২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান ও রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই রিবকভ জেনিভায় যুক্তরাষ্ট্র মিশনে নিরাপত্তা আলোচনায় মিলিত হন - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা সোমবার জেনেভায় মিলিত হয়ে ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর রাশিয়ার বিশাল সেনা সমাবেশ এবং পশ্চিমের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে রাশিয়ার দাবি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
.
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন স্থানীয় সময় ঠিক সকাল ৯টায় এই আলোচনা শুরু হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র ইউক্রেন নয়, তারা ন্যাটো জোট ও ইউরোপজুড়ে অন্যা মিত্রদের সাথে শলা-পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করছেন।

এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনসহ আমাদের ইউরোপীয় মিত্র ও অংশীদারদের সাথে নিরাপত্তার ব্যাপারে 'তুমি ছাড়া তোমার সম্পর্কে কিছু নয়' এই নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিটি স্তরে আমরা আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সাথে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতেও একই ব্যবস্থা নেবো।"

জেনেভা আলোচনার পর রাশিয়া বুধবার ব্রাসেলসে নেটো জোট ও বৃহস্পতিবার জেনিভায় ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার ( ওএসসিই) সাথেও আলোচনা করার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আবার বলেছেন, '৮ বছর আগে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া কুক্ষিগত করার পর মস্কো যদি এবার ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।'

এবিসি টিভি চ্যানেলের 'দিস উইক' অনুষ্ঠানে ব্লিংকেন বলেন, 'কূটনৈতিক নিষ্পত্তিতে আমরা সবিশেষ জোর দিচ্ছি, তবে রাশিয়ার ওপরই তা নির্ভর করছে।'

তিনি বলেন, ইউরোপে সামরিক মহড়া এবং পুনরায় অস্ত্র সীমিত করা সংক্রান্ত আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অতীতে লঙ্ঘনের জন্য তিনি রাশিয়াকে দোষারোপ করেন।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনা বৈঠকের আগে দুটি পক্ষের শীর্ষ কূটনীতিকেরা এ সপ্তাহে দুটি দেশের উত্তেজনা প্রশমিত হবার ব্যাপারে সামান্যই আশাবাদ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, 'মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়ার ব্যাপারে রাশিয়ার উদ্বেগের কথা আমরা শুনব, তবে সাথে আরো বলেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে ১ লাখের বেশি বিশাল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগের কথাও তাদের শুনতে হবে।'

ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তারা দাবি করেছে, ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে এবং ১৯৯৭ সালের পর ন্যাটোতে যোগ দেয়া মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপীয় দেশগুলোতে জোটের সামরিক মহড়া বন্ধ করতে হবে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement

সকল