২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিকিৎসকদের জন্য পৃথক হাসপাতাল চান বিএমএ’র সাবেক নেতারা

-

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা: এ কে এম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল এক বিবৃতিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর সুচিকিৎসায় পৃথক হাসপাতাল নির্দিষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সারা বিশ্বের মতো করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও আজ বিপর্যস্ত। সারা দেশে সরকারি হিসাবে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭,৫৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৭৮১ জন। যদিও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা এখানে ধরা হয়নি। প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সম্মুখযোদ্ধা হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরই মধ্যে সহস্রাধিক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২১ জন চিকিৎসক (করোনা পরীক্ষা শনাক্ত হয়ে ১৭ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চারজন) এবং নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন দেড় সহস্রাধিক। অথচ আজ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার কোনো সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হয়নি। আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষে অবিলম্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পৃথক হাসপাতাল নির্দিষ্ট করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্ততপক্ষে বিভিন্ন কোভিড-১৯ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ওয়ার্ড, শয্যা সুনির্দিষ্ট করা এই মুহূর্তেই জরুরি। অন্যথায় চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মনোবল ধরে রাখা দুরূহ হবে।
আমরা চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আরটি পিসিআর টেস্ট দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই। শুধু পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য অনেক চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং পরিবার ও অন্যান্য রোগীর বিপদের কারণ হচ্ছেন।
আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সেন্টারগুলোর বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিশ্চিত করার এবং অতিদ্রুত সেন্টারগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৫০ হাজার টেস্ট করার জোর দাবি জানাচ্ছি। স্বল্পতম সময়ে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং দেশ এক ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন হবে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement