১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ করোনাকালেও দ্বিগুণ হয়েছে

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর একজন হলেন জেফ বেজোস - ছবি : সংগৃহীত

করোনাকালেও বিশ্বের অতিধনীরা আরো সম্পদশালী হয়েছেন। অপরদিকে এ মহামারির সময় বিশ্বের বহু মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অভাব। অক্সফাম নামের একটি চ্যারিটি সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অসমতা নিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে। সোমবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি।

অক্সফামের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে। অপরদিকে, পৃথিবীতে স্বল্প উপার্জন করার কারণে দৈনিক ২১ হাজার গরীব মানুষ মারা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অক্সফামের ড্যানি শ্রীস্কন্দরাজ বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কোনো একটা সমস্যা রয়ে গেছে। তিনি অক্সফাম সংস্থার গ্রেট ব্রিটেনে শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবছরই অর্থনীতি, ব্যবসা ও রাজনীতির অভিজাতদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এবার দেখা গেছে, মহামারিকালে বছরের প্রায় প্রতিদিনই একজন করে বিলিয়নিয়ার তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, লকডাউন, আন্তর্জাতিক পর্যটনে খরা ও বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটার প্রভাবে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ বিপদে পড়েছে।’

ফোর্বস ম্যাগাজিনের বরাত দিয়ে অক্সফাম জানায়, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনী ব্যক্তি হলেন এলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বার্নার্ড আর্নল্ট ও পরিবার, বিল গেটস, ল্যারি এলিসন, ল্যারি পেজ, সার্গেই ব্রিন, মার্ক জাকারবার্গ, স্টিভ বালমার ও ওয়ারেন বাফেট। যৌথভাবে এদের সম্পদ ৭০০ বিলিয়ন থেকে দেড় ট্রিলিয়ন হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কিছু বৈচিত্র রয়েছে। যেমন : এলন মাস্কের সম্পদ এক হাজার শতাংশের বেশি বেড়েছে, আর বিল গেটসের বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে অক্সফাম। করোনার আগের সময়ের তুলনায় এখন বাড়তি ১৬ কোটি মানুষ সাড়ে পাঁচ মার্কিন ডলারের কম আয়ে দিন পার করছে। উচ্চ-মধ্যআয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে সাড়ে পাঁচ ডলার উপার্জন করাকে দারিদ্র্যসীমা হিসেবে ধরে বিশ্বব্যাংক।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement