আসছে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’র বাজেট
- সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
- ০১ জুন ২০২০, ০০:০০
করোনার কারণে আগামী অর্থবছরের বাজেটটি অনেকটা ‘অভিনব’ কায়দায় উপস্থাপন করা হবে। অন্যান্যবার বাজেট উপস্থাপনের দিন সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদ ‘কানায়, কানায়’ পূর্ণ থাকত। সংসদের ৩৩৫ জন সদস্যের সবাই চান বাজেট উপস্থাপনের দিন সংসদে উপস্থিত থাকতে। কিন্তু এবার অনেকে সে সুযোগ নাও পেতে পারেন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী বাজেট উপস্থাপনের দিন সংসদ সদস্যদের উপস্থিতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ষীয়ান ও গুরুত্ব বিবেচনা করে সংসদ সদস্যদের বাজেট অধিবেশনে প্রথম দিন থাকতে বলা হবে। যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদেরকে সংসদে আসতে নিষেধ করে দেয়া হবে। এ তালিকায় বয়সের ভারে ন্যুব্জ বেশ কয়েকজনকে এবার হয়তো বাজেট অধিবেশনে প্রথম দিনে সংসদে নাও দেখা যেতে পারে।
যথাসম্ভব সংসদ সদস্যদের বসার এক আসনের পাশের সিট খালি রাখা হবে। সবাইকে পরতে হবে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস। আর এসবের মধ্যে দিয়েই আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটটি উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। আর বাজেট বক্তৃতাটির প্রাথমিক নামকরণ করা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ : ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’। মূল বাজেট বক্তৃতায় পৃষ্ঠাসংখ্যা ৭৫ এর মধ্যে সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংযোজনীসহ এর পরিধি ১২০ পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। ১১ জুন দুপুরে মন্ত্রিসভার এক বিশেষ অধিবেশনে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি অনুমোদন করিয়ে নেয়া হবে। সংসদনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে খুবই সীমিতসংখ্যক মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। অর্থ বিভাগ ও অন্যান্য কয়েকটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, করোনার কারণে এবারই প্রথম সংসদ অধিবেশনে কোনো দশনার্থী থাকবেন না। না রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে আমন্ত্রিত অথিতিদেরও। প্রতি বছর অর্থনীতি ও সংসদের বিটের গণমাধ্যমকর্মীরা বাজেট অধিবেশন কাভার করে থাকেন। কিন্তু এবার তাদেরকেও স্বাস্থ্যবিধির কারণে সংসদে নাও যেতে হতে পারে। যদি তাই হয়, তবে সাংবাদিকদের বাজেটের যাবতীয় বই ও ডকুমেন্ট ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
প্রতিবার বাজেট উপস্থাপনের পরের দিন অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এবারই এ সংবাদ সম্মেলনটি ‘ভার্চুয়াল’ করা হবে। অর্থমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনের তার অফিসকক্ষে থেকে অনলাইনের (জুমের) মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কিত বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরবেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেছেন, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী আমাদের সব কিছু সীমিত রাখতে হচ্ছে। অন্যান্যবার আমাদের বাজেট টিমের সবাই বাজেট উপস্থাপনের দিন সংসদে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এবার এ টিমের সদস্যদের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত রাখা হবে। মন্ত্রণালয়ের ওপরের দিককার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবার বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। এবার বাজেটের ডকুমেন্টের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল ফোকাস থাকবে ‘করোনা’। করোনার কারণে অর্থনীতির কী ক্ষতি হয়েছে তার বিবরণসহ অর্থমন্ত্রী এ পর্যন্ত যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তার একটি ফিরিস্তি তুলে ধরবেন। বলার চেষ্টা করা হবে চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেলেও আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে যাবে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশের সব অর্থনৈতিক করোনা-পূর্ব অবস্থায় ফিরে যাবে। এখানে আশাবাদ চিত্রটিই বেশি থাকবে। থাকবে আশাবাদের কয়েকজন মনীষীর নানা উদ্ধৃতিও।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা