১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানালেন সেনাপ্রধান

-

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিন আং হ্লাইয়াংয়ের সাথে বৈঠকে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গত সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিডোয় দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রধানের মধ্যে বৈঠকে তিনি এই উদ্বেগের কথা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার ও ড্রোনের বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ড্রোন পাঠানোর বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে কেন নিরুৎসাহিত, সেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বৈঠকে তুলে ধরেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তখন মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এশিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শিগগির সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় যে বিষয়টি তুলে ধরা হয় সেটি হচ্ছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন এবং আইইডির (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইজ)। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানোর পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেয়।
সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক বাংলাদেশে প্রবেশে উদ্বেগের কথা জানানো হয় বৈঠকে। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল মাত্র কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনের জন্য সীমান্ত এলাকায় তাদের সেনা সমাবেশ ঘটায় বলে জানায়। দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে তারা।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেহেতু মিয়ানমার সেনাবাহিনী কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন পরিচালনা করছে, তাই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে। যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় এই অপারেশন পরিচালনা করবে, তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে সীমান্ত এলাকায় তাদের সহায়তা করে, যাতে তাদের ইনসার্জেন্ট গ্রুপ তাড়া খেয়ে বাংলাদেশ ভুখণ্ডে ঢুকে আশ্রয় নিতে না পারে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বাড়ানো, বিভিন্ন পর্যায়ের সৌজন্যমূলক সফর বাড়ানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই : গ্রেফতার ৪ ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল স্নান করতে গিয়ে দূর্গাসাগর দীঘিতে ডুবে একজনের মৃত্যু ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার

সকল