়াখালীতে এক দিনে দুইজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৯ জন
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীতে এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৪ জন। এ ছাড়া নতুন করে ৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী সদর উপজেলায় একজন ও বেগমগঞ্জে ৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮০ জন।


আরো সংবাদ



premium cement