২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেলারুশ ছাড়লেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

বেলারুশ ছাড়লেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে ল্যাকোস্টে। - ছবি : সংগৃহীত

বেলারুশের ফরাসি দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত ছিলেন নিকোলাস দে ল্যাকোস্টে। রোববার বেলারুশ ছেড়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। লুকাশেঙ্কোর সরকারও তার উপর দেশ ছাড়ার জন্য চাপ তৈরি করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্প্রতি নিজের কাজের গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে না দেখিয়ে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন। লুকাশেঙ্কো যে বিষয়টিকে অপমান হিসেবে দেখেছেন। দ্বিতীয়ত, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেলারুশের একটি নিষিদ্ধ এনজিও’র কর্মকর্তাদের সাথে তিনি বৈঠক করেছেন।

ষষ্ঠবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেলারুশের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। কিন্তু অভিযোগ, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। দেশের ভিতর তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বহু দেশ লুকাশেঙ্কোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। যার মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। লুকাশেঙ্কো বিষয়টি গোড়া থেকেই ভালোভাবে দেখছেন না। আমেরিকা, জাতিসঙ্ঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক নেতা তার বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ করেছেন। লুকাশেঙ্কো সেই সমস্ত কিছুই অত্যন্ত শক্ত হাতে দমন করছেন। প্রায় সমস্ত বিরোধী নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে যে রাষ্ট্রগুলো স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে লুকাশেঙ্কোর অভিযোগ, ওই রাষ্ট্রগুলো তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে প্ররোচনা দিচ্ছে।

ফ্রান্স লুকাশেঙ্কোকে স্বীকৃতি না দিলেও বেলারুশে নিজেদের দূতাবাস খুলে রেখেছিল। কিন্তু ফরাসি রাষ্ট্রদূত প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করছিলেন না। ফলে গোড়াতেই লুকাশেঙ্কোর সাথে তার বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন আগে বেলারুশের এনজিও গভরি প্রাভদুর (অর্থ সত্য কথন) প্রধান আন্দ্রে ডিমিট্রিভের সাথে দেখা করেছিলেন তিনি। গতবছর নির্বাচনে তিনিও লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। যার ফলে ক্ষমতায় এসে ডিমিট্রিভের এনজিওটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন লুকাশেঙ্কো। ফরাসি রাষ্ট্রদূত সেই এনজিওর প্রধানের সাথে দেখা করায় ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দেয় বেলারুশ প্রশাসন। তার আগেই রাষ্ট্রদূত দেশে ফিরে গেছেন।

ফরাসি দূতাবাসের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, সোমবার রাষ্ট্রদূতের একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করা হবে ওয়েবসাইটে। সেখানে বেলারুশের মানুষের জন্য কথা বলেছেন রাষ্ট্রদূত।

এদিকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফিরে যাওয়ার পরে বেলারুশও তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফ্রান্স থেকে ফিরিয়ে এনেছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement