২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯ ডলার

করোনায় জিডিপি কমলো ৮০ হাজার কোটি টাকা
-

অবশেষে দেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় (জিএনআই) দুই হাজার ডলার অতিক্রম করে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) মাথাপিছু আয় সাময়িক হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৭৯ ডলার। গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) যা ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার। তবে মাথাপিছু আয় বাড়লেও চলতি অর্থবছরে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) আকার ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে এ হ্রাস। বাজেটে জিডিপির আকার নির্ধারিত ছিল ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। করোনার কারণে তা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। একইভাবে আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উইং এবং বিবিএস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রসঙ্গত, বিদেশে অর্জিত আয়সহ দেশের অধিবাসীদের এবং ব্যবসায় অর্জিত সব আয়ই মাথাপিছু আয়ের অন্তর্ভুক্ত। দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে ব্যক্তির মাথাপিছু আয় বের করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক উইংয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মূলত করোনার কারণে প্রবৃদ্ধির সব হিসাব এলোমেলো হয়ে গেছে। এ কারণে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে এরপরও আমরা চলতি অর্থবছরে সাময়িক হিসেবে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলারের ওপরে হিসাব করেছি। আগামী অর্থবছরের মাঝামাঝি এটি চূড়ান্ত করা হবে।
এক নজরে আগের বছরের মাথাপিছু আয়ের দিকে তাকালে দেখা যায় প্রায় প্রতি বছরই এ আয় বেড়েছে। ১০ বছরে এ আয় দ্বিগুণ হয়েছে। যেমন-২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৯২৮ ডলার। ২০১১-১২তে ৯৫৫ ডলার, ২০১২-১৩তে ১০৫৪ ডলার। ২০১৩-১৪তে ১১৮৪ ডলার, ২০১৪-১৫তে ১৩১৬ ডলার। ২০১৫-১৬তে ১৪৬৫ ডলার, ২০১৬-১৭তে ১৬১০ ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৭৫১ ডলার এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যা ছিল ১৯০৯ ডলার।
এ দিকে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। ওই সময়ে হতদরিদ্রের হার কমে শূন্যের ঘরে নেমে আসবে। সে সময় জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
অন্য দিকে, বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে নিম্ন আয়ের দেশে মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১০৪৫ ডলার, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে ১০৪৬ ডলার থেকে ৪১২৫ ডলার, উচ্চ-মধ্যম আয়-৪১২৬ ডলার থেকে ১২৭৪৫ ডলার, উচ্চ আয়ের দেশ হলে তাকে ১২৭৪৬ ডলারের বেশি মাথাপিছু আয় হতে হবে। প্রতি বছরের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংক এ শ্রেণীকরণের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশ বর্তমানে নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement