২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`
আইনজীবী সাইফুল হত্যা

৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে খুনে জড়িতদের চেহারা

-

৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। এতে দেখা যায়, সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক যুবক কোতোয়ালি থানাধীন এসি দত্ত লেনের নিলয় স্বজন ভবনের সামনে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তাকে ঘিরে ধরেন ২৫ থেকে ৩০ জন যুবক। তাদের মধ্যে একজনের পরনে কমলা রঙের গেঞ্জি, কালো প্যান্ট, মাথায় ছাই রঙের হেলমেট। রাস্তায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে কিরিচ দিয়ে কোপাতে থাকে এই হেলমেটধারী। লাল হেলমেট, ব্লু রঙের টি-শার্ট ও জিন্স পরা বঁটি হাতে আরেক যুবক ওই যুবককে কোপাচ্ছে। অন্য আরো তিন-চারজন তাকে পেটাচ্ছে।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের অদূরে কোতোয়ালি থানা-সংলগ্ন সেবক কলোনির স্বজন ভবনের সামনের রাস্তায় এভাবে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুলকে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। তার নিথর দেহ পড়ে থাকলেও লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে অন্যরা। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর ও রাজীব ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের একজন রয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। তার নাম শুভ কান্দি দাশ। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলার ধলঘাটে।

সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা এডিসি কাজী মো: তারেক আজিজ জানান, ‘শুধু চন্দন দাস নন, হত্যাকাণ্ডে ২৫ থেকে ৩০ জন অংশ নেয়। প্রাথমিকভাবে ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী যুবকদের বেশির ভাগকেই পুলিশ শনাক্ত করেছে। হত্যায় অংশ নেয়া আটজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম হত্যায় অংশ নেয়া বাকি ২৪ জন হলেন, বিশাল, বিকাশ, শুভ কান্তি দাশ, বিধান, রনব, রাজ কাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগ লাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, ওমকার দাশ, দেবী চরণ, দেব, জয়, রমিত, বুঞ্জা, লালা ও রুবেল সাহা।
এদিকে গতকাল আরো দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন। তারা হলেন বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার মৃত সুনিল ধরের ছেলে বাবলা ধর (৪২) এবং পটিয়ার আশিয়া হিন্দুপাড়া এলাকার দুলাল শীলের ছেলে সজল শীল (৪০)। এ নিয়ে পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৩৯ জন।
এদিকে ঘটনার চার দিনের মাথায়ও হত্যামামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম। তবে সিএমপির আরেকটি সূত্র বলছে, মামলা দায়ের করতে পুলিশ নিহত আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের অপেক্ষায় আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা : পদত্যাগের ঘোষণা ইসরাইলি সেনাপ্রধানের জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির কাশেম মণ্ডলের পিএইচডি অর্জন আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার স্বীকৃতি চায় ময়মনসিংহ যুক্তরাষ্ট্রে আরো রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ‘ছাত্রশিবিরের নামে নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল’ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে আইজিপির নির্দেশ নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু কেয়া গ্রুপের আরো ২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জার্মানি গাজীপুরে ঝুটের ৩টি গুদামে আগুন

সকল