করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়া
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
রাজধানীর গুলশানের বাসায় চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা: জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাঘবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। তবে বেগম জিয়ার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ টিমের একজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মরণঘাতী কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি প্রধান।
গত ২৫ মার্চ বিকেলে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় আসেন খালেদা জিয়া। বাসায় আসার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টিনে তার চিকিৎসাকার্যক্রম শুরু হয়। তার সাথে নার্সসহ সেবা প্রদানকারী কয়েকজন সদস্যও সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ‘ফিরোজা’র দোতলাতে।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটিক আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে আক্রান্ত।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের একাধিক সদস্যের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তার শারীরিক অসুস্থতাও অনেক বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থেরাপি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে উনি আরাম অনুভব করছেন।
চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। এজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। তাকে বাসায় আনার পর তিনি মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন।
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবর পত্রিকা-পত্রিকার দেখে বেগম খালেদা জিয়া মন খারাপ হয়ে যায়। মানুষের কী হবে, তারা কিভাবে বাঁচবে, গরিবদের কী হবে, তাদের চাকরি থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। এতে তার মনের ওপর চাপও পড়ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা