২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করাচিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত : ১৫ লাশ উদ্ধার

-

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি জেট বিমান এ-৩২০ লাহোর থেকে যাত্রী ও ক্রুসহ ৯৮ জনকে নিয়ে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ মুহূর্তে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কতজন নিহত হয়েছেন তা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইদি ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সাদ ইদি জানিয়েছেন, তারা ১৫টি লাশ হাসপাতালে এনেছেন। এ ছাড়া ২৫-৩০ জন আহত ব্যক্তিকেও হাসপাতালে আনা হয়েছে। করোনাভাইরাস লকডাউনে বন্ধ থাকার পর মাত্র কয়েক দিন আগে দেশটিতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল আবার শুরু হওয়ার পরই এ দুর্ঘটনা ঘটল। খবর ডন নিউজ ও বিবিসির।
পিআইএর মুখপাত্র আবদুল হাফিজ জানান, বিমানটিতে ৯০ জন যাত্রী এবং আটজন ক্রু ছিলেন। লাহোর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় সেটি বিমানবন্দরের প্রায় দুই মাইল উত্তর-পূর্বে করাচির মডেল কলোনি নামে একটি এলাকায় একটি বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, করাচির যে আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয় সেখান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এলাকার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরু রাস্তার জন্য উদ্ধারকাজের জন্য যানবাহন এবং অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে। বহু মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে তাদের সৈন্যরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য। স্থানীয় হাসপাতালগুলোয় জরুরিকালীন অবস্থা জারি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। পিআইএর প্রধান নির্বাহী এয়ার ভাইস মার্শাল আরশাদ মালিক বলছেন, পাইলট ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানিয়েছিলেন যে বিমানে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’ দেখা যাচ্ছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানটি দু-তিনবার অবতরণের চেষ্টা করার পর বিধ্বস্ত হয়। সেটি প্রথমে একটি মোবাইল টাওয়ারে আঘাত হানে এবং এরপর বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনি দুর্ঘটনার খবরে ‘মর্মাহত ও দুঃখিত’ এবং অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement