২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পতনের দ্বারপ্রান্তে বাখমুত, উঠে আসার চেষ্টায় লড়াই

- ছবি : সংগৃহীত

পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখল নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে। একইসাথে ইউক্রেনিয় বাহিনী সেখান থেকে উঠে আসার আগে শেষবারের মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।

পশ্চিমা দেশের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘বাখমুত থেকে ইউক্রেনিয় বাহিনীর প্রত্যাহারের মঞ্চ তৈরি হয়েছে’।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,‘ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ওই শহরের পশ্চিমে নতুন পরিখা খনন করে তাদের অভিজাত ইউনিটগুলিকে সেখানে পাঠিয়েছে’।

কিন্তু বাখমুতের ডেপুটি মেয়র অলেক্সান্ডার মার্চেনকো জোর দিয়ে বলেছেন, ‘রুশ সৈন্যরা এখনো শহরটি দখল করতে পারেনি।’

দু’পক্ষের প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে রুশ বাহিনীর নিয়মিত সৈন্যরা শহরের উত্তরাঞ্চলে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের সাথে রয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা।

বাখমুতের ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, ‘শহরের শেষ চার হাজার বেসামরিক নাগরিক গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানিহীন অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে রয়েছে।’

মার্চেনকো বলেন, ‘শহরটির একটি বিল্ডিংও অক্ষত নেই। প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে পুরো শহরটি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’ কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া চেষ্টা করছে বাখমুত শহরটিকে দখল করতে।

মার্চেনকো আরো বলেন, ‘লড়াই শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে এবং রাস্তায় রাস্তায় লড়াই চলছে।’

শহরটিকে নিজের দখলে আনা রাশিয়ার জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এক বিরল সাফল্য বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু এর পরও এই শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বাখমুতের গুরুত্বের চেয়ে রুশ বাহিনীকে অনেক চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে।

যুদ্ধের আগে বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ হাজার। কিন্তু এই শহরটিকে দখলের জন্য হাজার হাজার রুশ সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ইউক্রেনের সেনা অধিনায়করা অনুমান করেছেন, তাদের তুলনায় রাশিয়া সাতগুণ বেশি সৈন্য হারিয়েছে।

এখনো প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের মধ্যে রুশ বাহিনী ও ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা বাখমুতের বেশিরভাগ এলাকা ঘিরে রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement