১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ঢাকামুখী হাজারো যাত্রীর ঢল

-

করোনাকালীন কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২১ জেলা থেকে ঢাকার প্রবেশ মুখ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল এবং সকল সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত খোলা থাকার সরকারি ঘোষণায় লোকজন এখন কর্মস্থলমুখী হচ্ছে। তবে লঞ্চ, সিবোট এখনও চলাচল না করায় ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এখান থেকে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে এই যাত্রায়।
চতুর্থবারের মতো ঢাকামুখী মানুষ বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ছুটছে কর্মস্থল ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতে। যখনই ওপার কাঁঠালবাড়ি থেকে কোনো ফেরি আসছে, তাতে মানুষ আর মানুষ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে ফেরিতে থাকা দু-একটি গাড়িও।
শিমুলিয়া ঘাটে আসার পর যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে নেমে ছুটছে গাড়ি ধরার জন্য। কিন্তু সেখানে গাড়ি না পেয়ে তারা ছোট ছোট গাড়ি বিশেষ করে নসিমন, করিমন, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা, উবারের মোটরসাইকেল, গাড়ি ও মাইক্রোতে চড়ে ঢাকার দিকে ছুটছে। এতে তাদের কয়েকগুণ ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। এরপরেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়িগুলো আটকিয়ে দেয়ায় যাত্রীরা পড়ছে যানবাহন সঙ্কটে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো: হিলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। কিন্তু যানবাহনের অভাবে এসব যাত্রী ঢাকায় ফিরতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকায় আমরা বেশ কিছু ভাড়ায় চালিত মাইক্রো ও প্রাইভেট কার জব্দ করেছি। এগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি আইসি পরিদর্শক মো: সিরাজুল কবির জানিয়েছেন, সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। দক্ষিণ বঙ্গমুখী তেমন কোনো গাড়িই নেই। ভোরের দিকে হালকা যানবাহন থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। সরকার সাধারণ ছুটি সমাপ্ত ঘোষণা করায় লোকজন এখন কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে শারীরিক দূরত্ব এখানে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এতে কারো শরীরে করোনা থাকলে তা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১০টি ফেরি চালাচল করছে। ১০টির মধ্যে চারটি রো রো ফেরি, চারটি কে টাইপ ফেরি, দুইটি মিডিয়াম ফেরি। কোনো ডাম্প ফেরি চলাচল করছে না। ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। দক্ষিণ বঙ্গে যাওয়ার কোনো চাপ লক্ষ করা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement