২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতারা

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে প্রমাণ হবে সরকার নির্বাচন চায়

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির বিশাল মানববন্ধন। ইনসেটে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : নয়া দিগন্ত -

ক্ষমতাসীন সরকারকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তফসিল ঘোষণার আগেই এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। সেই সাথে নির্বাচনের আগেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলেই বুঝা যাবে সরকার নির্বাচন চায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যদি দেশনেত্রী কারাগারে থাকেন তাহলে এ দেশে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না জনগণের কাছে। সুতরাং সবার আগে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিলে বুঝা যাবে যে, এই সরকার দেশে নির্বাচন চায়। সব রাজনৈতিক দলকে বৃহত্তর ঐক্যে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। এ দিকে মানববন্ধন শেষে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ বহু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গ্রেফতারের সংখ্যা শতাধিক বলে দলটির দাবি।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা এই মানববন্ধন হয়। সারা দেশের মহানগর এবং জেলা সদরে একসাথে এই কর্মসূচি পালিত হয়। নির্ধারিত সময়ের আগেই জাতীয় প্রেস ক্লাবের ফুটপাথসহ সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান, যা পরে বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়। নানা বয়েসের নেতাকর্মীরা ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘জেলের তালা ভাঙব, খালেদা জিয়াকে আনবো’, ‘খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন মানি না, মানবো না’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার, যুবদলের মোরতাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের নূরুল ইসলাম খান নাসিম, ছাত্রদলের রাজীব আহসান, বিশ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল আলম চৌধুরী, আতাউর রহমান ঢালী, মজিবর রহমান সরোয়ার, শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল আউয়াল খান, হারুনুর রশীদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার রানু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শিবচর উপজেলা বিএনপির ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, ছাত্রদলের আলমগীর হাসান সোহান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, আসাদুজ্জামান আসাদ, মফিজুর রহমান আশিক, বায়েজীদ আরেফিন, রাজীব আহসান পাপ্পু, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্নাসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জল কামান এবং প্রিজন ভ্যানও রাখা হয় প্রেস ক্লাবের সামনে।
রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই সরকারকে চলে যেতে হবে। তাদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এখন দরকার আমাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য। দল ও জনগণের মধ্যে সেই ঐক্য তৈরি করে, সব রাজনৈতিক দল ও সবাই মিলে সেই ঐক্য তৈরি করে এই যে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে জনগণের সরকার, জনগণের গণতন্ত্র, জনগণের রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, পুরো জাতিকে আহ্বান জানাচ্ছি- কারাগারে যাওয়ার আগে দেশনেত্রী আহ্বান দিয়ে গেছেন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অচলায়তনকে ভাঙতে হবে। এই সরকার যারা বুকের ওপর পাথরের মতো বসে আছে তাদের সরাতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে আগেই বলেছি, তফসিল ঘোষণার আগেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আমরা বলেছি একটা নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করতে হবে, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
সরকারের দমনপীড়নের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার এখন একটা সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা সন্ত্রাস করছে। একদিকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে অন্য দিকে বিনা কারণে গ্রেফতার মামলা করে পুরো জাতিকে পণবন্দীতে পরিণত করেছে। সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে ভৌতিক মামলা তৈরি করে তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে এরই মধ্যে এক লাখের ওপর মানুষকে আসামি করেছে, ১২ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে। কিছু দিন আগে ঢাকায় কোচিং করতে আসা ১৪টি ছেলেরও সন্ধান পাচ্ছে না তাদের পরিবার। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপরও নির্যাতন চালায় সরকার। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গুম করে, খুন করে, নির্যাতন করে কোনো দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার প্রায় আট মাস ধরে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রেখেছে। মুক্তি তার প্রাপ্য এবং অধিকার। আমরা তার মুক্তির জন্য দয়া বা ভিক্ষা চাইছি না। এটি কোনো করুণা নয়। গত দশ বছরে বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করা হয়েছে। জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করা হয়েছে। প্রশাসন পুরোপুরি দলীয়করণ, বিচার বিভাগ দলীয়করণের সব চেষ্টাই চলছে। এই সরকার বিরোধীদল ধ্বংসে একের পর এক পরিকল্পনা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের একটাই উদ্দেশ্য দেশনেত্রীকে ছাড়া, বিএনপিকে ছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করা। কিন্তু দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এই দেশে আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সারা দেশের মানুষ যেমন এই দাবিতে একমত, সারা বিশ্বও বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবি জানান তিনি।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় জেলে রাখা সংবিধানের বরখেলাপ। আমি তার মুক্তি ও সুচিকিৎসা দাবি করছি। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আবারো ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ তা হতে দেবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের একেকজন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সাজা প্রদানের প্রতিবাদে ও বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গতকাল সোমবার রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। দুপুরে রাজশাহী মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর মালোপাড়ার দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, সাবেক এমপি আবদুল গফুর, নগরীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন প্রমুখ।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় বিএনপির মহানগর ও জেলা শাখা গতকাল সোমবার পৃথক পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর শাখার মানববন্ধনে নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্য আদালতের ওপর নয়, শেখ হাসিনার মর্জির ওপর নির্ভরশীল বলে মনে হচ্ছে।
বিএনপি নেতা অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপুর পরিচালনায় কর্মসূচিতে আরো বক্তৃতা দেন কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, মোল্লা আবুল কাশেম, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, স ম আবদুর রহমান, ফখরুল আলম, শেখ আমজাদ হোসেন, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দীপু, শফিকুল আলম মুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদ কামাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, কামরান হাসান, রবিউল ইসলাম রবি, শরিফুল ইসলাম বাবু ও হেলাল আহম্মেদ সুমন।
এর আগে একই স্থানে মানববন্ধন করে জেলা বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা।
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর কান্দিরপাড়ের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।
এ সময় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোস্তাফা জামান, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাজী সফিউল আলম রায়হান, অধ্যাপক নেছার আহমেদ রাজুসহ বিপুল নেতাকর্মী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, বেলা ১১টার আলিপুরে শহর বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়। শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, এ কে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ। এ সময় মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দেয় বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।
বেলা ১টার দিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজম খানের সভাপতিত্বে গোয়ালচামট রফিকউদ্দিন পৌর মার্কেটের সামনে অপর একটি মানববন্ধন পালিত হয়।
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব চত্বরে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দর বিএসসি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ সেলিম, লিয়াকত আলী খান, ছলিম উল্যাহ বাহার হিরন, আবু নাসের, ওমর ফারুক, শাহ জাফর উল্যাহ রাসেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি আজগর হোসেন দুখু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান মো: নোমান প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা জানান, জেলা শহরে অবস্থিত বিএনপি নেতা এ্যানীর বাসভবন প্রাঙ্গণে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিঙ্কন প্রমুখ।
মানববন্ধনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন আর আইনি প্রক্রিয়ায় হবে না, দেশব্যাপী আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।
মাগুরা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মাগুরা জজকোর্টের সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ’ নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আকতার হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসু, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম কবির প্রমুখ।
বক্তারা অবিলন্বে বেগম জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকার পতনের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
জামালপুর সংবাদদাতা জানান, জামালপুরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন, বিএনপি নেতা আনিছুর রহমান, শহিদুল হক খান, গোলাম রব্বানী, আহছানুজ্জামান রুমেল, লিয়াকত আলী, মাইন উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি ফিরোজ মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সজীব খান, শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহ মাসুদ প্রমুখ। এদিকে একই সময় সকালবাজার এলাকায় পৃথকভাবে মানববন্ধন করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, জেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম সজল, বিএনপি নেতা সৈয়দ হাবিবুর রশিদ, বিষ্ণ চন্দ্র মণ্ডল, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবুর রহমান জিলানী, আবদুস সাত্তার, বেলাল হোসেন, ফজলুর রহমান, মোতালেব হোসেন প্রমুখ।
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জে শহরের শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কোহিনুর আলম, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানবন্ধনে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ আলহাজ অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আসপিয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল, সহ-সভাপতি ওয়াকিফুর রহমান গিলমান, সহ-সভাপতি আলহাজ আবদুল লতিফ জেপি, অ্যাডভোকেট মল্লিক মইনুদ্দিন সোহেল, নাদীর আহমদ, অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী ও আ ত ম ছালেহ, রজাউল হক, আ ত ম মিছবাহ, মো: ফুল মিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর মো: শওকত, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ কয়েছ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, জেলা যুবদল নেতা মো: আবদুল মজিদ, মো: সুজন আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: রায়হান উদ্দিন, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে পরে মানববন্ধন ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। দুই লাইনের মানববন্ধন ভাঙ্গা ব্রিজ থেকে শুরু করে গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয় ছাড়িয়ে যায়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছাড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, কংচারী মারমা, অনিমেষ দেওয়ান নন্দিত, মোসলেম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ চাকমা রিংকু, সম্পাদক সাংগঠনিক এম এন আবছার, আবদুর রব রাজা, সম্পাদক খনি রঞ্জন ত্রিপুরা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা কুহেলী দেওয়ান, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবু আলম সবুজ প্রমুখ।
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, দুপুরে শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করার পর দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ বক্তব্য দেন। এর পরপরই পুলিশ দুই দিক থেকে ধাওয়া করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী রানা ও শাহ শিব্বির আহমদ বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলম, প্রচার সম্পাদক কায়কোবাদ মামুন, নগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রতন আকন্দ, কোতোয়ালি বিএনপির আবদুল আজিজ, শ্রমিকদলের জেলা সভাপতি আবু সাঈদ, নগর শ্রমিকদলের সভাপতি জিল্লু মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে একই দাবিতে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের উদোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার।
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, সকালে জেলা বিএনপির আয়োজনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সভাপতি আবু নূর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ।
বগুড়া অফিস জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারিক আদালত কারাগারে স্থানান্তরের প্রতিবাদ ও তা প্রত্যাহার এবং তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বগুড়া জেলা বিএনপি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার শহরের নবাববাড়ী রোডে জেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে একতরফা নির্বাচন করতে পারবে না। দেশে খালেদা জিয়াবিহীন কোনো নির্বাচন হবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিএনপি নির্বাচনে যাবো।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম মনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পিটু।
অপর দিকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এম জেনারেল অ্যাডভোকেট সামিম হোসেন ডালিম, আবুজাফর মন্টু প্রমুখ।
বরগুনা সংবাদদাতা জানান, সকাল ১০টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপি সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ জেড এম সালেহ্ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মো: আ: হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হুমায়ূন হাসান শাহিন, শফিকুজ্জামান মাহফুজ, জাফরুল হাসান জাফর ভেন্ডার, জেলা যুবদল সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল, তাঁতী দল সভাপতি আবুল বাশার রিয়াজ, শ্রমিকদল সভাপতি গোলাম হায়দার হাদি প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির পুরাতন পোস্ট অফিস কার্যালয়ের সামনে জাহাজ কোম্পানি রোডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি আলহাজ সাইফুর রহমান রানা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, কৃষকদলের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আবু হানিফ বিপ্লব, যুবদল সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ প্রমুখ।
রংপুর অফিস জানায়, রংপুর মহানগরীতে মানববন্ধন করেছে মহানগর ও জেলা বিএনপি। এ সময় মানববন্ধন ঘিরে রাখে পুলিশ।
দুপুরে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে রাস্তায় মানববন্ধন করেন বিএনপির কয়েক শ’ নেতাকর্মী। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু পারেনি। বাধার মধ্যেই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নেতারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারি রইচ আহমেদ, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সেক্রেটারি সামসুল হক ঝন্টু প্রমুখ।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেছেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে আটকে রেখে আওয়ামী বাকশালী সরকার তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
সকালে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে নাসিম হোসাইন সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১টার দিকে সমাপ্ত হয়। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহসভাপতি শাহজামাল নুরুল হুদা, এ কে এম তারেক কালাম, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল হাকিম চৌধুরী প্রমুখ।
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর মহানগর ও জেলা বিএনপির মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লাঠিপেটায় জেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী আনোয়ারা বেগমসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন। মানববন্ধনকালে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগানের ৩২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়াদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় জেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী আনোয়ারা বেগমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির মরহুম নেতা সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নুসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় জেলা বিএনপির সভাপতি ও নওগাঁ পৌরমেয়র নজমুল হক সনির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লে. কর্নেল আবদুল লতিফ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বেলাল, নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন ও শফিউল আজম ভিপি রানা, জেলা বিএনপির সদস্য ও নওগাঁ-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী রবিউল ইসলাম বুলেট প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement