০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ফলে ফ্রান্সে বাড়ছে মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ফলে ফ্রান্সে বাড়ছে মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ - ছবি : সংগৃহীত

গত ২৭ অক্টোবর প্যারিসের একটি বাসভবনের প্রাচীরে স্প্রের সাহায্যে ‘দাউদের তারা’ (স্টার্স অব ডেভিড) আঁকার সময় অনিয়মিতভাবে ফ্রান্সে বসবাসকারী এক মলদোভান দম্পতি হাতেনাতে ধরা পড়েন।

এর চার দিন পর, যখন সাংবাদিকরা ওই ঘটনা নিয়ে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন।

তিনি ওই সময় হাউটস-ডি-সেইনের একটি ইহুদি কমিউনিটি সেন্টারে ছিলেন।

প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে ইহুদি বিদ্বেষ একটি আকারে প্রকাশ পাচ্ছে।

পরের দিন প্রসিকিউটর মলডোভান দম্পতির অ্যান্টিসেমিটিক গ্রাফিতি মামলায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রসিকিউটর বলেন, এই অপরাধটি একটি বিদেশী স্পনসরের অনুরোধে করা হয়েছিল।

ফরাসি গণমাধ্যমের মতে, গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে যে ঘটনাগুলো রাশিয়ার সাজানো কিনা।

আর মুসলমানরা বলির পাঁঠা হয়ে চলেছে বিশেষ করে অতি ডানপন্থীদের হাতে।

৭ অক্টোবর পর থেকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা এক হাজার ৫১৮টি ইহুদিবিরোধী কাজ এবং বিবৃতি নথিভুক্ত করেছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় তিনগুণ বেশি।

প্রমাণ উদ্ধৃত না করেই ন্যাশনাল র‌্যালির সভাপতি (সাবেক ফ্রন্ট ন্যাশনাল) জর্ডান বারডেলা রাজনৈতিক ইসলামের কথিত উত্থানের জন্য ইহুদি বিদ্বেষের এই ধরনের উত্থানকে দায়ী করেন।

ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সঙ্ঘাতে এই পর্যায়ে ফ্রান্সে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ইসরাইলে এক হাজার ২০০ জন এবং গাজায় বোমা হামলায় ১১ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যা মুসলিমদের উদ্বিগ্ন করে।

ফরাসি কাউন্সিল অফ মুসলিম ওয়ার্শিপের (সিএফসিএম) নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য এবং অবজারভেটরি অ্যাগেইনস্ট ইসলামোফোবিয়ার (ওসিআই) সভাপতি আবদুল্লাহ জেকরি বলেন, ‘আমরা চাই যে অভিযুক্ত অপরাধীদের (সেমিটিক ক্রিয়াকলাপের) পরিচয় জানানো হোক- তারা সত্যিকারের ফরাসি মুসলমান, নাকি বরং বর্ণবাদী, পরিচয় আন্দোলনের কর্মী, নাকি বিদেশী।

তিনি আরো বলেন, ফ্রান্সের অনেক মসজিদ এবং মুসলমান সরাসরি হুমকির শিকার হয়েছে। নিউজ চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটি নিরবচ্ছিন্ন বহিঃপ্রকাশ প্রতিদিন প্রকাশ করা হয়।

১৭ অক্টোবর ক্যানেট এলাকায় আল্পেস-মেরিটিমসে একজন সেপ্টুয়াজিয়ান মসজিদে যাওয়ার সময় বর্ণবাদী হামলার শিকার হন।

মামলাটি গ্রহণকারী অ্যাটর্নি গুয়েজ গুয়েজের মতে, বৃদ্ধ ব্যক্তিকে ঘুষি ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। হামলাকারীরা বর্ণবাদী মন্তব্য করেছিল এবং চিৎকার করে বলেছিল, ‘নোংরা আরব, আমি তোমাকে টুকরো টুকরো করে জেরুজাসামে পাঠাব।’

সিএনআরএস এবং আরব ও মুসলিম বিশ্বের গবেষণা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক ভিনসেন্ট গেইসারের মতে, প্রতিবেশীদের মধ্যে ইহুদিবাদ এবং ইসলাম যুক্ত করার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের অপমান করতে অবদান রাখে।

ন্যাশনাল র‌্যালির সাবেক সভাপতি মেরিন লে পেন হামাসের হামলার পরে গর্ব করেছিলেন, ‘জাতীয় সমাবেশই একমাত্র রাজনৈতিক আন্দোলন যা আমাদের ইহুদি বিশ্বাসের দেশবাসীকে ইসলামি মৌলবাদের বিকাশের ফলে সৃষ্ট মারাত্মক বিপদ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।’

১২ নভেম্বর তিনি ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে মার্চে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সূত্র : মিডেল ইস্ট আই


আরো সংবাদ



premium cement
৫ মাসে রফতানি আয় ২২২৩ কোটি ডলার ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত বৈদেশিক মুদ্রা আমানতের ওপর ব্যাংকগুলো ৭ শতাংশ সুদ দেবে : বাংলাদেশ ব্যাংক আড়াইহাজারে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা বদলি হতে পারেন ২৫০ ইউএনও, ৩২০ ওসি দিন দিন বদলে যাচ্ছে তাজমহলের শ্বেতশুভ্র রঙ কিন্তু কেন? ডেঙ্গুসহ ভাইরাসজনিত রোগ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নীরব দর্শকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী বিএনপি নেতা রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সকল