২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিবাসী নারীদের যৌন হয়রানি করল গ্রিক পুলিশ

অভিবাসী নারীদের যৌন হয়রানি করল গ্রিক পুলিশ -

তুরস্ক থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় অভিবাসী নারীদের যৌন হয়রানি করেছে গ্রিক পুলিশ বাহিনী। এক তুর্কি নারী ও অসংখ্য অভিবাসন প্রত্যাশী আফগান নারীকে কাপড় খুলে নগ্ন করে তল্লাশি চালানোর সময় যৌন হয়রানি করে গ্রিক পুলিশ সদস্যরা। সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর।

ইউরোনিউজের প্রতিবেদন মতে, ওই তুর্কি নারীর স্বামী ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তারিখের অভ্যুত্থান চেষ্টার সাথে জড়িত ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হওয়ার কারণে তিনি তুরস্ক থেকে ইউরোপে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ইউরোপে পালানোর সময় ওই তুর্কি ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর সাথে তাদের শিশুও ছিল।

আরো আট অভিবাসীর সাথে তুরস্ক থেকে সাগর পার হয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় গ্রিক পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে। ওই সময় তারা গ্রিসের এক গ্রামে ছিল। এরপর গ্রিক পুলিশ সদস্যরা সকল অভিবাসীর মোবাইল ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদেরকে গ্রিসের এক পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের বনের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সকল নারীদের কাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়। এরপর তাদেরকে যৌন নিগৃহ করা হয়। এর আগে তল্লাশি করার সময় তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় গ্রিক পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা।

ওই তুর্কি নারী ইউরোনিউজকে বলেন, গ্রিক পুলিশ সদস্যরা মানবতাবিরোধী কাজ করেছে। আমরা গরীব মানুষ তাই আমরা মৃত্যুর ঝুঁকি নেই। এরপরেও গ্রিসের লোকেরা আমাদের সাথে যা করেছে তা কোনো মানুষই সহ্য করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, একটি ইউরোপের দেশ হওয়ার পরেও গ্রিকদের এমন অসভ্য ও বর্বরের মতো আচরণ করা উচিৎ নয়।

পরে সকল অভিবাসীদেরকে গাড়িতে করে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই তুর্কি নারীর স্বামী এদির্নের ইপসালা পুলিশ স্টেশনে আছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তিনি সাজা ভোগ করছেন আর ওই তুর্কি নারী নির্দোষ হওয়ায় জেলের বাইরে আছেন।

যখন থেকে অভিবাসী সঙ্কট শুরু হয়েছে তখন থেকেই গ্রিক পুলিশ সদস্যরা ও সীমান্তরক্ষীরা প্রতিনিয়ত এমন মানবতাবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। তারা সাগরে অভিবাসী বোঝাই নৌকায় গুলিবর্ষণ করছে, তাদের শারীরিক নির্যাতন করেছে। এমনকি নির্যাতনের পর অনেক অভিবাসীকে নগ্ন অবস্থায় ফেরত পাঠানো হয়।

করোনা মহামারীর মধ্যেও গ্রিক পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের অত্যাচারে দু’হাজার অভিবাসী নিহত হয়েছেন।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর


আরো সংবাদ



premium cement