কারিগরি প্রশিক্ষণে আরো অর্থ বরাদ্দ চান প্রধানমন্ত্রী
- বাসস
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০, আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:২৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য আরো বেশি অর্থবরাদ্দের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। যাতে তারা চাকরির পেছনে না গিয়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন করে তোলার লক্ষ্যে ট্রাস্টের কাছ থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে, কারণ যাতে করে তারা চাকরির পেছনে না গিয়ে উদ্যোক্তা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ষষ্ঠ উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ কথা বলেন। ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাকরির পেছনে ছোটার যে আমাদের মানসিকতা সেটার পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি যুবসমাজকে চাকরি করার চাইতে চাকরি দেয়ায় মনোযোগী হওয়ারও আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী করে তোলার সাথে সাথে তাদের পরিবারকে আরো উন্নত করতে শিক্ষাগত সহায়তা প্রদানের জন্য এই ট্রাস্ট গঠন করেছি।’ উচ্চশিক্ষার জন্য মেডিক্যাল, প্রকৌশল এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আর্থিক সমস্যায় পড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৈঠকের আগে শিক্ষাগত সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি গণহারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দেয়ার বিষয়ে দ্বিমত ব্যক্ত করে বলেন, তারা যেন সরকারি ভর্তুকির ওপর নির্র্ভরশীল হয়ে না পড়ে।
উপবৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন। এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য সিড মানি হিসেবে আরো পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে তিনি সম্মতি দেন। এর আগেও সরকার এ লক্ষ্যে পাঁচ কোটি টাকা প্রদান করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সক্ষমতা অনুযায়ী, ভর্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না যে, শিক্ষার্থীরা কিভাবে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনা করছে।’ অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়।
২০১১-১২ অর্থবছরে ট্রাস্টের সিড মানি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ৫৫০ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ট্রাস্ট এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০৯৬০০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১১ দশমিক ৪০ কোটির অধিক অর্থ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাস্টের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাকির হোসেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা