২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনায় ১২৭ সাংবাদিকের মৃত্যু

বিক্ষোভ থেকে সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রে; জার্মানিতে ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ; সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দিবে কানাডা; পাকিস্তানে মন্ত্রীর মৃত্যু করোনায়
-

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত তিন মাসে অন্তত ১২৭ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার জেনেভাভিত্তিক এনজিও প্রেস এম্বলেম ক্যাম্পেইন (পিইসি) জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩১টি দেশে এসব সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। লাতিন আমেরিকায় মারা গেছেন অন্তত ৬২ জন সাংবাদিক। ইউরোপে ২৩, এশিয়ায় ১৭, উত্তর আমেরিকায় ১৩ এবং আফ্রিকায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিল ও মেক্সিকোতে ১৩ জন করে মারা গেছেন। পেরুতে করোনায় ২০ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। ইকুয়েডরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত সাংবাদিকের সংখ্যা ১২ জন। রাশিয়া ও পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জন করে। যুক্তরাজ্যে ৫, বাংলাদেশে ৪ এবং ৩ জন করে মারা গেছেন বলিভিয়া, ক্যামেরুন, ডমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, ভারত, ইতালি ও স্পেন। দু’জন করে মারা গেছেন আলজেরিয়া, কলম্বিয়া, মিসর, সুইডেন এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ইরান, জাপান, মরক্কো, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, টোগো ও জিম্বাবুয়ে। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, ডেইলি মেইল, ব্লুমবার্গ, ফক্স নিউজ, বিবিসি বাংলা, ফক্স বিজনেস, স্কাই নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স, সিএনএন, আনাদোলু এজেন্সি, এএফপি, গার্ডিয়ান, এনডিটিভি, বিবিসি, আলজাজিরা, আনন্দবাজার পত্রিকা ও ওয়ার্ল্ডোমিটারসের।
বিক্ষোভ থেকে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা : যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকে ঘিরে চলমান বিক্ষোভ আগামী দিনগুলোতে দ্বিতীয় দফায় ভাইরাসের প্রকোপ বাড়াতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নর, শহরের মেয়র এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তারা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না এবং মাস্কও পরছেন না। মাস্ক পরলেও ভাইরাস সংক্রমণ ঘটবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বিশেষত করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই এমন বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকেই ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিক্ষোভকারীরাই যে এ সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন তাই নয়, বিক্ষোভ মোকাবেলায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারাও আক্রান্ত হওয়ার চরম ঝুঁকিতে আছেন।
মডার্নার ভ্যাকসিনের চমকপ্রদ ফল : মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মডার্না নিজেদের তৈরিকৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষায় চমকপ্রদ ফল পাওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক বিবৃতিতে করোনা ভ্যাকসিন এমআরএনএ-১২৭৩ এর ব্যাপারে এ আশার খবর মডার্না দিয়েছে। করোনার সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে আছে মার্কিন কোম্পানি মডার্না। মডার্না তাদের ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে চালানোর পরিকল্পনা করছে। এ পরীক্ষায়ও কম মাত্রার এবং উচ্চমাত্রার ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
ভারতে ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : আগামী সপ্তাহে ভারতে ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দফায় ১শ’ ভেন্টিলেটর পাঠানো হবে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সম্প্রতি কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভারতে প্রথম দফায় একশ’ ভেন্টিলেটর পাঠানোর ঘোষণা দিতে পেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খুবই উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রী মোদি কয়েক দফা টুইট করে জানিয়েছেন যে, তার ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উষ্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
ট্রাম্পের সাথে যোগাযোগ নেই ফাউচির : করোনাভাইরাস মহামারীতে হোয়াইট হাউজ টাস্কফোর্সের সবচেয়ে পরিচিত মুখ ড. অ্যান্থনি ফাউচি জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার কোনো দেখা-সাক্ষাৎ কিংবা কথাও হয়নি। প্রেসিডেন্টের সাথে তার যোগাযোগ সীমিত হয়ে এসেছে।
ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ : ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে ১ থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১১০ দিন। কিন্তু ১ লাখ থেকে ২ লাখে পৌঁছাতে সেই সময় লেগেছে মাত্র ১৫ দিন। আক্রান্তের এ পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারতে কিভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা।
করোনার জেরে বাড়ছে মানসিক চাপ : করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশা কমানোর ওষুধ স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা আক্রান্তদের চাপমুক্ত রাখতেই এ ধরনের ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হঠাৎ করেই সে কারণে ওষুধগুলোর চাহিদা বেড়ে গিয়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ (এফডিএ) চাপ ও উদ্বেগ প্রশমনের ওষুধ সেরট্রালাইন স্বল্পতার কথা গত শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক আচরণ বিঘিœত হচ্ছে। মানসিক চাপ, স্বতঃস্ফূর্ত মেলামেশা নষ্ট হচ্ছে, আইসোলেশনে থাকার ফলে মাদকাসক্তিও বেড়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারী কাটিয়ে ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দেবে।
বিপাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ : ভারতে বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেদ্যোগের সংখ্যা ছয় কোটিরও বেশি। প্রায় ৪৫ শতাংশ কারখানাজাত উৎপাদন, ৪০ শতাংশ রফতানি এবং মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ আসে তাদের থেকে। সারা দেশে আনলক ১ চালু হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ আশার আলো দেখছে না স্বনির্ভর এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্র। অল ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং নয়টি অন্যান্য শিল্প সংগঠনের করা একটি সমীক্ষা বলছে, বর্তমানে বন্ধ হওয়ার মুখে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি স্বনির্ভর এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়।
ব্রিটেনে করোনা মোকাবেলায় বিতর্কিত বিধিনিষেধ : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নতুন একটি নিয়ম জারি করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার। মঙ্গলবার দেশটির কিছু সংবাদমাধ্যম এ বিধিনিষেধকে ‘যৌন নিষেধাজ্ঞা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। যদিও একজন জুনিয়র মন্ত্রী বলেছেন, এ নিয়ম জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য করা হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ সংশোধিত নিয়মে বলা হয়েছে, পাবলিক প্লেস বা বাড়ির ভেতরে ব্যক্তিগত জায়গায় দুই বা তার বেশি ব্যক্তি একত্রে থাকতে পারবেন না। এ নিয়মকে ব্রিটেনের একটি ট্যাবলয়েড ‘যৌন নিষেধাজ্ঞা’ বলে উল্লেখ করেছে।
উপসর্গ ছাড়াই ভাইরাস ছড়াচ্ছেন যারা : কিছু লোকের সন্ধান পাওয়া গেছে, উপসর্গ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত এসব রোগী নীরবে-অদৃশ্যভাবে ঘাতক ভাইরাসটিকে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছেন। করোনাভাইরাস কারো শরীরে ঢোকার পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে আক্রান্ত ব্যক্তি অত্যন্ত সংক্রামক হতে পারেন। কারো হাতে ভাইরাস লাগলে তিনি যদি আরেকজনের হাত, দরজার হাতল, টেবিল-চেয়ার বা অন্য কিছু স্পর্শ করেন তবে তার মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। কিছু লোকের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ হলেও উপসর্গ না প্রকাশ পাওয়ায় কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর বিজ্ঞানীরা দিতে পারছেন না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্ল হেনেগ্যান বলছেন, উপসর্গবিহীন কোভিড-১৯ ভাইরাস বহনকারীর অনুপাত পাঁচ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
যে ওষুধে ৪ দিনেই সুস্থ করোনারোগী : কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রথম ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্র দিলো রাশিয়া। আগামী ১১ জুন থেকে রাশিয়ার হাসপাতালগুলো রোগীদের সেই ওষুধ দিতে পারবে। রাশিয়ার নয়া ওষুধের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। নয়া সেই ওষুধটি অ্যাভিফাভিয়ার নামে পরিচিত। তবে সেটির জেনেরিক নাম ফাভিপিরাভিয়ার। ১৯৯০ দশকের শেষদিকে ওষুধটি তৈরি করেছিল এক জাপানি সংস্থা। পরবর্তীকালে সেই সংস্থাকে কিনে নেয় ফুজিফিল্ম। রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, গবেষকরা ফাভিপিরাভিয়ারের ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে নয়া ওষুধটি তৈরি করেছেন। সংস্থাটি মাসে ৬০ হাজার ওষুধের জোগান দিতে পারবে।
হোম অফিস করতে সরঞ্জাম কিনে দিচ্ছে গুগল : করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই গুগলের কর্মীরা বাসায় থেকে কাজ করছেন। আগামী ৬ জুলাই অফিস খোলার পরে ১০ শতাংশ কর্মী অফিসে ফিরতে পারে। গুগলও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কর্মচারী ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করবে। কর্মীদের হোম অফিসের জন্য স্টাডিং ডেস্ক এবং এরগনোমিক চেয়ারের মতো প্রয়োজনীয় আসবাব কেনার জন্য এক হাজার ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
কোয়ারেন্টিন সেন্টারে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী : করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউনে রয়েছে পুরো ভারত। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়া শ্রমিকরা। কাজ হারিয়ে অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন নিজ নিজ রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিয়েছে বিহারের রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে বিহারের বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে কনডম ও গর্ভনিরোধক ওষুধ বিতরণ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য সমিতির থেকে।
ইতালিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার : করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে কমছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার ফলে বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা ইতালিতে আসতে পারবেন; ইতালির এক অঞ্চলের জনগণ অন্য অঞ্চলে যেতে পারবেন। এ সময় ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিস্থিতি নজরে রাখছে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে ক্রমে সেই আগের কর্ম চাঞ্চল্যে ফিরে যেতে শুরু করেছে ইতালি।
ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়াল : ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা মঙ্গলবার ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ দিকে করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক হাজার ২৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরো ২৮ হাজার ৯৩৬ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ব্রাজিলে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৩ জনে দাঁড়াল। কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল ইতোমধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। ব্রাজিলে সরকারি হিসাবে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩১ হাজার ১৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে দেশটি ইতোমধ্যে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে।
জার্মানিতে আবারো বাড়ছে করোনার প্রকোপ : জার্মানিতে আবারো বাড়তে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ। শিক্ষা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি উৎকণ্ঠা বাড়ছে প্রবাসীদের। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৬৩৯ জনে। নিদারজাক্সেন অঙ্গরাজ্যের গইটিংগেনের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বাভারিয়াসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের ৪২টি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের সেন্টারে প্রায় হাজারো মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায় স্থানীয়সহ প্রবাসীদের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।
সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দিবে কানাডা : দেশের সব নাগরিককে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কানাডা। ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রয়োজন হয় এমন ৩ কোটি ৭০ লাখ লিয়ন সিরিঞ্জ সরবরাহের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে ক্রয়াদেশ দিয়েছে জাস্টিন ট্রুুডোর দেশ। মঙ্গলবার ফেডারেল সরকারের পাবলিক সার্ভিস এবং প্রকিউরমেন্ট মিনিস্টার অনিতা আনন্দ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। বেসরকারি হিসাবে কানাডার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখ। সিরিঞ্জের ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ।
ব্রিটেনে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদের আগ্রহ : করোনাভাইরাসের মহামারীর সময়ে ব্রিটেনে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইনজীবদের সাথে যোগাযোগ বেড়েছে ৪০ শতাংশ দম্পতির। কো-অপ্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ থেকে ১৫ মের মধ্যে যে পরিমাণ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আগ্রহী ছিলেন দম্পতিরা। এ বছর করোনাভাইরাস মহামারীকালীন সময়ে এ অনুসন্ধান ৪২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বলছেন, লকডাউনের সময় দম্পতিরা একসাথে অতিরিক্ত সময় এক সাথে থাকার কারণে কোনো কোনো পরিবারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত ব্রিটেনে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ে ক্রিসমাসের পর অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে। কিন্তু এ বছর কোভিড-১৯ জনিত কারণে মার্চ থেকে মে মাসে বিবাহ বিচ্ছেদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে অনেক দম্পতির মধ্যে।
করোনায় পাকিস্তানের মন্ত্রীর মৃত্যু: করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের এক মন্ত্রী। গুলাম মুর্তজা বেলুচ সিন্ধ প্রদেশের মানবব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে। জনসমাগম এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আবার চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কড়াকড়ি তুলে নেয়ার পর থেকেই দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪ হাজার ৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৬৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৮৮ জনের। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ হাজার ৯২৩ জন। পাকিস্তানে বর্তমানে করোনার অ্যাকটিভ কেস ২৮ হাজার ৯২৩টি। এ ছাড়া ১১১ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার দেশটিতে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement