২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি আরও তিন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

-

রোহিঙ্গাবোঝাই মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই নারীসহ তিন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সেন্টমার্টিন সাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার লাশের সংখ্যা এখন ১৮। সর্বশেষ গত শনিবার রাত ৯টায় এক মধ্যবয়সী পুরুষের সাগরে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। গত দুই দিনে উদ্ধার হওয়া লাশ তিনটি টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় কোস্টগার্ড।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযানে থাকা কোস্টগার্ডের একটি দল ছেড়াদিয়ার কাছাকাছি স্থান হতে ভাসমান অবস্থায় আনুমানিক ২০-২২ বছরের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেন। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্য এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল কোস্টগার্ড। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে। মঙ্গলবার দুর্ঘটনার পরপর ১২ নারী ও তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করেছিল কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। জীবিত উদ্ধার করেছিল ৭৩ জনকে। কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কমান্ডার লে. নাঈম উল হক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ১৩৮ যাত্রী নিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে একটি ট্রলার ডুবে যায়। ঘটনার দিন ১৫ জনের লাশ ও ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছিল প্রায় অর্ধশতাধিক। ট্রলার ডুবির ঘটনায় পরদিন কোস্টগার্ড বাদি হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর লিয়াকত হোসেন জানান, সেই মামলায় পুলিশ এরই মধ্যে ৯ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সোহেল রানা জানান, গত মঙ্গলবার ভোরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় সাগরে যে ট্রলারটি ডুবেছিল, সেখানে আমরা দুর্ঘটনার দিন ৭২ জন জীবিত এবং ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। পরের দিন বুধবার একজন রোহিঙ্গাকে মুমূর্ষু অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় ট্রলারটিতে ১৩৮ জন যাত্রী ছিল বলে আমরা জানতে পারি, তন্মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত ও জীবিত ৯১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ৪৭ জন রোহিঙ্গা এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জীবিতদের দেয়া তথ্য মতে জানতে পারি। তবে সাগরে এখনো পর্যন্ত আমাদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফ সাগর উপকূলে গত বছর থেকে সাগরপথে মানবপাচারে বেশ কয়েকটি দালাল চক্র সক্রিয় হয়েছে। তাদের প্রধান টার্গে উখিয়া ও টেকনাফে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। দালালরা রোহিঙ্গাদের সাগর পথে মানবপাচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব দালালের মধ্যে স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
মেহেদির রঙ শুকানোর আগেই দুর্ঘটনায় তরুণ নিহত ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু

সকল