২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিরাজগঞ্জে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন

এবার দুর্ঘটনার কারণ ভুল সিগন্যাল; রাজধানীর সাথে উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠিত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে : নয়া দিগন্ত -

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঢাকা থেকে রংপুরগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাইনচ্যুতির পর ইঞ্জিনে আগুন ধরে পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রাণহানি না ঘটলেও ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টা চার মিনিটের সময় ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার পথে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনে প্রবেশকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক এবং উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিস অফিসার নাদির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের সময় লালমনি রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। বেলা ২টা চার মিনিটের সময় উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের প্রবেশ মুখ কন্ট্রোল বোর্ড বরাবর এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য লাইনে ঢোকার সময় হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনটি পড়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় পেছনের বগিগুলো সজোরে ধাক্কা খেয়ে লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের কুণ্ডলীসহ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় স্টেশন এলাকা। ভয়ে মানুষজন ছোটাছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া দমকল বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ ও উল্লাপাড়া থানা পুলিশ এবং স্থানীয়রা একযোগে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ট্রেনের চালকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক এবং উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উল্লাপাড়া রেলওয়ে গেট কিপার ফয়সাল জানান, লালমনি এক্সপ্রেসে উল্লাপাড়া স্টেশনে বিরতি নেই। তাই এটি দ্রুতবেগে চলে যায়। তবে প্রতিদিনের চেয়ে এটির গতি একটু বেশি ছিল। তিনি আরো জানান, ট্রেনটি উল্লাপাড়া রেলস্টেশনে প্রবেশমুখে কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে পৌঁছার পর বিকট শব্দে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হলে সাথে সাথে আগুন ধরে যায়। এ সময় পেছন দিকের বগিগুলো সজোরে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। ট্রেনের ১৪টি বগির সাতটি লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকার সাথে উত্তর ও পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে রেলওয়ের রিলিফ ট্রেন রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
স্টেশনে ঢোকার আগে কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে রেললাইন ভাগ হয়েছে। রেললাইনের যে স্থানে ভাগ হয়েছে সেখানে কাঠের স্লিপার ভেঙে গিয়ে যেটি দিয়ে যাওয়ার কথা তার পরিবর্তে অন্য লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। ট্রেনের চালক তারিক রহমান জানান, ডুয়েল গেজ লাইনের এই স্থানে গতকাল সকালে লাইন মেরামত কাজ করা হয়েছে। সম্ভবত ওই স্থানের লুপে কোনো ত্রুটি ছিল বলে তার ধারণা। যার কারণে ব্রডগেজের ট্রেন মিটারগেজে উঠে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, নির্দিষ্ট গতির চেয়ে বেশি গতিতে ট্রেনটি চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহতদের একজন পাবনার ভাঙ্গুরার সাথী খাতুন ওই ট্রেনের ইঞ্জিনসংলগ্ন বুফে কামরায় ছিল। ইঞ্জিন পড়ে যাওয়ায় তিনি বুফে কামরায় আটকা পড়েন। পরে ওই কামরার জানালার গ্লাস ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। সাথী খাতুন বলেন, নিশ্চিত মৃত্যুর কবল থেকে প্রাণে বেঁচে গেলাম।
উল্লাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান বিবিসিকে বলেন, আগুন ধরা বগিগুলো থেকে যাত্রীদের প্রায় সবাই জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসায় বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় পাঁচ-সাতজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণে সিরাজগঞ্জ-পাবনা মহাসড়কও বন্ধ হয়ে যায়। তবে ট্রেনের দুটো বগি সরিয়ে আপাতত সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান আরিফুজ্জামান। তিনি আরো জানান, সিগনাল ভুল হওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তার ধারণা।
ট্রেনটি ছিল একটি মিটারগেজ ট্রেন। কিন্তু ভুল সিগনালের কারণে এটি ব্রডগেজ লাইনে উঠে গেলে এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে, বলেন আরিফুজ্জামান।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হোসেন জানান, স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটির ইঞ্জিনও অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়ে।
গত মঙ্গলবারই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দু’টি ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন বহু লোক। এই ঘটনার দুই দিন না যেতেই আবারো একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটল, উল্লাপাড়ার ইউএনও-র বর্ণনায় এ দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হতে পারত কিন্তু তার ভাষায় ‘ভাগ্যক্রমে’ তা ঘটেনি।
পদ্মা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা বাতিল করা হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবদুল করিম সাংবাদিকদের জানান, সিরাজগঞ্জে দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ শুরু এবং শেষ হতে গভীর রাত পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই আপাতত ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। যারা চাইছেন তারা টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিতে পারেন। তবে ঢাকাগামী ট্রেন ছাড়া অন্য সব ট্রেনের সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ দিকে উল্লাপাড়া স্টেশনের পয়েন্ট ম্যান আমজাদ আলী জানান, দুর্ঘটনার পর চিত্রা এক্সপ্রেস (খুলনা-ঢাকাগামী) পাবনার ভাঙ্গুড়া স্টেশনে, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (কুড়িগ্রাম-ঢাকাগামী) লাড়েহী মোহনপুর স্টেশনে, সিরাজগঞ্জ থেকে একটি লোকাল ট্রেন চাটমোহর স্টেশন ও একতা এক্সপ্রেস (ঢাকা-দিনাজপুরগামী) জামতৈল স্টেশনে আটকে আছে।
গেটম্যান ছাড়া লেভেল ক্রসিং
ইউএনবি জানায়, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ নিয়ে গঠিত রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে অরক্ষিত অবস্থায় চালু রয়েছে সাত শতাধিক বৈধ লেভেল ক্রসিং। সেই সাথে আছে আরো প্রায় সাড়ে ৩০০ অবৈধ ক্রসিং। এসব অরক্ষিত ক্রসিংয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় বিভিন্ন দুর্ঘটনা।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে অনুমোদন থাকা ৭১৫টি লেভেল ক্রসিং গেটম্যান ছাড়া চলছে। এগুলোর সামনে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টানিয়ে দায়িত্ব সেরেছে কর্তৃপক্ষ। আর বৈধতা না থাকা ৩৩৯টি ক্রসিংয়ের সামনে সেই সতর্কবার্তাও নেই। এতে বিভিন্ন যানবাহনকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেললাইন পার হতে হয়।
এমন একটি ক্রসিংয়ে চলতি বছরের ১৫ জুলাই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনেসহ মাইক্রো বাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে ওঠে পড়া বিয়ের গাড়িটিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ ট্রেন ধাক্কা দিলে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় নিজেদের দায় অস্বীকার করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এমন বড় ঘটনাগুলো নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হলেও প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ছোট দুর্ঘটনার কোনো খোঁজই রাখে না কেউ।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মো: মাসউদুর রহমান জানান, তাদের অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং রয়েছে এক হাজার ৩৪টি। এর মধ্যে ৩১৯টিতে গেটম্যান আছে। বাকিগুলোতে আপাতত গেটম্যান নেই। এসব ক্রসিং পারাপার হতে হয় নিজ দায়িত্বে। রেলের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রেললাইনের পাশে নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণের কারণে অবৈধ ক্রসিংয়ের সংখ্যা বাড়ছে। রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে হলে রেলওয়ের অনুমোদন নেয়ার বিধান থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সেই অনুমোদনের তোয়াক্কা করে না। এ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলোচনা করেও তারা ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং ও গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়নে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং তা শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে।
প্রকল্পের পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অন্তত অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংগুলো সুরক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। সেই সাথে অবৈধ এবং গেটম্যান নেই এমন ক্রসিংও সুরক্ষার আওতায় আসছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রকল্পের আওতায় এসেছে ৩২৬টি ক্রসিং। অনুমোদন পেয়েছে ৫৩টি অবৈধ ক্রসিং। এ ছাড়া ২০৪টি ক্রসিংয়ে দেয়া হয়েছে গেটম্যান। প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রতিটি ক্রসিংয়ের মান উন্নয়ন করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো: আবদুল আউয়াল ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে কিছু ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই। অস্থায়ী লোকবল নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা : সংসদে রেলমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
সংসদ প্রতিবেদক জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য সংসদে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটির লোক মাস্টার, সহকারী লোক মাস্টার ও গার্ড দায়ী। রেল দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। গত মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামমুখী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মন্দবাগ স্টেশনের তিন নম্বর লুপ লাইনে যাচ্ছিল। ট্রেনটির ১৫টি বগির ১১টি লুপ লাইনে চলে যায়, বাকি ছিল চারটি বগি। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি উদয়ন এক্সপ্রেসের পেছনের চারটি বগিতে আঘাত করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তূর্ণার লোক মাস্টার ও গার্ড সিগনাল অমান্য করে স্টেশনের দিকে ছুটে এসে এ দুর্ঘটনা ঘটায়। ফলে উদয়নের ১৬ জন যাত্রী মারা যান এবং ৫৪ জন যাত্রী কমবেশি আহত হন। এ ঘটনা জানার সাথে সাথে আমিসহ রেলের সচিব ও ডিজি ঘটনাস্থলে যাই এবং উদ্ধার কাজে সহায়তা করি। এ দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণার লোকমাস্টার নাসির উদ্দীন, সহকারী লোক মাস্টার অপু দে এবং গার্ড আবদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে নিহত যাত্রীদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
তিনি রেল দুর্ঘটনা আর যাতে না ঘটে এবং রেলকে নিরাপদ বাহন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের কর্মীরা সজাগ থাকবেন বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement