২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

'কারাবাখ যুদ্ধের আগে কেনা রুশ যুদ্ধবিমানে মিসাইল ছিল না'

সু-৩০ এসএম যুদ্ধবিমান - ছবি : সংগৃহীত

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, গত বছর আজারবাইজানের সাথে নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা সু-৩০ এসএম যুদ্ধবিমানে কোনো মিসাইল ছিল না। শনিবার দেশটির আরাগাটস্টোন অঞ্চলে সফরে এক জমায়েতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধবিমান কিনেছিলাম যা (গত বছরের) মে মাসে এসে পৌঁছায়। কিন্তু যুদ্ধের আগে দিয়ে আমাদের মিসাইল কেনার সময় ছিল না।'

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান মোভসেস হাকোবাইয়ান জানান, দেশটিতে রাশিয়ার সরবরাহ করা সু-৩০ এসএম যুদ্ধবিমানে কোনো প্রকার মিসাইল ছিল না। অন্যদেশে সু-৩০ এসএম বিমানের জন্য রাশিয়ার মিসাইল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর্মেনিয়ার কাছে সরবরাহ করা যুদ্ধবিমানগুলোতে কোনো মিসাইল ছিল না। তবে ওই সময় আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তা অস্বীকার করে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করার অজুহাতে হাকোবাইয়ানকে অভিযুক্ত করে।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল।

যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে দেশ দুইটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement