ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে সতর্কতা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:২৬
আমেরিকান ঘাঁটি এবং সেনাদের ওপর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে নতুন গোয়েন্দা সতর্কতার পর সারা ইউরোপে তাদের বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ইউ এস ইউরোপিয়ান কমান্ডের (ইউকম) সব ঘাঁটিতে ফোর্স প্রোটেকশন কন্ডিশন ‘চার্লি’ বলবৎ করা হয়েছে, যার অর্থ হলো যেকোনো ধরনের হামলা হতে পারে।
ঠিক কী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হলো, ওই কর্মকর্তা সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি। তবে বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তা প্যারিসে আসন্ন অলিম্পিকসহ কোথাও না কোথাও সন্ত্রাসী হামলার বাড়তি ঝুঁকির কথা বলেছেন।
সোমবার ইউকমের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকটি কারণে বাড়তি নিরাপত্তা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো একটি হুমকির কারণে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়নি, বরং ইউরো কাপ বা অলিম্পিকসহ চলমান বা আসন্ন বড় ইভেন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন কারণে উদ্বেগের ফলে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপে বিভিন্ন বেসামরিক লক্ষ্যের ওপরও হামলার ঝুঁকি বেড়েছে।
ইউকম ইউরোপীয় থিয়েটারে কর্মীদের সবসময় বাড়তি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে এবং সন্দেহজনক গতিবিধি সম্পর্কে জানাতে বলেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ পরামর্শ দেখে নিজ নিজ ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
গত মাসে সাইবার নিরাপত্তা ফার্ম ‘রেকর্ডেড ফিউচার’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, সাইবার হামলার বাড়তি ঝুঁকি ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ভয় রয়েছে প্যারিস অলিম্পিকে সন্ত্রাসী হামলার।
ফরাসী কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে দুটি আলাদা সন্ত্রাসী পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছে। অলিম্পিকের এক ভেন্যুতে হামলার পরিকল্পনার দায়ে ১৮ বছর বয়সী এক সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বেড়েছে।
ইরানের কারমানে জানুয়ারি মাসে এক স্মরণ অনুষ্ঠানে হামলার দায় স্বীকার করে আই এস-খোরাসান নামে এক উগ্রবাদী গোষ্ঠী। ওই হামলায় প্রায় ৯০ জন নিহত হয়। মার্চ মাসে মস্কোর এক কনসার্টে হামলায় ১৪০ জন নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন কর্মকর্তারা বলছেন, আই এস-খোরাসান বিভিন্ন দেশের অপরাধী নেটওয়ার্ক এবং মানব পাচার চক্র ব্যবহার করার কাজে আরো দক্ষ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের লোক পাঠানোর সম্ভাব্য পরিকল্পনা করছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা