২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভুক্তদের বাসায় আসলে কারা খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে?

-

অভুক্তদের বাসায় আসলে কারা খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে? না এটা স্রেফ কথার কথা? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নেতাদের অনেকেই বলছেন, ‘বাসায় বসে খবর দিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে।’ প্রশ্ন জেগেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খাবার কোথায় পাবেন। এ জন্য এখনো তো তাদের কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তাহলে খাবার কোত্থেকে আসবে? দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পুলিশ কর্তারা নিজেদের পকেট থেকেই টাকা দিয়েছেন, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু যখন ব্যাপকহারে মানুষের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে তখন তারা বরাদ্দ কোথায় পাবেন সেটা খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও প্রশ্ন।
রাজনৈতিক নেতারা, বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা কথায় কথায় বলছেন, বাসায় বসে খবর দিন খাবার পৌঁছে যাবে। গতকালও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি বলেছেন, সারা বিশ্ব আজ করোনার কাছে অসহায়। বিশ্ববাসী ভয়াবহ রূপে করোনায় আক্রান্ত। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যথাসম্ভব ঘরে থাকতে হবে। আপনারা ধৈর্য সহকারে ঘরে অপেক্ষা করুন। দেশে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে। আমরা সারাক্ষণ আপনাদের পাশে আছি। দিনমজুর ও কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য বলেছেন, ইতোমধ্যে তারা দু-চারজনের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে এসেছেন। সেটা তাদের নিজেদের পকেট থেকে। এটা যদি ব্যাপকহারে করতে হয়; তখন কে করবে, সেটাই প্রশ্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কতটা করতে পারবেন নিজেদের পকেট থেকে, কতজনকে তারা খাবার সরবরাহ করতে পারবেন? তবে সে ক্ষেত্রে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ যদি থাকে তাহলেই কেবল তা সম্ভব বলে তারা উল্লেখ করেন।
গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অভুক্ত মানুষের লাইন বাড়ছে। খাবার ও সাহায্যের জন্য মানুষ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে জড়ো হয়ে আছেন। কেউ সাহায্য দিতে গেলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এটা শুধু একটি এলাকায়ই নয়, পুরো রাজধানীতে এই একই চিত্র। ঢাকার বাইরে গ্রাম-গঞ্জেও এই একই চিত্র।
বিভিন্ন দুর্যোগের সময়ে যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন এমন একটি সংগঠনের সদস্য কাজী রাশেদ গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, কোনো এলাকাভিত্তিক দুর্যোগ হলে সেখানে সাহায্য আর স্বেচ্ছাসেবীর অভাব হয় না। এমনকি, দেশ-বিদেশের স্বেচ্ছাসেবী ও সহায়তাকারীদের পাওয়া যায়। আর এবারের সমস্যাটি গোটা বিশ^জুড়ে। প্রত্যেকেই যার যার এলাকার সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন। ফলে সাহায্যকারীর সংখ্যাও এবার আনুপাতিকহারে কমে যাবে। ওই স্বেচ্ছাসেবী বলেন, দিন যত বাড়বে কর্মহীন মানুষের ভোগান্তিও তত বাড়বে। ক্ষুধার্তদের সংখ্যাও তত বাড়বে। এখন যেখানে নি¤œবিত্তদের রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে এক সময় মধ্যবিত্তরাও রাস্তায় নেমে পড়বে। কেউ তো ক্ষুধা নিয়ে বেশি দিন টিকতে পারবে না। জীবন বাঁচাতে তখন লজ্জার ভয় করবে না। সে ক্ষেত্রে ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে’ এমন কথা বললেই হবে না।
মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান বলেছেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে জনতার অবরোধ ভাঙতে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা নথি সই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি’ মিলান ডার্বি জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার ইন্টারের কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আহত অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিকের বড় ভাই উদ্ধার মালয়েশিয়ায় ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ১০ নৌ-সদস্য নিহত প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে কাতারের আমির বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়লো ৭ কৃষক পরিবারের বসতঘরসহ গরু-ছাগল ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় রিকশাচালক নিহত

সকল