২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভিন্ন আবহে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

-

বৈশ্বিক দুর্যোগকালীন পরিস্থিতির কারণে কর্মসূচি সীমিত আকারে পালনের মধ্য দিয়ে ভিন্ন আবহে এবারের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকাসহ সারা দেশে উদযাপিত হয়েছে।
এবারের জাতীয় দিবসের কর্মসূচি ভিন্নভাবে পালনের কথা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর দ্রুত পাল্টে যায় পরিস্থিতি, বদলে যায় সব পরিকল্পনা। উৎসব আয়োজনের পরিবর্তে শুরু হয় অন্য রকম প্রস্তুতি। ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একে একে আসা নানা ঘোষণার মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আকার সীমিত করার ঘোষণাও আসে।
গত ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের সাথে বৈঠক করে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা: কনক কান্তি বড়–য়া, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা: সাহানা আখতার রহমান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা: এ বি এম আবদুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোরে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান দোয়া পরিচালনা করেন। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, মো: আনিছুর রহমান সরকার, উপপরিচালক মো: আলমগীর হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে বিজিবির সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রূহের মাগফিরাত এবং বিজিবির উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও একাত্মতা কামনা করে বিজিবির সব সদস্য নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় দোয়া করা হয়। দুপুরে বিজিবি সদস্যদের মধ্যে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজিবির সব ইউনিটে ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং সন্ধ্যার পর পিলখানাস্থ গুরুত্বপূর্ণ অফিস ভবন ও গেটগুলো আলোকসজ্জা করা হয়। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ছোট পরিসরে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজশাহী নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে অবস্থিত সার্কিট হাউজে সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পতাকা উত্তোলন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো: হামিদুল হক, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো: শহীদুল্লাহ, মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপপুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সীমিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনায় গতকাল বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে খুলনা পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। পরে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ সময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুবাস চন্দ্র সাহা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, উপপুলিশ কমিশনার মো: এহসান শাহ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া অফিস জানায়, দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিল, বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিশু একাডেমির চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার চিত্র জমা দান, মসজিদসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবারসহ অন্যান্য স্থানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট উপহার প্রেরণ ও সরকারি বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জাকরণ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মাদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়াসহ সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নরসিংদী সংবাদদাতা জানান, দিবসটি উপলক্ষে সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ’৭১-এর সভাপতি আবদুল মোতালিব পাঠান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কমল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধুরী আশরাফুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইমরুল কায়েস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মাগুরা সংবাদদাতা জানান, মাগুরায় গতকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা এবং হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়।
সকাল পৌনে ৭টায় শহরের নোমানি ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ মাগুরা জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম। মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুণ্ডু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। এরপর কুড়িগ্রাম স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান রহমানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সকাল সাড়ে ৮টায় সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো: মাজেদুর রহমান খান, পাশে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ জামাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম সালাউদ্দিন, অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাসিম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: হারুন অর রশিদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ২১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সকাল ৭টায় স্বল্প পরিসরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। পরে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ম্যুরালের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এ দিকে কুমিল্লার হোমনায় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা ও ওসি আবুল কায়েস আকন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া ভূঁইয়া। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় দিবসটি পালন করা হয়।
সাভার (ঢাকা) সংবাদাতা জানান, যেখানে প্রতি বছর দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজারো জনতা উপস্থিত থাকতেন সেখানে ছিল সুনসান নীরবতা। জাতীয়ভাবে সব কর্মসূচির স্থগিতের কারণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়নি। করোনাভাইরাস রোধে স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা ছাড়াও স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সরকার। ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছিল যানবাহন ও জনমানুষ শূন্য।
এ দিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান, সাভার মডেল থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ প্রমুখ।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বাসস জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া এক চিঠিতে ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ ও সরকার এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহী। তিনি বলেন, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আমাদের দুই দেশের অভিন্ন আকাক্সক্ষা রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে এই আকাক্সক্ষা দৃঢ় বাস্তব ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বিশ্বনেতাদের
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় সীমিত আকারে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সার্ক মহাসচিবের শুভেচ্ছা : বাসস জানায়, সার্ক মহাসচিব ইসালা রুবান বিরাকুন গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) সচিবালয়ের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং আপনাকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। মহাসচিব আরো বলেন, আনন্দঘন এই দিনে আমরা বাংলাদেশের জনগণের স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি। রুবান বিরাকুন বলেন, সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবস্থিত সার্ক এগ্রিকালচারাল সেন্টার ও সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (এসএআরএসও) আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
সার্কের ১৪তম মহাসচিব মনোনয়নে দ্রুত অনুমোদন দেয়ায় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সার্ককে গতিশীল ও জোরদার করতে আপনার যে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং আপনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা সফরের অপেক্ষায় রয়েছি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement