২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জার্মানিতে শরণার্থী সঙ্কট সামলাতে নতুন উদ্যোগ

জার্মানিতে শরণার্থী সঙ্কট সামলাতে নতুন উদ্যোগ - ছবি : সংগৃহীত

শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়ে চলায় জার্মানির পৌর স্তরের প্রশাসন হিমসিম খাচ্ছে। বুধবার চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে চূড়ান্ত সমাধানসূত্র সম্ভব না হলেও ফেডারেল সরকার বাড়তি অনুদান দিতে রাজি হয়েছে।

শরণার্থীদের ঢল সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো সম্মিলিতভাবে সেই সঙ্কটসামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। পারস্পরিক সংহতির ভিত্তিতে আগত শরণার্থীদের বণ্টনের ক্ষেত্রেও কোনো ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেই সঙ্কট আরো বড় আকার ধারণ করেছে। ফলে জার্মানির মতো দেশ শরণার্থীদের ঢল সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। বিষয়টি সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। জার্মানির ফেডারেল সরকারের শরণার্থী সংক্রান্ত নীতি ও সিদ্ধান্তের প্রভাব আর মানতে চাইছে না রাজ্য সরকারগুলি। বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এক বৈঠকে দলমতনির্বিশেষে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে চরম মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেল। এমনকি জার্মানির জোট সরকারের প্রধান শরিক দল এসপিডি-র মুখ্যমন্ত্রীরাও চ্যান্সেলর শলৎসের সাথে বিষয়টি নিয়ে বচসা করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আপোশ মীমাংসার প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

জার্মানির রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরা শরণার্থী গ্রহণ, তাদের আশ্রয়, সমাজের মূল স্রোতে তাদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগের বিপুল ব্যয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে পৌর স্তরে সেই দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে অনেক শহর, জেলা ও গ্রাম কর্তৃপক্ষ নাজেহাল হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা সাফ জানিয়ে দেন, ফেডারেল সরকারের বাড়তি আর্থিক সহায়তা ছাড়া সেই গুরুদায়িত্ব সামলানো আর সম্ভব নয়। অথচ চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকার রাজ্য ও পৌর কর্তৃরক্ষের সেই দাবি গ্রাহ্য করছিল না। বুধবারের দীর্ঘ বৈঠকের পর নতি স্বীকার করে ফেডারেল সরকার চলতি বছর ১৬টি রাজ্যের জন্য বাড়তি ১০০ কোটি ইউরো মঞ্জুর করেছে। সেইসাথে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলো শরণার্থী সংক্রান্ত নীতির কাঠামোর সংস্কারের লক্ষ্যে ধাপে ধাপে আরো কিছু পদক্ষেপ কার্যকর করার প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জার্মানিতে শরণার্থীর ঢলের ক্ষেত্রে কোনো ধারাবাহিকতা না থাকায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কখনো বেশি শরণার্থীর জন্য প্রস্তুতি নিলে বাস্তবে তাদের সংখ্যা কম থাকছে। যেমন চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ প্রায় এক লাখ দুই হাজার শরণার্থীর আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করেছে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭৮ শতাংশ বেশি। আবার প্রস্তুতির মাত্রা কমালে আচমকা বিপুল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাই এক ‘ডায়নামিক' বা গতিশীল নীতির দাবি করছেন। এককালীন অনুদানের বদলে শরণার্থীদের জন্য মাথাপিছু ব্যয় স্থির করে বাস্তব সংখ্যা অনুযায়ী ফেডারেল সরকারের আর্থিক সহায়তা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীরা।

আপাতত সেই দাবির ভিত্তে কোনো বোঝাপড়া না হলেও ভবিষ্যতে এমন ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে কিছু প্রক্রিয়াগত পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রথমত সব রাজ্যকে এক ডিজিটাল কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে আগত শরণার্থী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদানপ্রদান করা সম্ভব হবে। তাছাড়া ফেডারেল পুলিশ বাহিনীর হাতে কিছু বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিয়ে বিচার ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের মধ্যে তথ্য বিনিময় আরো সহজ করা হবে। তারপর আগামী নভেম্বর মাসে চূড়ান্ত সমাধানসূত্র অর্জনের চেষ্টা চালানো হবে। সংসদে বিরোধী পক্ষের মতে, এত বিলম্বের কারণে ২০২৪ সালে নতুন কাঠামো কার্যকর করা যথেষ্ট কঠিন হবে। পৌর স্তরের প্রশাসনগুলিকেও ততদিন বাড়তি চাপ সামলাতে হবে। সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুরের ইন্তেকাল থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

সকল