২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পর্তুগালের লিজবনে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত

পর্তুগালের লিজবনে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত - ছবি : নয়া দিগন্ত

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাগরকন্যার দেশ পর্তুগালে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশী অধ্যুসিত লিজবনের প্রাসা দ্যা মার্তিম মনিজ পার্কে গত বছর ঈদ আয়োজনের অনুমতি মেলেনি। তবে এবার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কর্তৃপক্ষ পার্কে জামাত আয়োজনের অনুমতি দেয়। তবে বেঁধে দেয় স্বাস্থ্যবিধিমানার কঠোর শর্তাবলী। ঈদুল ফিতরের এই বৃহত্তম জামাতকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সফল করা ছিলো আয়োজকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

স্থানীয় বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ। আগের দিন রাত থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা শুরু করেন পার্ক পরিদর্শন এবং নামাজের জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজ। পরের দিন ভোর ৬ : ৩০ থেকে পার্কে উপস্থিত হয় সকল স্বেচ্ছাসেবক। যদিও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮:০০। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে একটু সুন্দর সফল ঈদুল ফিতর জামাত সম্পন্ন হয়েছে।

এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপের এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এত বিশাল আয়োজন করা আমাদের জন্য সহজ ছিলো না, তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করেন।

আরেক সদস্য মুকিতুর রহমান সেলিম বলেন, আমরা আবারো প্রমাণ করেছি, আমরা সুশৃঙ্খল জাতি। বিদেশের মাটিতে এই রকম আয়োজন করা বাংলাদেশী মুসলিমদের জন্য সত্যি গর্বের।

এর আগে ভোর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসতে থাকেন মার্তিম মনিজ পার্কে। সকাল ৭টার মধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরা পার্ক। দূর দূরান্ত থেকেও অনেকেই যোগদান করেন বৃহত্তম এই ঈদের জামাতে। তবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঈদের ময়দানে উপস্থিত হয়েছিলেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলো স্থানীয় সাংবাদিক এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, দূতাবাস প্রধান আব্দুল্লাহ আল রাজীসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ এবং দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম এবং খতিব মাওলানা অধ্যাপক আবু সাঈদ।

তাছাড়া লিজবনের সেন্ট্রাল মসজিদে দুটি, অধিবিলাস হযরত আয়েশা সিদ্দিকা মসজিদে দুটি, রিবেইলোরা একটি, দামাইয়া খেলার মাঠে দুটি, কাসকাইসে একটি, হামলা রা: পর্তু এবং সেন্ট্রাল মসজিদে দুটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া মীল ফন্টেস শহরে একটি, সৈকত নগরী আলগার্ভে একটি এবং মিনদোলায় একটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বারেরো মসজিদে দুটি, ভাল্দে মুরে দুটি এবং সেতুবালে ২টি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল