২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জার্মানিতে নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে জয়ী এসপিডি

এসপিডি দলের সমাবেশ - ছবি : এএফপি

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি (সিডিইউ) দলকে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছে মধ্য বামপন্থী সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি)।

এর আগে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুরো জার্মানিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট ছয় হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এবারের নির্বাচনে মোট ৪৭টি দল ছয় হাজার ২১১ জন প্রার্থী দিয়েছিলো।

সোমবার সকালের হিসেব অনুযায়ী এসপিডি মোট ২৫.৭ ভাগ ভোট পেয়েছে। অপরদিকে মেরকেলের সিডিইউ দল পেয়েছে ২৪.১ ভাগ ভোট।

তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগতভাবে ভোটে সবচেয়ে ভাল করেছে গ্রিন পার্টি। তারা পেয়েছে ১৪.৮ শতাংশ ভোট যা দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটের রেকর্ড।

১১.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে উদারপন্থী ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডিপি)।

কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনের দিকেই যেতে হবে জার্মান রাজনৈতিক দলগুলোকে।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ অবশ্য এর আগে বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে।

সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সাথে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভোটাররা একটি 'বাস্তবধর্মী সরকার' গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে।

অন্যদিকে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টিই এখন অংকের হিসেব।

বুথফেরত জরীপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয় এমন ইঙ্গিত আগই পাওয়া যাচ্ছিল।

এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিন পার্টি এবং এফডিপি'র হাতে।

দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসাথে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে।

তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দল দুটিই ৩০ বছর বয়সের নিচে জার্মান নাগরিকদের পছন্দ।

সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল।

তবে এটা পরিষ্কার যে একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement