২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ২২ লাখ ইউরো লুট করেছে গ্রিক সীমান্তরক্ষী

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ২২ লাখ ইউরো লুট করেছে গ্রিক সীমান্তরক্ষী। - ছবি : সংগৃহীত

গত ছয় বছরে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের অন্তত ২২ লাখ ইউরো সমপরিমাণ অর্থ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রিক সীমান্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

তুর্কি সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর সময় তারা এই অর্থ ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছ স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দৈনিক এল পাইস। নগদ অর্থের পাশাপাশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাথে থাকা অলঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ ২২ লাখ ইউরো বলে জানিয়েছ সংবাদমাধ্যমটি।

স্প্যানিশ দৈনিকটি তাদের প্রতিবেদনে আরো জানিয়েছে, ছিনিয়ে নেয়া অর্থের পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে। কারণ যেসব অভিবাসীদের জোরে করে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের অনেকের তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইভরোস সীমান্ত অঞ্চলে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও, মাইগ্রেশন অ্যাডভোকেসি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে এল পাইস।

এ যেন নিয়মিত ঘটনা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত এলাকায় আসা শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অর্থ ও পণ্য ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা বেড়েছে। ২০১৭ সালের দিকেও এমন ঘটনার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে গ্রিক সীমান্তরক্ষীরা এটিকে নিয়মিত ঘটনায় রূপ দিয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক ইভা কসে জানান, অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে ও নিরুৎসাহিত করতে তাদের সাথে থাকা মোবাইল কিংবা অর্থ ছিনিয়ে নিচ্ছে সীমান্তরক্ষীরা।

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন তাদের ফোন কেড়ে নেন, তখন তারা যে সেখানে ছিল, সেটা হয়ত আর প্রমাণ করা যায় না। কিন্তু আপনি যখন তাদের অর্থ লুট করেন, তখন আপনি তাদের জীবনকে আরো বিপন্ন করে তোলেন।’

বলকান ও গ্রিসকেন্দ্রিক অভিবাসনবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বর্ডার ভায়োলেন্স মনিটরিং নেটওয়ার্কের সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্ট হোপ বার্কার বলেন, ‘অভিবাসনপ্রতাশীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোনগুলো কখনো কখানো রাখা হয়, আবার কখনো নষ্ট করে ফেলা হয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে সীমান্তরক্ষীরা অবশ্যই অর্থটা রেখে দেয়। তারা যদি বুঝতে পারে কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী নিজের কাছে অর্থ লুকিয়ে রেখে মিথ্যা বলছে, তাহলে শাস্তি হিসেবে তাকে মারধর করা হয়।’

২০২২ সালে গ্রিক ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ৯৩ ভাগ সীমান্তরক্ষীদের হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। এমনকি সীমান্তরক্ষীদের হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছে বলেও জানিয়েছে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী।

সীমান্তে সহিংসতা
এল পাইসের অনুসন্ধান বলছে, সীমান্ত থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী ধরে পুলিশ স্টেশন বা সামরিক ব্যারাকে নিয়ে যায় সীমান্তরক্ষীরা। সেখানে নিয়ে তাদের জিনিসপত্র কেড়ে নেয় এবং তাদের মারধর করা হয়। এরপর গ্রিসে আশ্রয় নেয়ার কোনো সুযোগ না দিয়েই তাদের জোর করে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে নদী পারাপারের সময় তাদের ভেলায় তুলে দেয় গ্রিসের সীমান্তরক্ষীরা। এমন ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় মৃত্যু হয়েছে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীর। এমনকি তুর্কি সীমান্ত অংশে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লাশ পাওয়া গেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক ইভা কসে বলেন, ‘আপনি যখন তাদের নগ্ন অবস্থায় ফেলে যান, তখন এরই মধ্য দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অপমান ও হতাশ করেন। সীমান্তরক্ষীরা মনে করে এমন আচরণ করলে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করবে না। এটি তাদের একটি কৌশল।

সুত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীলের গুয়াংডংয়ে সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন : প্রশ্ন হেফাজত নেতা আজিজুল হকের সাভারে বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে গাজা ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে জনতার অবরোধ ভাঙতে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা নথি সই ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি’ মিলান ডার্বি জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার ইন্টারের কুমিল্লা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আহত অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর সাংবাদিকের বড় ভাই উদ্ধার

সকল