এরদোগানের সাথে বৈঠকের পরও শস্য রফতানি চুক্তিতে পুতিনের ‘না’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে খাদ্যসঙ্কট। ইউক্রেনের একাধিক বন্দরে হামলা চালাচ্ছে রুশ সৈন্যরা। যার প্রভাব পড়েছে শস্য রফতানিতেও। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরও শস্য রফতানি নিয়ে কোরো চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো না।
‘সিএনএন’র খবর, সোমবার কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচিতে এরদোগানের সাথে দেখা করেন পুতিন। দীর্ঘ সময় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আলোচনা হয় শস্য রফতানি চুক্তি নিয়ে। এই বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, ‘শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য রাশিয়া প্রস্তুত।’ যদি এই দু’দেশের মধ্যে এই চুক্তি হয়, তাহলে মস্কো থেকে দশ লাখ টন রাশিয়ার শস্য তুরস্কে রফতানি করা হবে।
এদিনের বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুতিন ও এরদোগান। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সমাধানের পথ পেয়েছি। প্রত্যাশা পূরণে যা যা করণীয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর পুতিন সাফ বলেন, ‘রাশিয়া শস্য চুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য তৈরি। কিন্তু যতক্ষণ না রাশিয়ার শস্য রফতানির ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে ততক্ষণ নতুন কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না।’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক কোনো না কোনো সঙ্কটের মুখে পড়েছে ৯৪টি দেশের ১৬০ কোটি মানুষ। সবমিলিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্ব। কারণ, ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে রুশ অবরোধের জেরে থমকে ছিল শস্য রফতানি। সেই সমস্যার সমাধান করে গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসঙ্ঘ ও তুরস্কের তত্ত্বাবধানে চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো ও কিয়েভ। ফলে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো থেকে খাদ্যপণ্য রফতানিতে সবুজ সংকেত দেয় মস্কো। তবে মাস দেড়েক আগে সেই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে আসে মস্কো। তারপর থেকেই ইউক্রেনের একের পর এক বন্দরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা