১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মার্কেল জমানার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি

অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এখন কেয়ারটেকার চ্যান্সেলর - ছবি : সংগৃহীত

জার্মান রাজনীতির জগতে মঙ্গলবার ছিল ব্যস্ততার দিন। রেকর্ড সংখ্যক সদস্য নিয়ে সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগের নতুন যাত্রা শুরু হলো। ৭৩৬ জন সংসদ সদস্য এ দিন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে তৃতীয় নারী হিসেবে স্পিকারের পদে নির্বাচিত হলেন এসপিডি দলের বেয়ার্বেল বাস।

বিদায়ী ও নতুন স্পিকার সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের সংখ্যা সীমিত রাখার পক্ষে বললেন, যাতে ২০তম সংসদের এমন অস্বাভাবিক রূপের পুনরাবৃত্তি না হয়।

গতবারের তুলনায় ১৪০ জন বাড়তি সংসদ সদস্যের কারণে জার্মানির করদাতাদের উপর বছর ১০ কোটি ইউরোর বোঝা চাপবে বলে করতাদাদের সংগঠন হিসাব করেছে।

এই সব ব্যস্ততার মাঝে অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের উপস্থিতি সহজে চোখে পড়ার মতো ছিল না। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চ্যান্সেলর এবং তিন দশকেরও বেশি সময় জুড়ে সংসদ সদস্য থাকার পর তিনি এবার নির্বাচনে দাঁড়াননি। তাই বুন্ডেসটাগে ভিআইপি দর্শকের আসনে বসেই তিনি সব আনুষ্ঠানিকতা পর্যবেক্ষণ করলেন।

জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী সরকারকে বিদায় জানালেন। মার্কেলসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের অব্যহতি দিলেন তিনি। তিনি দেশের কঠিন সময়ে চালকের আসনে মার্কেলের ভূমিকার প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় মার্কেলের সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন জার্মান প্রেসিডেন্ট। মার্কেলের চতুর্থ এবং শেষ কার্যকালে ব্রেক্সিটের মতো ধাক্কা এবং অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামলানোর জন্যও স্টাইনমায়ার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তার ভাষণে আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উষ্ণতার ছোঁয়াও দেখা গেছে।

কার্যনির্বাহী সরকারের প্রধান হিসেবেও মার্কেলের ব্যস্ততা শেষ হচ্ছে না। বুধবারই তিনি বার্লিনে জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহকে স্বাগত জানাচ্ছেন। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা উষ্ণতার সাথে তাকে বিদায় জানিয়েছেন। ইটালিতে জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন এবং আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনের গ্লাসগো শহরে জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ সম্মেলনেও তিনি জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, উদারপন্থী এফডিপি ও পরিবেশবাদী সবুজ দলজোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে বুধবার থেকে বড় আকারে আলোচনা শুরু করছে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই সরকার গঠনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন দলের নেতারা। সেক্ষেত্রে ৬ ডিসেম্বর নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎস শপথ নেবেন।

বাস্তবে সেই পরিকল্পনা সত্যি কার্যকর হলে মার্কেল সামান্য কয়েক দিনের জন্য ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে চ্যান্সেলর হিসেবে দীর্ঘতম কার্যকালের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন না।

১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত হেলমুট কোল পাঁচ হাজার ৮৭০ দিন জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কমপক্ষে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারলে তবেই মার্কেল সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবেন। তাকে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিচলিত হতে দেখা যায়নি। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে তিনি ‘নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন’ বলে আশা করছেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল